Ajker Patrika

ইউক্রেন থেকে দত্তক নেওয়া সন্তানের হাতে নির্মমভাবে খুন হলেন আমেরিকান দম্পতি

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

সাত বছর আগে ইউক্রেন থেকে এক এতিম শিশুকে দত্তক নিয়েছিলেন আমেরিকার দম্পতি রোবি ও জেনিফার টাওয়ার। ডিমা নামে সেই শিশুটি এখন ২১ বছরের যুবক। নির্মমভাবে খুন করলেন পালক পিতা-মাকেই।

বৃহস্পতিবার স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে নর্থ পোর্ট এলাকায় বসবাস করতেন রোবি ও জেনিফার দম্পতি। নিজ বাসভবনেই উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে তাঁদের হত্যা করেছেন পালক পুত্র ডিমা। শয়নকক্ষের মেঝে থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই কক্ষটি রক্তে ভেসে যাচ্ছিল বলেও স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

খ্রিষ্টান মিশনারিতে কাজ করা নিহত ওই দম্পতি ফ্লোরিডাতেই একটি রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ওয়ারেন রাইনস নামে তাঁদের এক চাচা সম্পর্কীয় বলেন, ‘রোবি ও জেনিফার খুব ভালো মানুষ ছিলেন। কী কারণে এমনটি ঘটলো কারও মাথায় আসছে না। তাঁরা ছাড়ার ডিমার আর কেউ ছিল না। তাঁরা ডিমাকে সহযোগিতা করতে চাইতেন, নিজের সন্তানের মতো স্নেহ করতেন।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছোটবেলায়ই ডিমা তার মাকে হারিয়েছিলেন। আর মদ্যপ বাবা তাঁকে ত্যাগ করেছিলেন। পরে ১৪ বছর বয়সে তাঁকে দত্তক পুত্র হিসেবে আমেরিকায় নিয়ে আসেন টাওয়ার দম্পতি।

রোবি ও জেনিফারকে হত্যা করার পর একটি গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান ডিমা। পরে গাড়ি রেখে ঘন জঙ্গলের মধ্যে আত্মগোপন করেন। প্রায় ৮ ঘণ্টার এক চিরুনি অভিযানের মধ্য দিয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

ওয়ারেন রাইনস জানান, রোবি ও জেনিফার দুজনই খুব ধর্মপ্রাণ ছিলেন। ইউক্রেনের খ্রিষ্টান মিশনারিতে তাঁরা একসময় কাজ করেছেন। সন্তানের জন্ম দিতে না পারায় ডিমাকে তাঁরা ইউক্রেন থেকে দত্তক নিয়েছিলেন। ইউক্রেনের একটি এতিমখানায় খুব অযত্ন আর অবহেলায় দিন কাটতো ডিমার। ঠিকমতো খাবারও পেত না সেখানে।

টাওয়ার দম্পতি বিশ্বাস করতেন, ভালোবাসা আর মমতায় কঠিন অতীতের স্মৃতি একদিন ভুলে যাবেন ডিমা। কিন্তু ফ্লোরিডার নতুন পরিবেশের সঙ্গে তিনি খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না। প্রায় সময়ই স্কুলে মারামারি করতেন। তিনি খুব মারমুখী ছিলেন। 

ঠিক কী কারণে ডিমা তাঁর পালক পিতা-মাতাকে হত্যা করেছেন-তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত