Ajker Patrika

দেরি না করে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান মার্কিন বাহিনীর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
হামাস যোদ্ধা। ছবি: এএফপি
হামাস যোদ্ধা। ছবি: এএফপি

গাজার বেসামরিক মানুষের ওপর সহিংসতা বন্ধ করে হামাসকে অবিলম্বে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য কমান্ড (সেন্টকম)। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে সেন্টকমের প্রধান কমান্ডার ব্র্যাড কুপার বলেন, হামাস যেন দেরি না করে গাজার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো ও সহিংসতা বন্ধ করে।

ব্র্যাড কুপার আরও বলেন, ‘আমরা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে আমাদের উদ্বেগ জানিয়েছি। তাঁরা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন, যাতে শান্তিচুক্তি কার্যকর করা যায় এবং গাজার সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া যায়।’

সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পর আগামী শুক্রবার থেকে ধীরে ধীরে গাজা উপত্যকার রাস্তায় ফের তাদের সদস্যদের মোতায়েন করছে হামাস। তবে সংগঠনটি এখনো প্রকাশ্যে নিরস্ত্রীকরণ বা ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, হামাস যোদ্ধারা আটজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়—মারধরে আহত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় আটজন পুরুষকে গাজার একটি রাস্তার মাঝখানে হাঁটু গেড়ে বসানো হয়েছে। এরপর তাঁদের প্রত্যেককে গুলি করে হত্যা করা হয়। বন্ধুকধারীদের সবাই হামাসের সবুজ ব্যান্ড পরিহিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের মুহূর্তে আশপাশের মানুষ ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দেন।

হামাস দাবি করেছে, নিহত ব্যক্তিরা ইসরায়েলের সহযোগী ও অপরাধী ছিলেন। তবে এ-সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ তারা প্রকাশ করেনি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে গত সোমবার গাজা সিটিতে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ৩০ জনের বেশি ব্যক্তিকে হত্যা করেছে হামাস। তবে ওই গোষ্ঠীটির পরিচয় জানা যায়নি। হামাস দাবি করছে, অপরাধ ও নিরাপত্তাজনিত কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কারণ যুদ্ধবিরতির পর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া উত্তর গাজায় ফিরে আসছে।

সেন্টকমের কমান্ডার কুপার বলেন, হামাসকে অবিলম্বে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা মেনে চলতে হবে। তিনি হামাসকে শান্ত থেকে দ্রুত অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানান।

তবে হামাসের এই দমন অভিযানের মধ্যে ট্রাম্পের বক্তব্য কিছুটা ভিন্ন বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘হামাস কিছু গ্যাং সদস্যকে হত্যা করেছে। আমি এতে চিন্তিত নই।’

ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসনে হামাস থাকবে না। অঞ্চলটি নিরস্ত্রীকৃত থাকবে এবং আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে একটি ফিলিস্তিনি কমিটি প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবে। সে সঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক বিশেষায়িত বাহিনী পাঠানো হবে, যারা ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেবে।

এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সেন্টকমের নেতৃত্বে ইসরায়েলে প্রায় ২০০ মার্কিন সেনা পাঠাতে পারে, যারা গাজাসংক্রান্ত স্থিতিশীলতা কার্যক্রমে সহায়তা করবে। তবে কোনো মার্কিন সেনা সরাসরি গাজায় প্রবেশ করবে না বলে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ফ্রিজে রাখেন নজরুল: পুলিশ

৬ মাসের সংসার, ৭ দিনের চাকরি—মর্গে নিথর স্বামী-স্ত্রীর লাশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত