Ajker Patrika

সাবেক অ্যাটর্নি রুডি জুলিয়ানির আইনজীবী নিবন্ধন স্থগিত

আপডেট : ২৫ জুন ২০২১, ১৩: ২৭
সাবেক অ্যাটর্নি রুডি জুলিয়ানির আইনজীবী নিবন্ধন স্থগিত

 

ঢাকা: ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচন নিয়ে 'মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য' দেওয়ায় রুডি জুলিয়ানির আইনজীবী নিবন্ধন সাময়িক স্থগিত করেছেন নিউইয়র্কের আদালত। বৃহস্পতিবার আদালত এই আদেশ দেন। রুডি জুলিয়ানি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী ছিলেন।  

শৃঙ্খলা সংক্রান্ত আদালতের এই রায়ে বলা হয়েছে ম্যানহাটনের সাবেক অ্যাটর্নি জুলিয়ানি প্রমাণিত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। ২০২০ সালে নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ের পর পুনর্নির্বাচন চেয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন জুলিয়ানি। 

আদালত লিখেছে, তাঁর আচরণ জনস্বার্থের জন হুমকি স্বরূপ। তাই আইন প্রয়োগ থেকে তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি জুলিয়ানির খ্যাতি অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ তিনি ম্যানহাটন অ্যাটর্নি অফিসের মাধ্যমে অবৈধ তদবির করেছিলেন। যার জন্য তিনি তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

জুলিয়ানির আইনজীবী জন লেভেন্টাল ও ব্যারি ক্যামিন্স বৃহস্পতিবার বলেছেন, আপিল বিভাগের রায়ে আমরা হতাশ। যে বিষয়ে তাঁর ওপর অভিযোগ সেগুলোর শুনানির আগেই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের ক্লায়েন্ট জনস্বার্থে সমস্যা তৈরি করেননি।

তাঁরা বলেন, একবার শুনানি করা হলেই আবারও তাঁকে তাঁর সম্মান ফিরিয়ে দেবেন। এত বছর তিনি যে সম্মান অর্জন করেছেন।

সিএনএনের সিনিয়র আইন বিশ্লেষক এলি হনিং এ বিষয়ে বলেন, 'এ জাতীয় স্থগিতাদেশ অস্বাভাবিক'।

তিনি বলেন, আপনি একজন আইনজীবী, আপনার কাজ হচ্ছে আপনার ক্লায়েন্টের প্রতিনিধিত্ব করা। এমন ঘটনা প্রতিদিন ঘটে না। আদালতের এ সিদ্ধান্ত বিরল ঘটনা।

জিলিয়ানি বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোট পরিচালনা সংস্থা ডোমিনিয়ন ভোটিং সিস্টেমের একটি মানহানির মামলাতে আদালতে হাজির হয়েছিলেন। নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে জুলিয়ানির বক্তব্যের কারণে এই মামলা করা হয়েছে।

নিউইয়র্কের আপিল আদালত জুলিয়ানির বিষয়ে বলেছেন, তিনি বলেছিলেন ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে ট্রাম্পের কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। মিথ্যা বা বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের পক্ষে কথা বলেছিলেন তিনি।

আদালতে বলেছেন, জুলিয়ানি স্বীকার করেছেন তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অসত্য ছিল, কিন্তু দাবি করেছেন যে তিনি জেনে-শুনে অসত্য বক্তব্য দেননি। উদাহরণ স্বরূপ বলেছেন, পেনসিলভানিয়ার ভুয়া ব্যালটের বিষয়ে তিনি দলের অজ্ঞাত কয়েকজন নেতার ওপর নির্ভর করেছিলেন। পেনসিলভানিয়ার ওয়েবসাইট থেকে তথ্যটি ভুলভাবে তালিকাভুক্ত করেছিলেন।

আদালত জুলিয়ানির বরাত দিয়ে হলফনামায় লিখেছেন, তাঁর এই ব্যাখ্যার সমর্থন করার মত কোন প্রমাণ নেই।

অন্যান্য মামলায় আদালত বলেছেন যে, জিলিয়ানি তাঁর বক্তব্যের জন্য কোন উৎস সরবরাহ করতে পারেননি। উদাহরণ স্বরূপ আদালত বলেছেন, নির্বাচনের সময় তিনি জর্জিয়ায় মৃত ব্যক্তি ভোট দিয়েছেন বলে প্রচার করেছিলেন। যা তিনি বিভিন্ন সময় ৮০০ থেকে ৬ হাজার পর্যন্ত বলেছিলেন।

আদালত বলেছেন, এটি তাঁর বিরুদ্ধে অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ। কারণ জুলিয়ানির আচরণ জনগণ ওপর তাৎক্ষণিক হুমকি স্বরূপ।

এ বিষয়ে আইনজীবী রোনাল্ড মিনকফ বলেছেন, এত দ্রুত জিলিয়ানির স্থগিতাদেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এখনও তাঁর শুনানির অধিকার রয়েছে। তবে কিছুটা সময় লাগবে।

মিনকফ তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করেন যারা জানুয়ারিতে জুলিয়ানির ওপর অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

আদালতে সর্বশেষে বলেছেন, ২০২০ সালের নির্বাচনের বৈধতা ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য আমাদের আস্থা হ্রাস করে। যা সমাজের যথাযত কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত করে।

প্রসঙ্গত, রুডি জুলিয়ানিকে নিউইয়র্কের মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘লিংকনের সঙ্গে মানায় না’, তাই নতুন বাথরুম বানালেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল
সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল

দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে পা রাখার পর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের জন্য নির্ধারিত এই বাসভবনে রীতিমতো ভাঙচুর চালাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পূর্বের দিক ভেঙে বলরুম বানানোর পর এবার লিংকন বেডরুমে সংযুক্ত বাথরুমের নতুন রূপ দিলেন আর বললেন ‘আগের ডিজাইনটা লিংকনের সঙ্গে মানাচ্ছিল না।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন বাথরুমের ছবি শেয়ার করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘১৯৪০-এর দশকে আর্ট ডেকো সবুজ টাইলসে সংস্কার করা হয়েছিল এটি। এটা মোটেও লিংকন যুগের সঙ্গে মিলছিল না। তাই সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন করে সাজিয়ে দিলাম। এটাই আব্রাহাম লিংকনের সময়কালের জন্য ঠিকঠাক।’

বাথরুমটি আব্রাহাম লিংকনের অফিস ও কেবিনেট কক্ষের অংশ। ১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে হোয়াইট হাউসের বড় সংস্কারের সময় এটি ঠিক করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান। হোয়াইট হাউস হিস্টোরিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, লিংকনের অফিস ও বেডরুমের ওয়ালপেপার সবুজ ও সোনালি রঙের ছিল।

সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল
সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল

এখন বাথরুমের সিঙ্ক, বাথটাবের কল এবং শাওয়ার ডোরে সোনালি ফিক্সচার ও অ্যাকসেন্ট যুক্ত করা হয়েছে। সেখানে একটি ঝাড়বাতিও যুক্ত করা হয়েছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই সংস্কারের জন্য করদাতাদের কোনো খরচ বহন করতে হয়নি। এটি ব্যক্তিগতভাবে অর্থায়ন করা হয়েছে।

এদিকে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে নিজের ছাপ রাখার চেষ্টা করায় সংরক্ষণ সংস্থা ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন।

আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইস্ট উইংয়ে বলরুম বানানো ‘বর্তমান ভবনে প্রভাব ফেলবে না।’ অক্টোবর মাসে তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান কাঠামো’ ধ্বংস করতে হবে। বলরুম নির্মাণের পুরো খরচ তিনি এবং তাঁর কিছু বন্ধু বহন করেছেন বলে দাবি করেন ট্রাম্প।

সংরক্ষণবাদীরা যুক্তি দিয়েছেন, পরিবর্তনগুলো করার আগে ট্রাম্পকে জনসমীক্ষা নেওয়া উচিত ছিল। তাদের মতে, এসব পরিবর্তন হোয়াইট হাউসের ঐতিহ্য শৈলীকে প্রভাবিত করবে।

ডেমোক্রেটরা অভিযোগ করে বলেন, ট্রাম্প সরকারের শাটডাউনের সমাধান না করে হোয়াইট হাউস পুনঃনির্মাণে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।

সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল
সাদা-কালো মার্বেল পাথরে নতুন ‘লিংকন বাথরুম’। ছবি: ট্রুথ সোশ্যাল

হোয়াইট হাউস সমালোচকদের জবাবে জানিয়েছে, ‘উন্মত্ত বামপন্থীরা’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের ব্যক্তিগতভাবে অর্থায়িত দৃষ্টিনন্দন বলরুম নিয়ে অযথা উৎকণ্ঠিত। তারা এটিকে সাহসী এবং প্রয়োজনীয় সংযোজন বলে অভিহিত করেছে।

এছাড়াও গত আগস্টে হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনের ঘাসের লনকে পাথরে ঢেকে প্যাটিওতে রূপান্তর করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে ওভাল অফিসে সোনার ফ্রেমে বাঁধানো ছবি, সোনার ফ্রেমযুক্ত আয়না এবং সিলিংয়ে প্রেসিডেন্টিয়াল সিলের জন্য সোনার পাত যুক্ত করেছেন তিনি।

ডেমোক্রেটিক সিনেট সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে আপনার স্বাস্থ্যসেবা ঠিক করার চেয়ে তাঁর বাথরুম নিয়ে বেশি চিন্তিত।’

গতকাল শনিবার এক অনুষ্ঠানে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ট্রাম্পের মনোযোগ রোজ গার্ডেনের লন পাথরে ঢেকে দেওয়ার ওপর যাতে কাউকে কাদা না মাড়াতে হয়। তিনি ওভাল অফিস সোনায় বাঁধাই করা এবং ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বলরুম নির্মাণের মতো কাজ নিয়ে বেশি মনোযোগী।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আপনারা ডাক্তার দেখাতে না পারলে চিন্তা নেই। তাঁর নাচ দেখলেই সুস্থ হয়ে যাবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে সিরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন আল–শারা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ট্রাম্পের সঙ্গে শারা। ছবি: এএফপি
ট্রাম্পের সঙ্গে শারা। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামী ১০ নভেম্বর সিরিয়ার অন্তর্বর্তী নেতা বৈঠকের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাবেন আল–শারা। যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়া বিষয়ক দূত টম বারাকের বরাতে এমন খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস।

এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে ইতিহাসে এটাই হবে কোনো সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। টম বারাক অ্যাক্সিওসকে গতকাল শনিবার জানিয়েছেন, আল-শারা সফরকালে আইএসআইএল (আইসিস) বিরোধী মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটে যোগ দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে সই করবেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সও সিরিয়ার এক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই সফরটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নথি অনুযায়ী, এর আগে কোনো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট কখনো আনুষ্ঠানিক সফরে ওয়াশিংটন যাননি।

গত ডিসেম্বর বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করেন আল-শারা। তারপর থেকেই তিনি বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে সেসব দেশের সঙ্গে, যেসব দেশ আসাদের আমলে দামেস্ককে প্রায় সম্পূর্ণভাবে বয়কট করেছিল।

গত মে মাসে সৌদি আরবে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। এটাই ছিল দুই দেশের নেতাদের মধ্যে ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম সাক্ষাৎ। উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের ফাঁকে এই সাক্ষাৎ ঘটে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ছিল সিরিয়ার জন্য এক বড় মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। গত সেপ্টেম্বর আল-শারা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণও দেন।

বাহরাইনে অনুষ্ঠিত মানামা ডায়ালগের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মার্কিন দূত বারাক বলেন, ওয়াশিংটন চায় ২০১৪ সাল থেকে আইএসআইএলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে যে আন্তর্জাতিক জোট সিরিয়া সেই জোটের অন্তর্ভুক্ত হোক। এই সশস্ত্র গোষ্ঠী ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সিরিয়া ও ইরাকের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড দখলে নিয়েছিল। বারাক বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যেন সবাই এই জোটের অংশ হয়। এটা তাদের (সিরিয়ার) জন্য বিশাল সুযোগ।’

আল-শারা একসময় আল-কায়েদার সিরিয়ার শাখার নেতৃত্বে ছিলেন। তবে এক দশক আগে তাঁর নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী গোষ্ঠী ওসামা বিন লাদেনের নেটওয়ার্ক থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং পরে আইএসআইএলের বিরুদ্ধেও লড়াই করে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ১ কোটি ডলার।

আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত আল-শারা একসময় ইরাকে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। সেখানে মার্কিন সেনারা তাঁকে কয়েক বছর আটকও রেখেছিল। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট ও স্থানীয় মিত্ররা ২০১৯ সালে সিরিয়া থেকে আইএসআইএলকে সম্পূর্ণভাবে বিতাড়িত করে।

এদিকে, সিরিয়া ও ইসরায়েলও শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। দামেস্ক আশা করছে, এর মাধ্যমে ইসরায়েলি বিমান হামলা বন্ধ হবে এবং দক্ষিণ সিরিয়ায় প্রবেশ করা ইসরায়েলি সেনারা সরে যাবে। মানামা ডায়ালগে বারাক বলেন, সিরিয়া ও ইসরায়েল উভয়েই উত্তেজনা প্রশমন আলোচনায় যুক্ত আছে এবং যুক্তরাষ্ট্র এই প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করছে।

তিনি জানান, দুই দেশ একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে, তবে কখন সেটি সম্পন্ন হতে পারে তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান। ইসরায়েল ও সিরিয়া বহু দশক ধরেই মধ্যপ্রাচ্যের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র। যদিও গত ডিসেম্বর আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, তবু দুই দেশের মধ্যে সীমান্তবিরোধ ও রাজনৈতিক অবিশ্বাস এখনো গভীরভাবে বিদ্যমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তে কাঁটাতার থাকবে না: বিজেপি এমপি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তে  কাঁটাতার থাকবে না: বিজেপি এমপি

ভারতীয় জনতা পার্টি–বিজেপির এমপি জগন্নাথ সরকারের মন্তব্যে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে উত্তাপ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেছেন, ২০২৬ সালের রাজ্য নির্বাচনেও যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বেড়াগুলো সরিয়ে ফেলা হবে এবং দুই দেশ আবার এক হয়ে যাবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, জগন্নাথ সরকার গত বৃহস্পতিবার নিজ নির্বাচনী এলাকায় এক রাজনৈতিক র‍্যালিতে বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এবার যদি আমরা নির্বাচনে জয়ী হই, তবে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া থাকবে না। আগে আমরা এক দেশ ছিলাম, ভবিষ্যতে আবার এক হব।’

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬ সালে হওয়ার কথা। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই রাজ্যে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর প্রক্রিয়া চালু করেছে, যাতে অবৈধ ভোটারদের বের করা যায়। বিজেপির অভিযোগ, এই অবৈধ ভোটারদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে এসেছে।

জগন্নাথ সরকার আরও বলেন, ‘যদি তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে, তখনো বেড়াগুলো চলে যাবে। কিন্তু তখন এটা বাংলাদেশ হয়ে যাবে।’

পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশের সঙ্গে মোট সীমান্ত প্রায় ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ, যা ভারতের কোনো রাজ্যের মধ্যে সীমান্তের সবচেয়ে বড় অংশ। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৪৭ কিলোমিটার বেড়া দিয়ে ঘেরা হয়ে গেছে। বাকি ৫৬৯ কিলোমিটার এখনো বেড়া ছাড়া। ১১২ কিলোমিটার জায়গায় নদী ও দুর্গম ভূ-প্রকৃতির কারণে বেড়া বসানো সম্ভব নয়।

সীমান্তে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও মানবপাচার বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিজেপির শীর্ষ নেতারা বহুবার তৃণমূল সরকারকে দায়ী করেছেন, যে কারণে বেড়া বসানোর জন্য পর্যাপ্ত জমি দেওয়া হয়নি।

তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির এই বক্তব্যের জবাব দিয়েছে। তারা বলেছে, বিজেপি রাজ্যের সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে এবং সাংসদকে স্থগিত করার দাবি করেছে। তৃণমূল সাংসদ ও জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন, ‘বিজেপি নেতৃত্বের কপটতা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। রাণাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার ঘোষণা করেছেন, যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তবে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কোনো সীমান্ত থাকবে না এবং দুই দেশ এক হয়ে যাবে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার, যার মধ্যে হোম মিনিস্টার অমিত শাহ রয়েছেন, তৃণমূল সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছে সেই সীমান্ত রক্ষার জন্য ভূমি না দেওয়ার অভিযোগ করে।’

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, তাঁর ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কাঁটাতারের বেড়া ইতিমধ্যেই আছে। বাকি অংশেও বসানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতে স্কুলভবন থেকে ৯ বছরের ছাত্রীর ঝাঁপ, পুলিশ পৌঁছার আগেই ধোয়া হলো রক্ত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সিসিটিভি ফুটেজে শিশুটিকে রেলিং থেকে ঝাঁপ দিতে দেখা গেছে। ছবি: স্ক্রিনশট
সিসিটিভি ফুটেজে শিশুটিকে রেলিং থেকে ঝাঁপ দিতে দেখা গেছে। ছবি: স্ক্রিনশট

ভারতের রাজস্থান রাজ্যে জয়পুরের একটি বেসরকারি স্কুলে এক শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে ৯ বছরের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ বলছে, ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে মনে হলেও, স্কুলের ভূমিকা ও পরিস্থিতি ঘিরে সন্দেহ রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীটি রেলিং বেয়ে উপরে উঠে ঝাঁপ দিচ্ছে। ওই সময় অন্য শিক্ষার্থীরা আশপাশে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যাচ্ছিল। প্রায় ৪৭ ফুট ওপর থেকে পড়ে যাওয়ায় তার মৃত্যু হয়।

মনসরোবর থানার হাউস অফিসার (এসএইচও) লাখান খাতানা ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, নীরজা মোদি স্কুলের চতুর্থ তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পর আমায়রা (৯) নামের ওই ছাত্রীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তদন্তে নেমে পুলিশ একটি চাঞ্চল্যকর বিষয় লক্ষ্য করে। কর্মকর্তারা স্কুলে পৌঁছানোর পর দেখেন, যে জায়গাটিতে মেয়েটি পড়েছিল, সেই স্থানটি পরিষ্কার করা হয়েছে, সেখানে রক্তের কোনো দৃশ্যমান দাগ ছিল না। এই বিষয়টি স্কুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

মেয়ের বাবা-মা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘সন্দেহজনক মৃত্যু’র অভিযোগ এনে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। তাঁরা শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভূমিকা নিয়ে পূর্ণ তদন্ত দাবি করেছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন—স্কুলের ভেতরে এমন একটি ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে? আমায়রা তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল।

ঘটনার প্রায় ছয় ঘণ্টা পর, পরিবার থানায় এফআইআর দায়ের করে।

স্কুল কর্তৃপক্ষের নীরবতা এবং অসহযোগিতাও এই ঘটনাকে ঘিরে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসার রাম নিবাস শর্মা গণমাধ্যমকে জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে যোগাযোগ করেনি এবং অধ্যক্ষ ইন্দু দাভের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতেও রাজি হয়নি। তিনি বলেন, তারা শিক্ষা দপ্তরকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে। অধ্যক্ষের প্রতিনিধি আমাদের ফোনকলও ধরেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত