আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বাজেট কাটছাঁটের আশঙ্কা আরও বেড়েছে। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্পগুলোর জন্য বরাদ্দ প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে নাসার ৪০টি চলমান মহাকাশ মিশন বা অভিযান বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।
যেসব প্রকল্পে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছিল, সেসব প্রকল্প সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে পড়েছে। এমনকি প্লুটো গ্রহের বিখ্যাত হৃদয় আকৃতির ছবি তুলেছিল যে মহাকাশযান, তা-ও এই বাজেট কাটছাঁট কারণে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
নাসা তাদের বাজেট প্রস্তাবে জানিয়েছে, তারা চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে নিজেদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উদ্যোগগুলোকে নতুন করে সাজাচ্ছে।
স্পেসএক্স ও নাসার ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে ধোঁয়াশা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্সের সঙ্গে করা সব ফেডারেল চুক্তি বাতিল করা হতে পারে। অথচ নাসা বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) রসদ ও নভোচারী পাঠাতে স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটের ওপর নির্ভর করে। ভবিষ্যতে চাঁদ ও মঙ্গলে নভোচারী পাঠানোর জন্য স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট ব্যবহারের পরিকল্পনাও রয়েছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ মাস্ক হুমকি দেন, স্পেসএক্স ধীরে ধীরে তাদের ‘ড্রাগন’ মহাকাশযান কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই অনিশ্চয়তা সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের ওপেন ইউনিভার্সিটির মহাকাশ বিজ্ঞানী ড. সাইমিয়ন বারবার বলেন, ‘আমরা গত সপ্তাহে যেসব তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত, মতবিরোধ এবং নীতির পরিবর্তন দেখেছি, তা আমাদের মহাকাশযাত্রার ভিত্তিকে নড়িয়ে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মহাকাশ গবেষণা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের ওপর নির্ভর করে।’
বিবিসির মতে যেসব মিশন ঝুঁকিতে রয়েছে—
এসব প্রকল্প অনেকখানি এগিয়েছে। তবে এগুলোর উন্নয়ন ও উৎক্ষেপণ খরচ ইতিমধ্যে বহন করা হয়েছে। এখন কেবল তাদের পরিচালন ব্যয় প্রয়োজন।

মঙ্গল ও চাঁদে মানুষ পাঠানোই অগ্রাধিকার
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে নাসা মূলত দুটি লক্ষ্যে কাজ করছে—চীনের আগেই চাঁদে মার্কিন নভোচারী পাঠানো এবং মঙ্গলে মার্কিন পতাকা স্থাপন। এ লক্ষ্যে মঙ্গল অভিযানের জন্য অতিরিক্ত ১০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
ক্র্যানফিল্ড ইউনিভার্সিটির মহাকাশ বিশ্লেষক ড. অ্যাডাম বেকার বিবিসিকে বলেন, ‘এই বাজেট প্রস্তাব পাস হলে নাসার কার্যক্রমে এক মৌলিক পরিবর্তন আসবে।’
নতুন রকেট বনাম পুরোনো ব্যয়বহুল প্রকল্প
নাসার চাঁদে মানুষ পাঠানোর মূল রকেট—স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনেক বিলম্ব হচ্ছে এবং অতিরিক্ত ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। প্রতিটি উৎক্ষেপণের জন্য ব্যয় হয় ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। বিপরীতে স্পেসএক্সের স্টারশিপ বা ব্লু অরিজিনের নিউ গ্লেন রকেটের উৎক্ষেপণ খরচ আনুমানিক ১০ কোটি ডলার, কারণ এগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য।
হোয়াইট হাউসের প্রস্তাবে এসএলএস ধীরে ধীরে বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে স্টারশিপ এখনো তিনটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হয়েছে এবং নিউ গ্লেন এখনো চাঁদের উদ্দেশে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ শুরু করেনি।
ড. বারবার বলেন, ‘আমরা এক বিপজ্জনক বিকল্পের দিকে এগোচ্ছি। যদি মাস্ক বা বেজোস ভবিষ্যতে আর আগ্রহ না দেখায় কিংবা তাদের কোম্পানি অতিরিক্ত অর্থ দাবি করে, তাহলে কংগ্রেস বাধ্য হবে তা দিতে।’
আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বেও ধাক্কা
এই বাজেট কাটছাঁটের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ)। যেমন—মঙ্গলে পাঠানো রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন রোভার এবং নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভারের সংগ্রহ করা পাথর পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার মিশন।
মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সুরি স্যাটেলাইট টেকনলজির প্রধান প্রফেসর স্যার মার্টিন সুইটিং বলেন, ‘এটি দুঃখজনক হলেও ইউরোপের জন্য একটি সুযোগ হতে পারে নিজেদের মহাকাশ কার্যক্রমে স্বনির্ভরতা বাড়ানোর।’
তবে স্বল্প মেয়াদে ইউরোপের জন্য ফলাফল নেতিবাচক। আইএসএস ও চাঁদের চারপাশে নির্মাণাধীন লুনার গেটওয়ে প্রকল্পে নাসার অবদান কমে গেলে ইউরোপের অংশগ্রহণও ঝুঁকিতে পড়বে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও জলবায়ু গবেষণার জন্য ঝুঁকি
নাসার বেশ কয়েকটি আর্থ অবজারভেশন (পৃথিবী পর্যবেক্ষণ) প্রোগ্রামও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের প্রকল্প পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন ও তার প্রভাব পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ড. বেকার বলেন, ‘এগুলো আমাদের আগাম সতর্কবার্তার ব্যবস্থা। জলবায়ুর প্রভাব পূর্বাভাস দেওয়া ও তা মোকাবিলার ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’
রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা
এখনো কংগ্রেস এই বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন করেনি। তবে দ্য প্ল্যানেটারি সোসাইটির স্পেস নীতি প্রধান কেসি ড্রেয়ার জানান, অনেক রিপাবলিকান সদস্য ব্যক্তিগতভাবে এই বাজেটের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তবে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে চূড়ান্ত বাজেট পাস না হলে হোয়াইট হাউসের এই কম বাজেটই অস্থায়ীভাবে কার্যকর হয়ে যেতে পারে। একবার কোনো মহাকাশ মিশন বন্ধ হয়ে গেলে তা আবার চালু করা প্রায় অসম্ভব বলেই জানান ড্রেয়ার।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বাজেট কাটছাঁটের আশঙ্কা আরও বেড়েছে। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্পগুলোর জন্য বরাদ্দ প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে নাসার ৪০টি চলমান মহাকাশ মিশন বা অভিযান বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।
যেসব প্রকল্পে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছিল, সেসব প্রকল্প সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে পড়েছে। এমনকি প্লুটো গ্রহের বিখ্যাত হৃদয় আকৃতির ছবি তুলেছিল যে মহাকাশযান, তা-ও এই বাজেট কাটছাঁট কারণে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
নাসা তাদের বাজেট প্রস্তাবে জানিয়েছে, তারা চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে নিজেদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উদ্যোগগুলোকে নতুন করে সাজাচ্ছে।
স্পেসএক্স ও নাসার ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে ধোঁয়াশা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্সের সঙ্গে করা সব ফেডারেল চুক্তি বাতিল করা হতে পারে। অথচ নাসা বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) রসদ ও নভোচারী পাঠাতে স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটের ওপর নির্ভর করে। ভবিষ্যতে চাঁদ ও মঙ্গলে নভোচারী পাঠানোর জন্য স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট ব্যবহারের পরিকল্পনাও রয়েছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ মাস্ক হুমকি দেন, স্পেসএক্স ধীরে ধীরে তাদের ‘ড্রাগন’ মহাকাশযান কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই অনিশ্চয়তা সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের ওপেন ইউনিভার্সিটির মহাকাশ বিজ্ঞানী ড. সাইমিয়ন বারবার বলেন, ‘আমরা গত সপ্তাহে যেসব তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত, মতবিরোধ এবং নীতির পরিবর্তন দেখেছি, তা আমাদের মহাকাশযাত্রার ভিত্তিকে নড়িয়ে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মহাকাশ গবেষণা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ের ওপর নির্ভর করে।’
বিবিসির মতে যেসব মিশন ঝুঁকিতে রয়েছে—
এসব প্রকল্প অনেকখানি এগিয়েছে। তবে এগুলোর উন্নয়ন ও উৎক্ষেপণ খরচ ইতিমধ্যে বহন করা হয়েছে। এখন কেবল তাদের পরিচালন ব্যয় প্রয়োজন।

মঙ্গল ও চাঁদে মানুষ পাঠানোই অগ্রাধিকার
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে নাসা মূলত দুটি লক্ষ্যে কাজ করছে—চীনের আগেই চাঁদে মার্কিন নভোচারী পাঠানো এবং মঙ্গলে মার্কিন পতাকা স্থাপন। এ লক্ষ্যে মঙ্গল অভিযানের জন্য অতিরিক্ত ১০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
ক্র্যানফিল্ড ইউনিভার্সিটির মহাকাশ বিশ্লেষক ড. অ্যাডাম বেকার বিবিসিকে বলেন, ‘এই বাজেট প্রস্তাব পাস হলে নাসার কার্যক্রমে এক মৌলিক পরিবর্তন আসবে।’
নতুন রকেট বনাম পুরোনো ব্যয়বহুল প্রকল্প
নাসার চাঁদে মানুষ পাঠানোর মূল রকেট—স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনেক বিলম্ব হচ্ছে এবং অতিরিক্ত ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। প্রতিটি উৎক্ষেপণের জন্য ব্যয় হয় ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। বিপরীতে স্পেসএক্সের স্টারশিপ বা ব্লু অরিজিনের নিউ গ্লেন রকেটের উৎক্ষেপণ খরচ আনুমানিক ১০ কোটি ডলার, কারণ এগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য।
হোয়াইট হাউসের প্রস্তাবে এসএলএস ধীরে ধীরে বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে স্টারশিপ এখনো তিনটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হয়েছে এবং নিউ গ্লেন এখনো চাঁদের উদ্দেশে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ শুরু করেনি।
ড. বারবার বলেন, ‘আমরা এক বিপজ্জনক বিকল্পের দিকে এগোচ্ছি। যদি মাস্ক বা বেজোস ভবিষ্যতে আর আগ্রহ না দেখায় কিংবা তাদের কোম্পানি অতিরিক্ত অর্থ দাবি করে, তাহলে কংগ্রেস বাধ্য হবে তা দিতে।’
আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বেও ধাক্কা
এই বাজেট কাটছাঁটের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ)। যেমন—মঙ্গলে পাঠানো রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন রোভার এবং নাসার পারসিভিয়ারেন্স রোভারের সংগ্রহ করা পাথর পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার মিশন।
মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সুরি স্যাটেলাইট টেকনলজির প্রধান প্রফেসর স্যার মার্টিন সুইটিং বলেন, ‘এটি দুঃখজনক হলেও ইউরোপের জন্য একটি সুযোগ হতে পারে নিজেদের মহাকাশ কার্যক্রমে স্বনির্ভরতা বাড়ানোর।’
তবে স্বল্প মেয়াদে ইউরোপের জন্য ফলাফল নেতিবাচক। আইএসএস ও চাঁদের চারপাশে নির্মাণাধীন লুনার গেটওয়ে প্রকল্পে নাসার অবদান কমে গেলে ইউরোপের অংশগ্রহণও ঝুঁকিতে পড়বে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও জলবায়ু গবেষণার জন্য ঝুঁকি
নাসার বেশ কয়েকটি আর্থ অবজারভেশন (পৃথিবী পর্যবেক্ষণ) প্রোগ্রামও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের প্রকল্প পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন ও তার প্রভাব পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ড. বেকার বলেন, ‘এগুলো আমাদের আগাম সতর্কবার্তার ব্যবস্থা। জলবায়ুর প্রভাব পূর্বাভাস দেওয়া ও তা মোকাবিলার ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’
রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা
এখনো কংগ্রেস এই বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন করেনি। তবে দ্য প্ল্যানেটারি সোসাইটির স্পেস নীতি প্রধান কেসি ড্রেয়ার জানান, অনেক রিপাবলিকান সদস্য ব্যক্তিগতভাবে এই বাজেটের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তবে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে চূড়ান্ত বাজেট পাস না হলে হোয়াইট হাউসের এই কম বাজেটই অস্থায়ীভাবে কার্যকর হয়ে যেতে পারে। একবার কোনো মহাকাশ মিশন বন্ধ হয়ে গেলে তা আবার চালু করা প্রায় অসম্ভব বলেই জানান ড্রেয়ার।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ঘিরে সমর্থকদের উত্তাপ বেড়েছে। তাকে নিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
৫ মিনিট আগে
দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট
১ ঘণ্টা আগে
ভারত সরকার জানিয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
রুবিন জানান, ট্রাম্পের আচরণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ‘হতবাক’। কারণ তাঁর নীতির ফলে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্ক উল্টো দিকে ঘুরে গেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর পেছনে কী ‘পাকিস্তানের চাটুকারিতা, নাকি ঘুষ’ কাজ করেছে?
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ঘিরে সমর্থকদের উত্তাপ বেড়েছে। তাকে নিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আইএসপিআর ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী ইমরান খানকে ‘মানসিক রোগী’ ও ‘জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি’ আখ্যা দিয়েছেন। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পিটিআই নেতা–কর্মী, সমর্থক ও সাবেক এই বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের ভক্তরা। ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে তাঁরা নানা ধরনের ভিডিও–মন্টাজ, পুরোনো অর্জনের তালিকা, রাজনৈতিক বক্তব্য ও মিছিলের দৃশ্য শেয়ার করে এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সের শুরুতেই আহমেদ শরীফ চৌধুরী ‘ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি’র কথা উল্লেখ করেন, যা সেনাবাহিনীর জন্য মোকাবিলা করা প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।
ইমরান খানের নাম উল্লেখ না করে আইএসপিআর ডিজি বলেন, ‘এই হুমকি আসে এক বিভ্রমগ্রস্ত মানুষের বিভ্রমপূর্ণ মানসিকতা থেকে, যিনি নিজের অহংকারের কাছে বন্দী। তিনি মনে করেন তাঁর ইচ্ছাই পাকিস্তান রাষ্ট্রের ইচ্ছার চেয়ে বড়। তাঁর অহং, তাঁর ইচ্ছা আর হতাশা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তিনি মনে করেন তাঁকে ছাড়া দুনিয়া টিকে থাকতে পারবে না। তুমি কে? নিজেকে কী ভাবো তুমি?’
ডিজি আইএসপিআর আরও বলেন, ‘আমার কাছ থেকে এটা শোনা হয়তো কিছুটা অস্বাভাবিক লাগতে পারে, কিন্তু ওই ব্যক্তিটি যে বয়ান দিচ্ছে, তা এখন আর রাজনীতি নয়, এটি জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় হয়ে গেছে।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরি বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে সব বলা, সব দ্বিধা ও সন্দেহ দূর করা এবং প্রয়োজনীয় কথাগুলো প্রকাশ করা সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখার জন্য জরুরি হয়ে উঠেছে। আমাদের বুঝতে হবে এই বয়ান কীভাবে কাজ করছে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এটি কীভাবে বাইরের শক্তির গভীর যোগসাজশে কাজ করছে।’
ইমরান খানের ‘রাষ্ট্রবিরোধী বর্ণনা ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচার’ মোকাবিলায় সামরিক বাহিনী কঠোর হবে বলে জানান আইএসপিআর প্রধান। এরপরই সামাজিকমাধ্যমে ইমরান খানের সমর্থকদের প্রবল সাড়া দেখা যায়।
ক্রিকেট তারকা থেকে প্রধানমন্ত্রী—স্মৃতিচারণায় ভরল টাইমলাইন
খানের ভক্তরা তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক ও ক্রীড়া জীবনের নানা অর্জন তুলে ধরে পোস্ট দিতে থাকেন। অভিনেত্রী মাহিরা খান ও ফাওয়াদ খানের ইমরান খানের নেতৃত্বগুণের প্রশংসামূলক বক্তব্যের পুরোনো ক্লিপ জুড়ে তৈরি করা মন্টাজ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তাঁর ক্রীড়া জীবনের প্রধান মাইলফলকগুলো—
এই পোস্টগুলোতে সমর্থকরা দাবি করছেন, ‘এমন একজন জাতীয় আইকনকে রাষ্ট্রবিরোধী চ্যালেঞ্জ বলা হচ্ছে— এটা দেশের জন্যই লজ্জাজনক।’
র্যালির দৃশ্য, রাজনৈতিক স্লোগান ও জিন্নাহর উদ্ধৃতি
ইমরান খানকে সমর্থন জানাতে অনেকেই সাম্প্রতিক পিটিআই সমর্থকদের র্যালির ভিডিও পোস্ট করেছেন। এসব পোস্টে জিন্নাহর নাগরিক–সামরিক সম্পর্কতত্ত্ব থেকে উদ্ধৃতি তুলে দিয়ে বেসামরিক নেতৃত্বের প্রাধান্যের পক্ষে দাবিও দেখা গেছে। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘ইমরান খান কেবল খেলার মাঠেই নয়, রাজনীতিতেও দৃষ্টিভঙ্গি এনে দিয়েছেন। তাঁর জনপ্রিয়তা মুছে দেওয়া যাবে না।’
সামরিক বাহিনীর প্রতি পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঐতিহাসিকর বার্তাটিও অনেকে শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ভুলে যেও না, সশস্ত্র বাহিনী জনগণের চাকর। তোমরা জাতীয় নীতি তৈরি কর না, আমরা বেসামরিকরাই এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিই। আর তোমাদের দায়িত্ব হলো অর্পিত দায়িত্বপালন করা।’
তিন বছর ধরে কারাবন্দি—তবু জনপ্রিয়তা অটুট
২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ইমরান খান ২০২৩ সাল থেকে কারাবন্দি। তবুও অনলাইনে যে প্রবল সমর্থন ছড়িয়ে পড়েছে, তা তাঁর রাজনৈতিক সক্রিয়তা এবং স্মারক–ইমেজ কতটা প্রভাবশালী রয়ে গেছে!’
বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, আইএসপিআর ডিজির মন্তব্য খানের সমর্থকদের আরও সংগঠিত করে তুলেছে। তাঁদের মতে, পরিস্থিতির রাজনৈতিক উত্তাপ দেখে মনে হচ্ছে, আগামী দিনগুলোতে অনলাইনে এই বিরোধ–বিতর্ক আরও তীব্র হবে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ঘিরে সমর্থকদের উত্তাপ বেড়েছে। তাকে নিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আইএসপিআর ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী ইমরান খানকে ‘মানসিক রোগী’ ও ‘জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি’ আখ্যা দিয়েছেন। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পিটিআই নেতা–কর্মী, সমর্থক ও সাবেক এই বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের ভক্তরা। ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে তাঁরা নানা ধরনের ভিডিও–মন্টাজ, পুরোনো অর্জনের তালিকা, রাজনৈতিক বক্তব্য ও মিছিলের দৃশ্য শেয়ার করে এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সের শুরুতেই আহমেদ শরীফ চৌধুরী ‘ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি’র কথা উল্লেখ করেন, যা সেনাবাহিনীর জন্য মোকাবিলা করা প্রয়োজন হয়ে উঠেছে।
ইমরান খানের নাম উল্লেখ না করে আইএসপিআর ডিজি বলেন, ‘এই হুমকি আসে এক বিভ্রমগ্রস্ত মানুষের বিভ্রমপূর্ণ মানসিকতা থেকে, যিনি নিজের অহংকারের কাছে বন্দী। তিনি মনে করেন তাঁর ইচ্ছাই পাকিস্তান রাষ্ট্রের ইচ্ছার চেয়ে বড়। তাঁর অহং, তাঁর ইচ্ছা আর হতাশা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তিনি মনে করেন তাঁকে ছাড়া দুনিয়া টিকে থাকতে পারবে না। তুমি কে? নিজেকে কী ভাবো তুমি?’
ডিজি আইএসপিআর আরও বলেন, ‘আমার কাছ থেকে এটা শোনা হয়তো কিছুটা অস্বাভাবিক লাগতে পারে, কিন্তু ওই ব্যক্তিটি যে বয়ান দিচ্ছে, তা এখন আর রাজনীতি নয়, এটি জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় হয়ে গেছে।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরি বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে সব বলা, সব দ্বিধা ও সন্দেহ দূর করা এবং প্রয়োজনীয় কথাগুলো প্রকাশ করা সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখার জন্য জরুরি হয়ে উঠেছে। আমাদের বুঝতে হবে এই বয়ান কীভাবে কাজ করছে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এটি কীভাবে বাইরের শক্তির গভীর যোগসাজশে কাজ করছে।’
ইমরান খানের ‘রাষ্ট্রবিরোধী বর্ণনা ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচার’ মোকাবিলায় সামরিক বাহিনী কঠোর হবে বলে জানান আইএসপিআর প্রধান। এরপরই সামাজিকমাধ্যমে ইমরান খানের সমর্থকদের প্রবল সাড়া দেখা যায়।
ক্রিকেট তারকা থেকে প্রধানমন্ত্রী—স্মৃতিচারণায় ভরল টাইমলাইন
খানের ভক্তরা তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক ও ক্রীড়া জীবনের নানা অর্জন তুলে ধরে পোস্ট দিতে থাকেন। অভিনেত্রী মাহিরা খান ও ফাওয়াদ খানের ইমরান খানের নেতৃত্বগুণের প্রশংসামূলক বক্তব্যের পুরোনো ক্লিপ জুড়ে তৈরি করা মন্টাজ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তাঁর ক্রীড়া জীবনের প্রধান মাইলফলকগুলো—
এই পোস্টগুলোতে সমর্থকরা দাবি করছেন, ‘এমন একজন জাতীয় আইকনকে রাষ্ট্রবিরোধী চ্যালেঞ্জ বলা হচ্ছে— এটা দেশের জন্যই লজ্জাজনক।’
র্যালির দৃশ্য, রাজনৈতিক স্লোগান ও জিন্নাহর উদ্ধৃতি
ইমরান খানকে সমর্থন জানাতে অনেকেই সাম্প্রতিক পিটিআই সমর্থকদের র্যালির ভিডিও পোস্ট করেছেন। এসব পোস্টে জিন্নাহর নাগরিক–সামরিক সম্পর্কতত্ত্ব থেকে উদ্ধৃতি তুলে দিয়ে বেসামরিক নেতৃত্বের প্রাধান্যের পক্ষে দাবিও দেখা গেছে। কেউ কেউ লিখেছেন, ‘ইমরান খান কেবল খেলার মাঠেই নয়, রাজনীতিতেও দৃষ্টিভঙ্গি এনে দিয়েছেন। তাঁর জনপ্রিয়তা মুছে দেওয়া যাবে না।’
সামরিক বাহিনীর প্রতি পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঐতিহাসিকর বার্তাটিও অনেকে শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ভুলে যেও না, সশস্ত্র বাহিনী জনগণের চাকর। তোমরা জাতীয় নীতি তৈরি কর না, আমরা বেসামরিকরাই এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিই। আর তোমাদের দায়িত্ব হলো অর্পিত দায়িত্বপালন করা।’
তিন বছর ধরে কারাবন্দি—তবু জনপ্রিয়তা অটুট
২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ইমরান খান ২০২৩ সাল থেকে কারাবন্দি। তবুও অনলাইনে যে প্রবল সমর্থন ছড়িয়ে পড়েছে, তা তাঁর রাজনৈতিক সক্রিয়তা এবং স্মারক–ইমেজ কতটা প্রভাবশালী রয়ে গেছে!’
বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, আইএসপিআর ডিজির মন্তব্য খানের সমর্থকদের আরও সংগঠিত করে তুলেছে। তাঁদের মতে, পরিস্থিতির রাজনৈতিক উত্তাপ দেখে মনে হচ্ছে, আগামী দিনগুলোতে অনলাইনে এই বিরোধ–বিতর্ক আরও তীব্র হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বাজেট কাটছাঁটের আশঙ্কা আরও বেড়েছে। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্পগুলোর জন্য বরাদ্দ প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে নাসার ৪০টি
০৮ জুন ২০২৫
দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট
১ ঘণ্টা আগে
ভারত সরকার জানিয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
রুবিন জানান, ট্রাম্পের আচরণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ‘হতবাক’। কারণ তাঁর নীতির ফলে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্ক উল্টো দিকে ঘুরে গেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর পেছনে কী ‘পাকিস্তানের চাটুকারিতা, নাকি ঘুষ’ কাজ করেছে?
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট এবং রুশ ভাষায় অনূদিত শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার একটি কপি।
উপহারগুলোর বিশেষত্ব সম্পর্কে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে বলা হয়েছে—
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা
এটি মহাভারতের একটি অংশ। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরুর ঠিক আগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে কর্তব্য, আত্মা ও মোক্ষলাভ সম্পর্কে যে উপদেশ দিয়েছিলেন, তা-ই এই গ্রন্থে রয়েছে। শ্রীগীতার দর্শন নৈতিক জীবন, মন নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যন্তরীণ শান্তিকে অনুপ্রাণিত করে।
আসামের ব্ল্যাক টি
সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি—উর্বর ব্রহ্মপুত্রের সমভূমিতে উৎপাদিত আসামের ব্ল্যাক টি তার শক্তিশালী মাল্টি ফ্লেভার, উজ্জ্বল রং এবং ঐতিহ্যবাহী ‘আসামিকা’ প্রজাতির জন্য বিখ্যাত। ২০০৭ সালে জিআই ট্যাগ পাওয়া এই চা ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু ও শতবর্ষের ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। শুধু সাংস্কৃতিক মূল্যই নয়, স্বাস্থ্যগত উপকারিতার কারণেও এটি সমানভাবে জনপ্রিয়।
মুর্শিদাবাদের অলংকৃত রুপার টি-সেট
মুর্শিদাবাদে তৈরি জটিল নকশা খোদাই রুপার টি-সেট পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ কারুশিল্পকে তুলে ধরে। ভারত ও রাশিয়া উভয় দেশেই পানীয় হিসেবে চা বেশ জনপ্রিয়। এই উপহার দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বকেই প্রতিফলিত করে।
মহারাষ্ট্রের শিল্পীদের হাতে বানানো রুপার ঘোড়া
মহারাষ্ট্রের এই হস্তশিল্প ভারতের ধাতব কারুশিল্পের সূক্ষ্মতার নিদর্শন। ভারতীয় ও রুশ—উভয় সংস্কৃতিতেই এটি মর্যাদা ও বীরত্বের প্রতীক। ঘোড়াটির গতিশীল ভঙ্গি ভারত-রাশিয়া অংশীদারত্বের অগ্রগতিকে তুলে ধরে।
আগ্রার মার্বেলে তৈরি দাবার বোর্ড
আগ্রার তৈরি হাতে বানানো মার্বেলের দাবার সেট সূক্ষ্ম পাথরের কারুকার্যের ঐতিহ্য তুলে ধরে।
কাশ্মীরি জাফরান
স্থানীয় ভাষায় ‘কঙ’ বা ‘জাফরান’ নামে পরিচিত কাশ্মীরি জাফরান তার রং, সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাত। এটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও রন্ধনশৈলীর বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক এই সফরে ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন পুতিন।
মোদির সঙ্গে হওয়া বৈঠকে ‘গঠনমূলক ও বন্ধুত্বসুলভ’ বলে প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হওয়ার কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট এবং রুশ ভাষায় অনূদিত শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার একটি কপি।
উপহারগুলোর বিশেষত্ব সম্পর্কে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে বলা হয়েছে—
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা
এটি মহাভারতের একটি অংশ। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরুর ঠিক আগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে কর্তব্য, আত্মা ও মোক্ষলাভ সম্পর্কে যে উপদেশ দিয়েছিলেন, তা-ই এই গ্রন্থে রয়েছে। শ্রীগীতার দর্শন নৈতিক জীবন, মন নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যন্তরীণ শান্তিকে অনুপ্রাণিত করে।
আসামের ব্ল্যাক টি
সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি—উর্বর ব্রহ্মপুত্রের সমভূমিতে উৎপাদিত আসামের ব্ল্যাক টি তার শক্তিশালী মাল্টি ফ্লেভার, উজ্জ্বল রং এবং ঐতিহ্যবাহী ‘আসামিকা’ প্রজাতির জন্য বিখ্যাত। ২০০৭ সালে জিআই ট্যাগ পাওয়া এই চা ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু ও শতবর্ষের ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। শুধু সাংস্কৃতিক মূল্যই নয়, স্বাস্থ্যগত উপকারিতার কারণেও এটি সমানভাবে জনপ্রিয়।
মুর্শিদাবাদের অলংকৃত রুপার টি-সেট
মুর্শিদাবাদে তৈরি জটিল নকশা খোদাই রুপার টি-সেট পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ কারুশিল্পকে তুলে ধরে। ভারত ও রাশিয়া উভয় দেশেই পানীয় হিসেবে চা বেশ জনপ্রিয়। এই উপহার দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বকেই প্রতিফলিত করে।
মহারাষ্ট্রের শিল্পীদের হাতে বানানো রুপার ঘোড়া
মহারাষ্ট্রের এই হস্তশিল্প ভারতের ধাতব কারুশিল্পের সূক্ষ্মতার নিদর্শন। ভারতীয় ও রুশ—উভয় সংস্কৃতিতেই এটি মর্যাদা ও বীরত্বের প্রতীক। ঘোড়াটির গতিশীল ভঙ্গি ভারত-রাশিয়া অংশীদারত্বের অগ্রগতিকে তুলে ধরে।
আগ্রার মার্বেলে তৈরি দাবার বোর্ড
আগ্রার তৈরি হাতে বানানো মার্বেলের দাবার সেট সূক্ষ্ম পাথরের কারুকার্যের ঐতিহ্য তুলে ধরে।
কাশ্মীরি জাফরান
স্থানীয় ভাষায় ‘কঙ’ বা ‘জাফরান’ নামে পরিচিত কাশ্মীরি জাফরান তার রং, সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাত। এটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও রন্ধনশৈলীর বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক এই সফরে ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন পুতিন।
মোদির সঙ্গে হওয়া বৈঠকে ‘গঠনমূলক ও বন্ধুত্বসুলভ’ বলে প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হওয়ার কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বাজেট কাটছাঁটের আশঙ্কা আরও বেড়েছে। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্পগুলোর জন্য বরাদ্দ প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে নাসার ৪০টি
০৮ জুন ২০২৫
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ঘিরে সমর্থকদের উত্তাপ বেড়েছে। তাকে নিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
৫ মিনিট আগে
ভারত সরকার জানিয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
রুবিন জানান, ট্রাম্পের আচরণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ‘হতবাক’। কারণ তাঁর নীতির ফলে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্ক উল্টো দিকে ঘুরে গেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর পেছনে কী ‘পাকিস্তানের চাটুকারিতা, নাকি ঘুষ’ কাজ করেছে?
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজেদের সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন ইন্ডিগো টানা পাঁচ দিন ৩৮৫টি ফ্লাইট বাতিল করায় আজ শনিবার বিমান ভাড়ায় সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করেছে ভারত সরকার। বলা হয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিলে বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই বিমানবন্দরের বাইরে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন। এতে দেশজুড়ে বিমান যোগাযোগ কার্যত ভেঙে পড়েছে।
মূলত পাইলট সংকটের কারণে চলতি সপ্তাহে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করে ইন্ডিগো। পাইলটদের কর্মঘণ্টা সীমিত করার নতুন নিয়মের জন্য আগাম পরিকল্পনা করতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ভারত সরকার গতকাল শুক্রবার চলমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় এয়ারলাইনটির জন্য বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দেয় এবং বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভিড় কমাতে অতিরিক্ত ট্রেন চালুর ব্যবস্থা করে।
দিল্লি বিমানবন্দর আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানায়, ধীরে ধীরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে দেশের অন্যান্য স্থানে ফ্লাইট বাতিলের হার এখনো বেশি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিলের কারণে ভারতের অন্যান্য এয়ারলাইনের জনপ্রিয় রুটের ভাড়া বেড়ে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ তাই বিমান ভাড়ায় সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হলো।
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা রিয়েল-টাইম ডেটা ও এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ভাড়ার মাত্রা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় বিমান ভাড়া বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

নিজেদের সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন ইন্ডিগো টানা পাঁচ দিন ৩৮৫টি ফ্লাইট বাতিল করায় আজ শনিবার বিমান ভাড়ায় সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করেছে ভারত সরকার। বলা হয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিলে বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই বিমানবন্দরের বাইরে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন। এতে দেশজুড়ে বিমান যোগাযোগ কার্যত ভেঙে পড়েছে।
মূলত পাইলট সংকটের কারণে চলতি সপ্তাহে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করে ইন্ডিগো। পাইলটদের কর্মঘণ্টা সীমিত করার নতুন নিয়মের জন্য আগাম পরিকল্পনা করতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ভারত সরকার গতকাল শুক্রবার চলমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় এয়ারলাইনটির জন্য বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দেয় এবং বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভিড় কমাতে অতিরিক্ত ট্রেন চালুর ব্যবস্থা করে।
দিল্লি বিমানবন্দর আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানায়, ধীরে ধীরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে দেশের অন্যান্য স্থানে ফ্লাইট বাতিলের হার এখনো বেশি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিলের কারণে ভারতের অন্যান্য এয়ারলাইনের জনপ্রিয় রুটের ভাড়া বেড়ে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ তাই বিমান ভাড়ায় সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হলো।
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা রিয়েল-টাইম ডেটা ও এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ভাড়ার মাত্রা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় বিমান ভাড়া বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বাজেট কাটছাঁটের আশঙ্কা আরও বেড়েছে। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্পগুলোর জন্য বরাদ্দ প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে নাসার ৪০টি
০৮ জুন ২০২৫
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ঘিরে সমর্থকদের উত্তাপ বেড়েছে। তাকে নিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
৫ মিনিট আগে
দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট
১ ঘণ্টা আগে
রুবিন জানান, ট্রাম্পের আচরণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ‘হতবাক’। কারণ তাঁর নীতির ফলে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্ক উল্টো দিকে ঘুরে গেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর পেছনে কী ‘পাকিস্তানের চাটুকারিতা, নাকি ঘুষ’ কাজ করেছে?
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক পেন্টাগন কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন দাবি করেছেন, পাকিস্তানের ‘চাটুকারিতা’ ও ‘ঘুষে’ যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে। তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘চরম অযোগ্যতার’ কারণেই ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুবিন জানান, ট্রাম্পের আচরণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ‘হতবাক’। কারণ তাঁর নীতির ফলে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্ক উল্টো দিকে ঘুরে গেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর পেছনে কী ‘পাকিস্তানের চাটুকারিতা, নাকি ঘুষ’ কাজ করেছে?
রুবিন বলেন, ‘আমাদের অনেকেই এখনো বুঝে উঠতে পারছি না, কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককে নষ্ট করে দিলেন। অনেকেই প্রশ্ন করেন, তিনি আসলে কিসে প্ররোচিত হলেন। হয়তো পাকিস্তানের তোষামোদ। অথবা পাকিস্তান বা তাদের পৃষ্ঠপোষক তুরস্ক ও কাতারের ঘুষ ট্রাম্পকে প্রভাবিত করেছে... কিন্তু এটি এমনই এক ভয়াবহ ঘুষ, যার বোঝা আমেরিকাকে দশকের পর দশক কৌশলগত ঘাটতির মুখে ফেলবে।’
রুবিন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে রুশ তেল কেনা নিয়ে ‘শিক্ষা দেওয়ার’ চেষ্টা করছে। অথচ ওয়াশিংটন নিজেই মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য করছে—এটা ‘ভন্ডামি’। তিনি জানান, ভারতের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নয়াদিল্লির অবস্থান যৌক্তিক।
রুবিন বলেন, ‘আমেরিকানরা কী বোঝেন না, যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভারতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্যই তাঁরা নির্বাচিত করেছেন। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। খুব শিগগিরই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাশিয়া ছাড়া আমাদের বিকল্প বাজার নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া থেকে জিনিসপত্র কিনতে বাধ্য। এই অবস্থায় ভারতকে রুশ পণ্য কিনতে বাধা দেওয়া এক ধরনের ভন্ডামি।’
তিনি বলেন, ‘ভারতকে উপদেশ দেওয়ার বদলে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত কম দামে জ্বালানি সরবরাহ করা। যদি আমরা তা দিতে না পারি, তবে সবচেয়ে ভালো চুপ থাকা। কারণ ভারতকে সবার আগে তার নিজের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হয়।’
উল্লেখ্য, ট্রাম্প চলতি বছরের আগস্টে ভারতের বেশির ভাগ পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল, নয়াদিল্লির রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখা।’
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৪ ডিসেম্বর ভারত পৌঁছান ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এই শীর্ষ বৈঠকে জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি পুতিনকে ভারতের প্রতি তাঁর ‘অটল অঙ্গীকারের’ জন্য ধন্যবাদ জানান।
পুতিন মোদিকে বলেন, ‘রাশিয়া ভারতের জ্বালানি খাত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় তেল, গ্যাস, কয়লা এবং সব ধরনের সম্পদের নির্ভরযোগ্য জোগানদাতা। দ্রুতবর্ধনশীল ভারতীয় অর্থনীতির জন্য আমরা অবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত।’ শুক্রবার রাতে পুতিন ভারতের সফর শেষ করেন।

সাবেক পেন্টাগন কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন দাবি করেছেন, পাকিস্তানের ‘চাটুকারিতা’ ও ‘ঘুষে’ যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে। তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘চরম অযোগ্যতার’ কারণেই ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুবিন জানান, ট্রাম্পের আচরণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ‘হতবাক’। কারণ তাঁর নীতির ফলে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্ক উল্টো দিকে ঘুরে গেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর পেছনে কী ‘পাকিস্তানের চাটুকারিতা, নাকি ঘুষ’ কাজ করেছে?
রুবিন বলেন, ‘আমাদের অনেকেই এখনো বুঝে উঠতে পারছি না, কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককে নষ্ট করে দিলেন। অনেকেই প্রশ্ন করেন, তিনি আসলে কিসে প্ররোচিত হলেন। হয়তো পাকিস্তানের তোষামোদ। অথবা পাকিস্তান বা তাদের পৃষ্ঠপোষক তুরস্ক ও কাতারের ঘুষ ট্রাম্পকে প্রভাবিত করেছে... কিন্তু এটি এমনই এক ভয়াবহ ঘুষ, যার বোঝা আমেরিকাকে দশকের পর দশক কৌশলগত ঘাটতির মুখে ফেলবে।’
রুবিন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে রুশ তেল কেনা নিয়ে ‘শিক্ষা দেওয়ার’ চেষ্টা করছে। অথচ ওয়াশিংটন নিজেই মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য করছে—এটা ‘ভন্ডামি’। তিনি জানান, ভারতের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নয়াদিল্লির অবস্থান যৌক্তিক।
রুবিন বলেন, ‘আমেরিকানরা কী বোঝেন না, যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভারতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্যই তাঁরা নির্বাচিত করেছেন। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। খুব শিগগিরই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাশিয়া ছাড়া আমাদের বিকল্প বাজার নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া থেকে জিনিসপত্র কিনতে বাধ্য। এই অবস্থায় ভারতকে রুশ পণ্য কিনতে বাধা দেওয়া এক ধরনের ভন্ডামি।’
তিনি বলেন, ‘ভারতকে উপদেশ দেওয়ার বদলে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত কম দামে জ্বালানি সরবরাহ করা। যদি আমরা তা দিতে না পারি, তবে সবচেয়ে ভালো চুপ থাকা। কারণ ভারতকে সবার আগে তার নিজের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হয়।’
উল্লেখ্য, ট্রাম্প চলতি বছরের আগস্টে ভারতের বেশির ভাগ পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল, নয়াদিল্লির রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখা।’
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৪ ডিসেম্বর ভারত পৌঁছান ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এই শীর্ষ বৈঠকে জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি পুতিনকে ভারতের প্রতি তাঁর ‘অটল অঙ্গীকারের’ জন্য ধন্যবাদ জানান।
পুতিন মোদিকে বলেন, ‘রাশিয়া ভারতের জ্বালানি খাত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় তেল, গ্যাস, কয়লা এবং সব ধরনের সম্পদের নির্ভরযোগ্য জোগানদাতা। দ্রুতবর্ধনশীল ভারতীয় অর্থনীতির জন্য আমরা অবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত।’ শুক্রবার রাতে পুতিন ভারতের সফর শেষ করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বাজেট কাটছাঁটের আশঙ্কা আরও বেড়েছে। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্পগুলোর জন্য বরাদ্দ প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে নাসার ৪০টি
০৮ জুন ২০২৫
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে ঘিরে সমর্থকদের উত্তাপ বেড়েছে। তাকে নিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সাম্প্রতিক মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
৫ মিনিট আগে
দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট
১ ঘণ্টা আগে
ভারত সরকার জানিয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে