Ajker Patrika

ইলন মাস্ককে নির্বাসনে পাঠানো যায় কি না, ভেবে দেখবেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গত ১৪ মার্চ হোয়াইট হাউস ত্যাগ করার আগে ওভাল অফিসে কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। ছবি: এএফপি
গত ১৪ মার্চ হোয়াইট হাউস ত্যাগ করার আগে ওভাল অফিসে কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসনের বিষয়টি তিনি ভেবে দেখবেন। রিপাবলিকান-সমর্থিত বাজেট বিল নিয়ে একটি পুরোনো দ্বন্দ্ব আবারও চাঙা হওয়ার পর ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন।

স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সময় সকালে সাংবাদিকেরা প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করেন, তিনি কি মাস্ককে নির্বাসনের বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন? উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না। আমাদের বিষয়টি ভালো করে খতিয়ে দেখতে হবে।’ এই মন্তব্য আসে এমন এক সময়ে, যখন ইলন মাস্ক কংগ্রেসে বিবেচনাধীন একটি করছাড় ও ব্যয় বিলের সমালোচনা করে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের হুমকি দেন।

ট্রাম্প বলেন, মাস্কের কোম্পানিগুলোর জন্য সরকার যেসব ভর্তুকি দেয়, তা পর্যালোচনার জন্য তিনি ডিওজিকে দায়িত্ব দিতে পারেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের হয়তো ইলনের পেছনে ডিওজি লাগাতে হতে পারে। আপনারা জানেন, ডিওজি কী। ডিওজি হচ্ছে সেই দানব, যেটা ইলন মাস্ককে গিলে ফেলতে পারে।’

ট্রাম্প আরও বলেন, মাস্ক ‘খুবই বিরক্ত’, কারণ, তিনি বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে সরকারিভাবে দেওয়া ম্যান্ডেট হারিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘তিনি হয়তো এরচেয়েও বড় কিছু হারাবেন।’

ট্রাম্প ও মাস্কের সম্পর্ক একসময় সহযোগিতা ও পারস্পরিক সমর্থনের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছিল। কিন্তু গত মে মাসের শেষদিকে বাজেট বিল নিয়ে মাস্ক ট্রাম্পের সমালোচনা শুরু করার পর থেকে সেই সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে।

গত মাসে মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তাঁর অনুসারীদের কাছে জানতে চান, ‘যুক্তরাষ্ট্রে কি এখন এমন একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এসেছে, যারা দেশের ৮০ শতাংশ মধ্যপন্থীর প্রতিনিধিত্ব করবে?’

পরে এক অনুসারীর প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে মাস্ক ওই নতুন দলের সম্ভাব্য নাম দেন ‘আমেরিকা পার্টি’। নামটি তাঁর আগের রাজনৈতিক উদ্যোগ ‘আমেরিকা পিএসি’-এর অনুরূপ। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পসহ বিভিন্ন রিপাবলিকান প্রার্থীদের পক্ষে প্রায় ২৩৯ মিলিয়ন ডলার খরচ করেন।

বাজেট বিল নিয়ে তীব্র মতপার্থক্য ও মাস্কের নতুন দল গঠনের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। তবে ট্রাম্পের নির্বাসন-হুমকি এই দ্বন্দ্বকে আরও এক ধাপ সামনে এগিয়ে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা, রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে এবি ব্যাংক

রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই: ট্রাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত