অনলাইন ডেস্ক
খামারে পালিত মুরগিকে বাংলাদেশে অনেকে ‘পোলট্রি মুরগি’ বলেন। এই খামারে পালিত মুরগির মধ্যে চাহিদায় এগিয়ে ব্রয়লার মুরগি। ব্রয়লার মুরগি বাংলাদেশে আমিষের চাহিদা মেটাতে এবং দেশের মানুষের গড় আমিষ গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশের মতো সারা বিশ্বেই মুরগির মাংস আমিষের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জনপ্রিয় খাবার হিসেবেও সমাদৃত। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ তো প্রতি বছর ১৯ মার্চ, রীতিমতো ‘পোলট্রি দিবস’ হিসেবে পালন করে। অবশ্য কীভাবে এই দিবসের উৎপত্তি তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না।
‘পোলট্রি’ শব্দটি লাতিন পুলাস (pullus) থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘ছোট প্রাণী’। বর্তমানে মুরগি খাবার হিসেবে জনপ্রিয় হলেও সভ্যতার শুরুর দিকে মানুষ বিনোদনের জন্য পালন করত পাখিটি। ঐতিহাসিক দিবস বিষয়ক ওয়েবসাইট ন্যাশনাল টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও চীনে মোরগ লড়াইয়ের জন্য মুরগি পালন করা হতো—প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এমন প্রমাণও পেয়েছেন।
বহু প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষে মোরগ লড়াইয়ের ছবি খোদাই করা ফলকও পাওয়া গেছে। কথিত আছে, লড়াইয়ের দক্ষতার কারণে মুরগিকে ঐশ্বরিক ক্ষমতাসম্পন্ন মনে করা হতো। পৃথিবীর বেশ কিছু জায়গায় এখনো মুরগিকে ভাগ্য গণনার জাদুকরী ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাণী মনে করা হয়। প্রাচীন রোম, গ্রিস ও চীনে মুরগির পূজা করা হতো।
লড়াই করার ক্ষমতার কারণে রোমানরা মুরগিকে যুদ্ধের দেবতা মার্সের সঙ্গে তুলনা করত। কথিত আছে, যুদ্ধের আগে, রোমানরা পবিত্র মুরগিগুলোকে ছেড়ে দিত এবং এগুলোর খাওয়ার অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করত। যদি মুরগিরা ক্ষুধার্তের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে খেত, তবে সেটি ছিল বিজয়ের শুভ সংকেত। কিন্তু যদি তারা খেতে দ্বিধা করত, তবে সেটিকে অশুভ লক্ষণ মনে করা হতো।
যে লড়াই করার ক্ষমতার জন্য মুরগি প্রাচীন বিশ্বে সমাদৃত ছিল এখন তা নেই বললেই চলে। মোরগ লড়াই এখন আর তেমন দেখা যায় না। অনেক দেশে আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই নিষিদ্ধ মোরগ লড়াই।
এত দিন ধারণা করা হতো, খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকে ইউরোপে প্রথমবারের মতো মুরগির মাংস খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। তবে, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, মুরগি প্রথমবারের মতো খাওয়া হয়েছিল ইসরায়েলের একটি শহরে, সেটি খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকেরও এক শ বছর আগে। তবে, কে কবে কোথায় প্রথমবারের মতো মুরগি খেয়েছিল তা জানা কি আদৌ সম্ভব? অবশ্য এতটুকু নিশ্চিত করে বলা যায় যে, সেটিই শেষ ছিল না!
কিন্তু মুরগি শুধু বিনোদন বা খাবারের জন্যই সমাদৃত নয়—বিজ্ঞানের ইতিহাসেও গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছে এই ছোট্ট প্রাণী! প্রথম কোনো গৃহপালিত প্রাণী এবং পাখি হিসেবে ২০০৪ সালে মুরগির জিনোম মানচিত্র তৈরি করেন বিজ্ঞানীরা। আশ্চর্যজনকভাবে, গবেষণায় প্রমাণিত হয়, মুরগি হলো ডাইনোসরের সরাসরি বংশধর!
পোলট্রি দিবস নিয়ে কোথাও আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য না পাওয়া গেলেও ধারণা করা হয়, একুশ শতকের শুরুর দিকে এই দিবস ঘটা করে পালন করা হয়। কারণ, ওই সময়ই বিকশিত হতে শুরু করে পোলট্রি শিল্প। ধারণা করা হয়, খাদ্য সরবরাহে কৃষকদের অবদানের প্রতি সম্মান জানাতে একধরনের স্থানীয় উদ্যাপন হিসেবে শুরু হয়েছিল পোলট্রি দিবস এবং পরে তা প্রসারিত হয় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে।
মুরগি নিয়ে মজার তথ্য
সব ধরনের পোলট্রির (গৃহপালিত পাখি) মধ্যে সংখ্যায় ও জনপ্রিয়তায় মুরগিই শীর্ষে
২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে জনসংখ্যা ৭৬০ কোটি, আর মুরগির সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৯০০ কোটি। এটি যে কোনো পাখির তুলনায় সর্বাধিক।
কিছু মানুষ মুরগি ভয় পায়, আর এই ভয়কে বলা হয় ‘আলেকটোরো ফোবিয়া’
কথিত আছে, মুরগি শাস্ত্রীয় সংগীতের বড় ভক্ত! এই ধরনের সংগীত শুনলে বড় এবং বেশি ওজনের ডিম পাড়তে পারে!
মুরগি ধীর গতির প্রাণী নয়! এরা ঘণ্টায় ৯ মাইল বেগে দৌড়াতে পারে।
খামারে পালিত মুরগিকে বাংলাদেশে অনেকে ‘পোলট্রি মুরগি’ বলেন। এই খামারে পালিত মুরগির মধ্যে চাহিদায় এগিয়ে ব্রয়লার মুরগি। ব্রয়লার মুরগি বাংলাদেশে আমিষের চাহিদা মেটাতে এবং দেশের মানুষের গড় আমিষ গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশের মতো সারা বিশ্বেই মুরগির মাংস আমিষের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জনপ্রিয় খাবার হিসেবেও সমাদৃত। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ তো প্রতি বছর ১৯ মার্চ, রীতিমতো ‘পোলট্রি দিবস’ হিসেবে পালন করে। অবশ্য কীভাবে এই দিবসের উৎপত্তি তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না।
‘পোলট্রি’ শব্দটি লাতিন পুলাস (pullus) থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘ছোট প্রাণী’। বর্তমানে মুরগি খাবার হিসেবে জনপ্রিয় হলেও সভ্যতার শুরুর দিকে মানুষ বিনোদনের জন্য পালন করত পাখিটি। ঐতিহাসিক দিবস বিষয়ক ওয়েবসাইট ন্যাশনাল টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও চীনে মোরগ লড়াইয়ের জন্য মুরগি পালন করা হতো—প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এমন প্রমাণও পেয়েছেন।
বহু প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষে মোরগ লড়াইয়ের ছবি খোদাই করা ফলকও পাওয়া গেছে। কথিত আছে, লড়াইয়ের দক্ষতার কারণে মুরগিকে ঐশ্বরিক ক্ষমতাসম্পন্ন মনে করা হতো। পৃথিবীর বেশ কিছু জায়গায় এখনো মুরগিকে ভাগ্য গণনার জাদুকরী ক্ষমতাসম্পন্ন প্রাণী মনে করা হয়। প্রাচীন রোম, গ্রিস ও চীনে মুরগির পূজা করা হতো।
লড়াই করার ক্ষমতার কারণে রোমানরা মুরগিকে যুদ্ধের দেবতা মার্সের সঙ্গে তুলনা করত। কথিত আছে, যুদ্ধের আগে, রোমানরা পবিত্র মুরগিগুলোকে ছেড়ে দিত এবং এগুলোর খাওয়ার অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করত। যদি মুরগিরা ক্ষুধার্তের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে খেত, তবে সেটি ছিল বিজয়ের শুভ সংকেত। কিন্তু যদি তারা খেতে দ্বিধা করত, তবে সেটিকে অশুভ লক্ষণ মনে করা হতো।
যে লড়াই করার ক্ষমতার জন্য মুরগি প্রাচীন বিশ্বে সমাদৃত ছিল এখন তা নেই বললেই চলে। মোরগ লড়াই এখন আর তেমন দেখা যায় না। অনেক দেশে আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই নিষিদ্ধ মোরগ লড়াই।
এত দিন ধারণা করা হতো, খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকে ইউরোপে প্রথমবারের মতো মুরগির মাংস খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। তবে, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, মুরগি প্রথমবারের মতো খাওয়া হয়েছিল ইসরায়েলের একটি শহরে, সেটি খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকেরও এক শ বছর আগে। তবে, কে কবে কোথায় প্রথমবারের মতো মুরগি খেয়েছিল তা জানা কি আদৌ সম্ভব? অবশ্য এতটুকু নিশ্চিত করে বলা যায় যে, সেটিই শেষ ছিল না!
কিন্তু মুরগি শুধু বিনোদন বা খাবারের জন্যই সমাদৃত নয়—বিজ্ঞানের ইতিহাসেও গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছে এই ছোট্ট প্রাণী! প্রথম কোনো গৃহপালিত প্রাণী এবং পাখি হিসেবে ২০০৪ সালে মুরগির জিনোম মানচিত্র তৈরি করেন বিজ্ঞানীরা। আশ্চর্যজনকভাবে, গবেষণায় প্রমাণিত হয়, মুরগি হলো ডাইনোসরের সরাসরি বংশধর!
পোলট্রি দিবস নিয়ে কোথাও আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য না পাওয়া গেলেও ধারণা করা হয়, একুশ শতকের শুরুর দিকে এই দিবস ঘটা করে পালন করা হয়। কারণ, ওই সময়ই বিকশিত হতে শুরু করে পোলট্রি শিল্প। ধারণা করা হয়, খাদ্য সরবরাহে কৃষকদের অবদানের প্রতি সম্মান জানাতে একধরনের স্থানীয় উদ্যাপন হিসেবে শুরু হয়েছিল পোলট্রি দিবস এবং পরে তা প্রসারিত হয় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে।
মুরগি নিয়ে মজার তথ্য
সব ধরনের পোলট্রির (গৃহপালিত পাখি) মধ্যে সংখ্যায় ও জনপ্রিয়তায় মুরগিই শীর্ষে
২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে জনসংখ্যা ৭৬০ কোটি, আর মুরগির সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৯০০ কোটি। এটি যে কোনো পাখির তুলনায় সর্বাধিক।
কিছু মানুষ মুরগি ভয় পায়, আর এই ভয়কে বলা হয় ‘আলেকটোরো ফোবিয়া’
কথিত আছে, মুরগি শাস্ত্রীয় সংগীতের বড় ভক্ত! এই ধরনের সংগীত শুনলে বড় এবং বেশি ওজনের ডিম পাড়তে পারে!
মুরগি ধীর গতির প্রাণী নয়! এরা ঘণ্টায় ৯ মাইল বেগে দৌড়াতে পারে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
১ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি এক ভিডিওতে ভারতের দীর্ঘ পথের ট্রেনযাত্রাকে ‘মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার’ মতো অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেছেন ফরাসি ইউটিউবার ভিক্টর ব্লাহো। তিনি বিদেশি পর্যটকদের পরামর্শ দিয়েছেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা ভালো বাজেট না থাকলে ভারতের দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নীতির কারণে চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে পণ্যবাণিজ্য হ্রাস পাবে। এ ছাড়াও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন গভীর নেতিবাচক ঝুঁকি রয়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে আরও বড় ধরনের পতন ডেকে আনতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ছোট ওষুধ (পিল বা ক্যাপসুল) বাজারে আসার ৯ বছর পর মেডিকেয়ার মূল্য আলোচনার জন্য যোগ্য হয়। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে ১৩ বছর করতে চায়, যা বায়োটেক ওষুধের সমতুল্য। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করেছিল, বর্তমান নিয়ম নতুন ওষুধ উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করে। আগে এই বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতে
৪ ঘণ্টা আগে