Ajker Patrika

২৪ ঘণ্টার বিতর্কের পর ১ ভোটে টিকে গেল ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫, ২৩: ২৯
২৪ ঘণ্টার বিতর্কের পর পাস হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিল ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’। ছবি: ইউএস পোল
২৪ ঘণ্টার বিতর্কের পর পাস হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিল ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’। ছবি: ইউএস পোল

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টার বিতর্কের পর পাস হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর ও ব্যয় বিল ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’। এই বিলকে ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের অন্যতম মুখ্য আইন হিসেবে দেখছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার দিনভর বিতর্কের পর আজ মঙ্গলবার সকালে সিনেটের ভোটাভুটিতে ফল দাঁড়ায় ৫০-৫০। পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স টাই-ব্রেকিং ভোট দিয়ে বিলটি পাসে সহায়তা করেন।

এখন বিলটি আবার নিম্নকক্ষে পাঠানো হয়েছে, যেখানে এটি আরও কঠিন বিরোধিতার মুখে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে উচ্চকক্ষে এক ভোটের ব্যবধানে বিলটির পূর্ববর্তী একটি সংস্করণ পাস হয়েছিল।

সিনেটে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও এই ভোটে দলের তিনজন সিনেটর—সুসান কলিন্স (মেইন), থম টিলিস (নর্থ ক্যারোলিনা) ও র‍্যান্ড পল (কেন্টাকি) ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে মিলিত হয়ে বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। তবে সন্দেহ প্রকাশ করা সত্ত্বেও আলাস্কার লিসা মারকাওস্কি শেষ পর্যন্ত বিলটির পক্ষে অবস্থান নেন।

কী রয়েছে বিলটিতে?

বিলটি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রবর্তিত অস্থায়ী করছাড় স্থায়ী করার প্রস্তাব করছে। এতে সরকারের আয়ের ঘাটতি মেটাতে খাদ্যে ভর্তুকি ও নিম্ন-আয়ের মার্কিনিদের স্বাস্থ্যসেবার মতো একাধিক সামাজিক কর্মসূচিতে ব্যাপক কাটছাঁটের পরিকল্পনা রয়েছে।

ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পর বিলটি পাসের পক্ষে ভোট দিয়েছেন আলাস্কার সিনেটর লিসা মারকাওস্কি। ছবি: এএফপি
ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পর বিলটি পাসের পক্ষে ভোট দিয়েছেন আলাস্কার সিনেটর লিসা মারকাওস্কি। ছবি: এএফপি

বিলটি পাস হলে প্রতিবছর ৬৫০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাজেট ঘাটতি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের হিসাব অনুযায়ী, বিলটি ১ কোটি ২০ লাখ মার্কিনিকে স্বাস্থ্যবিমা থেকে বঞ্চিত করতে পারে এবং ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ যোগ করতে পারে। এ ছাড়া ডেমোক্র্যাটরা বিলটির সমাজকল্যাণ ব্যয়ে কাটছাঁটের বিরোধিতা করেছেন। হাউসের কিছু রিপাবলিকানও আপত্তি তুলেছেন যে, বিলটি মেডিকেইড কর্মসূচিতে হাউসে পাস হওয়া সংস্করণের তুলনায় আরও বেশি কাটছাঁট করেছে।

এদিকে টেক জায়ান্ট ইলন মাস্ক কঠোরভাবে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এই বিলের কারণেই ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। মাস্ক হুমকি দিয়েছেন, যদি বিলটি চূড়ান্তভাবে পাস হয়, তবে তিনি নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করবেন। গতকাল সোমবার তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘যেসব কংগ্রেস সদস্য বাজেটে খরচ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা যদি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঋণ বৃদ্ধির পক্ষে ভোট দেন, তাহলে তাঁদের লজ্জা পাওয়া উচিত।’

এই বিলে মাস্কের একটি স্বার্থও রয়েছে। বিলটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর সরকারি সহায়তা হ্রাস করবে, যা মাস্কের কোম্পানি টেসলাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই নিয়ে ফেসবুকে পুলিশ সদস্যের আপত্তিকর পোস্ট, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

ভালো নেই ওয়েল গ্রুপ

গাজায় ইসরায়েলি ‘গণহত্যায়’ সহযোগিতা করছে যেসব বহুজাতিক কোম্পানি

বিএনপির অনুষ্ঠানে সাংবাদিককে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা, প্রতিবাদ জানালেন ফখরুল

৪০ ঘণ্টার যানজটে ৩ জনের মৃত্যু, সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন ‘মানুষ এত তাড়াতাড়ি বেরোয় কেন?’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত