গাজা উপত্যকার দক্ষিণে রাফাহে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী পূর্ণ মাত্রার অভিযান চালায়নি বলে বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের। এমনটি বলেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি। রাফাহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনী পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর এ মন্তব্য করলেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের সময় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাফাহে আশ্রয় নিয়েছিলেন ফিলিস্তিনিরা। এখনো শহরটিতে অন্তত ১০ লাখ শরণার্থী আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি মাসেই বলেছিলেন যে, ইসরায়েল যদি রাফাহের প্রাণকেন্দ্রে প্রবেশ করে তবে ইসরায়েলে সামরিক সহায়তা কমিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু রাফাহে ঠিকই ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গত রোববার এক শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ৪৫ জন, যার মধ্যে বেশির ভাগই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। সেই হামলা সম্পর্কে ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছিল যে, তারা হামাসের দুই জ্যেষ্ঠ নেতাকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। সেখানে হামাসের গোলাবারুদে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
জন কারবিকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল এই হামলার বিষয়ে। হতাহতের ছবিগুলোকে ‘হৃদয়বিদারক’ ও ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করে কারবি বলেন, এই সংঘাতের ফলে কোনো নিরপরাধের প্রাণ হারানো উচিত নয়।
এই হামলা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পূর্বেনির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, ‘নীতিতে বলার মতো কোনো পরিবর্তন হয়নি। রাফাহে বড় মাত্রার স্থল অভিযানকে সমর্থন করি না এবং করব না। প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন যে, যদি এমনটি ঘটে, তবে তাঁকে ইসরায়েলকে সমর্থনের ক্ষেত্রে অন্যান্য সিদ্ধান্তও ভেবে দেখতে হবে।’
জন কারবি আরও বলেন, ‘তবে আমরা এই মুহূর্তে এমনটি ঘটতে দেখিনি। আমরা তাদের রাফাহ শহর বিধ্বস্ত করতে দেখিনি। বিপুলসংখ্যক সৈন্য নিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর বৃহৎ ইউনিটকে রাফাহে প্রবেশ এবং একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে সমন্বিত কৌশলে আক্রমণও করতে দেখিনি।’
গত ৮ মে সিএনএনকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছিলেন যে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ইসরায়েল যদি রাফাহে যায়, তবে যে অস্ত্র ঐতিহাসিকভাবে রাফাহে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তা তিনি সরবরাহ করবেন না।
সে সময় বাইডেন বলেছিলেন যে, তিনি অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করেননি। কারণ ইসরায়েল রাফাহের প্রাণকেন্দ্রে প্রবেশ করেনি এবং তাদের কার্যক্রম সীমান্তেই সীমাবদ্ধ ছিল।
সংঘাতে বেসামরিকদের হতাহতের ঘটনা কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিতে ইসরায়েলি সরকারের ওপর চাপ দেওয়ার জন্য জো বাইডেনের ওপরই চাপ বাড়ছে।
ডেমোক্রেটিক সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন গত জানুয়ারিতে গাজা সফর করেছিলেন। তিনি ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা এবং মানবিক বিপর্যয়ের গভীরতা স্পষ্ট করে দেয় যে, বাইডেন প্রশাসনের নেতানিয়াহু সরকারকে অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা বন্ধ করা উচিত, যতক্ষণ না আমরা জানি যে রাফাহ এবং মানবিক সহায়তার জরুরি সরবরাহসহ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অনুরোধগুলোকে সম্মান করা হচ্ছে।’
গাজা উপত্যকার দক্ষিণে রাফাহে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী পূর্ণ মাত্রার অভিযান চালায়নি বলে বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের। এমনটি বলেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কারবি। রাফাহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনী পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর এ মন্তব্য করলেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের সময় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাফাহে আশ্রয় নিয়েছিলেন ফিলিস্তিনিরা। এখনো শহরটিতে অন্তত ১০ লাখ শরণার্থী আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি মাসেই বলেছিলেন যে, ইসরায়েল যদি রাফাহের প্রাণকেন্দ্রে প্রবেশ করে তবে ইসরায়েলে সামরিক সহায়তা কমিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু রাফাহে ঠিকই ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গত রোববার এক শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ৪৫ জন, যার মধ্যে বেশির ভাগই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। সেই হামলা সম্পর্কে ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছিল যে, তারা হামাসের দুই জ্যেষ্ঠ নেতাকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। সেখানে হামাসের গোলাবারুদে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
জন কারবিকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল এই হামলার বিষয়ে। হতাহতের ছবিগুলোকে ‘হৃদয়বিদারক’ ও ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করে কারবি বলেন, এই সংঘাতের ফলে কোনো নিরপরাধের প্রাণ হারানো উচিত নয়।
এই হামলা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পূর্বেনির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, ‘নীতিতে বলার মতো কোনো পরিবর্তন হয়নি। রাফাহে বড় মাত্রার স্থল অভিযানকে সমর্থন করি না এবং করব না। প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন যে, যদি এমনটি ঘটে, তবে তাঁকে ইসরায়েলকে সমর্থনের ক্ষেত্রে অন্যান্য সিদ্ধান্তও ভেবে দেখতে হবে।’
জন কারবি আরও বলেন, ‘তবে আমরা এই মুহূর্তে এমনটি ঘটতে দেখিনি। আমরা তাদের রাফাহ শহর বিধ্বস্ত করতে দেখিনি। বিপুলসংখ্যক সৈন্য নিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর বৃহৎ ইউনিটকে রাফাহে প্রবেশ এবং একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে সমন্বিত কৌশলে আক্রমণও করতে দেখিনি।’
গত ৮ মে সিএনএনকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছিলেন যে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, ইসরায়েল যদি রাফাহে যায়, তবে যে অস্ত্র ঐতিহাসিকভাবে রাফাহে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তা তিনি সরবরাহ করবেন না।
সে সময় বাইডেন বলেছিলেন যে, তিনি অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করেননি। কারণ ইসরায়েল রাফাহের প্রাণকেন্দ্রে প্রবেশ করেনি এবং তাদের কার্যক্রম সীমান্তেই সীমাবদ্ধ ছিল।
সংঘাতে বেসামরিকদের হতাহতের ঘটনা কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিতে ইসরায়েলি সরকারের ওপর চাপ দেওয়ার জন্য জো বাইডেনের ওপরই চাপ বাড়ছে।
ডেমোক্রেটিক সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন গত জানুয়ারিতে গাজা সফর করেছিলেন। তিনি ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা এবং মানবিক বিপর্যয়ের গভীরতা স্পষ্ট করে দেয় যে, বাইডেন প্রশাসনের নেতানিয়াহু সরকারকে অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা বন্ধ করা উচিত, যতক্ষণ না আমরা জানি যে রাফাহ এবং মানবিক সহায়তার জরুরি সরবরাহসহ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অনুরোধগুলোকে সম্মান করা হচ্ছে।’
ইসরায়েল যদি গাজায় চলমান যুদ্ধ ও মানবিক বিপর্যয় থামাতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য। এমন ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে
১ ঘণ্টা আগেগাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার ৩৪ জন। এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগেরাশিয়ায় ভয়াবহ এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৮ দশমিক ৮। এই শক্তিশালী কম্পনের পর একাধিক দেশে জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা। ধারণা করা হচ্ছে, এটি সাম্প্রতিক কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
২ ঘণ্টা আগেআজ থেকে ৪৪ বছর আগে ১৯৮১ সালের ২৯ জুলাই সেন্ট পল’স ক্যাথেড্রালে প্রিন্স চার্লসকে (বর্তমান ব্রিটিশ রাজা) বিয়ে করেছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। রাজকীয় পোশাক ও ২৫ ফুট লম্বা ট্রেন ছাপিয়ে সেদিন সবার নজর কেড়ে নেয় ডায়ানার মাথার ঝলমলে টায়রা।
১১ ঘণ্টা আগে