Ajker Patrika

‘আমেরিকান ড্রিম’ নিয়ে মিথ ভেঙে হার্ভার্ডের শীর্ষ সম্মাননা পেলেন ভারতীয় অর্থনীতিবিদ

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বসবাস করে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ ‘আমেরিকান ড্রিম’ হিসেবে প্রচলিত। এই স্বপ্ন যারা ছুঁতে পেরেছেন এবং যারা এর পেছনে ছুটে বহু বাধার মুখে পড়েছেন, তাঁদের নিয়ে অনেক মিথ বা কল্পকাহিনী প্রচলিত আছে। তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সেই মিথ ভাঙার জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ সম্মাননা পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিক। 

রাজ চেটি নামে ভারতীয়–আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ‘জর্জ লেডলি প্রাইজ’ নামে ঈর্ষণীয় সম্মাননাটি পেয়েছেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক চেটি গবেষণা সংস্থা অপরচুনিটি ইনসাইটের পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। অপরচুনিটি ইনসাইট বৈষম্য নিয়ে গবেষণা করে থাকে।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সিস্টেম বায়োলজির প্রফেসর ও জীববিজ্ঞানী মাইকেল স্প্রিংগারও এই সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি করোনার বিস্তৃতি মোকাবিলার জন্য দ্রুত ও উন্নত কোভিড টেস্ট সিস্টেম তৈরি করেছেন তিনি।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা এলান এম গারবার বলেন, অর্থনীতির গতিশীলতা নিয়ে রাজের যুগান্তকারী কাজ এবং নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে তাঁর এসব ডেটা (উপাত্ত) বিনিময়ের প্রচেষ্টা ‘আমেরিকান ড্রিমকে’ সবার কাছে আরও সহজলভ্য করবে। 

গারবার আরও বলেন, মাইক ও রাজ- দুজনই অনন্য গবেষক। তারা শুধু যে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসাধারণ উন্নতি সাধন করেছেন তা নয়, তারা বর্তমান ও ভবিষ্যতে মানুষের জীবনের উন্নয়নেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজ্ঞান বা মানুষের জীবনে উন্নয়নে সবচেয়ে বড় অবদান রাখা হার্ভার্ড কমিউনিটির সদস্যদের প্রতি দুই বছর পর পর এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

চেটি বলেন, তাঁর বাবা মা দক্ষিণ ভারতের গ্রামে নিম্নবিত্ত পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য পরিবার থেকে তাঁদেরকে নির্বাচন করা হয়। এই জন্য তাঁরা বিদেশে আসার সুযোগ পান। নয় বছর বয়সে তিনি ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। 

তিনি আরো বলেন, ‘সেসময়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিবার থেকে এক সন্তানকে এভাবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য নির্বাচন করা হতো। কারণ প্রতিটি সন্তানকে উন্নত শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করা তাদের জন্য সম্ভব ছিল না। ভাগ্যক্রমে আমার মা ও বাবা- দুজনই দুই পরিবার থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।’ 

এই যে সুযোগ তিনি পেলেন, এর কারণেই তার ও তার কাজিনদের মধ্যে জীবনে বড় পার্থক্য তৈরি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। 

চেটির পর্যবেক্ষণ হলো- শিশুদের বিকাশে ভৌগোলিক অবস্থান সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু জায়গা আছে, যেখানে একই ধরনের সামাজিক অবস্থানের হলেও শিশুদের উন্নতির সম্ভাবনা বেশি। 

চেটির কাছে এই পুরস্কার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই পুরস্কারের মাধ্যমে অর্থনীতিকে বিজ্ঞান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত