Ajker Patrika

ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাচ্ছে, যুদ্ধ শেষ করা উচিত: ট্রাম্প

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৪, ১৭: ১৭
ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাচ্ছে, যুদ্ধ শেষ করা উচিত: ট্রাম্প

চলমান গাজা যুদ্ধে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাচ্ছে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েলের উচিত যুদ্ধ শেষ করা। তিনি বলেন, ‘গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামাসের হামলা আমার দেখা সবচেয়ে কষ্টের মুহূর্ত।’ 

গতকাল সোমবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইসরায়েলি হায়োমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। 

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয় যদি আপনার পরিবার হামাসের হত্যাযজ্ঞের শিকার হতো তাহলে আপনি কেমন প্রতিক্রিয়া জানাতেন—এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আপনাদের (ইসরায়েলের) মতোই প্রতিক্রিয়া জানাতাম। এটা ভয়াবহ হামলা ছিল। মানুষ ইসরায়েলের আগ্রাসন নিয়ে কথা বলে কিন্তু ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা নিয়ে কথা বলে না—আমি খুবই বিরক্ত হই।’ 

তবে ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ করা উচিত মন্তব্য করে ট্রাম্প বলেন, ‘ইসরায়েলকে অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে কারণ আপনারা অনেক বৈশ্বিক সমর্থন হারাচ্ছেন।’ 
 
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং জিম্মি করা হয় প্রায় ২৫০ জনকে। এর জবাবে গাজায় প্রায় ছয় মাস ধরে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামাসকে নির্মূল করা পর্যন্ত এবং সব জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত এ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। 

এ যুদ্ধে শুরু থেকেই ইসরায়েলকে সরাসরি সমর্থন জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে গাজার দক্ষিণের শহর রাফাহতে সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তের কারণে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছে। রাফাহতে ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে এবং এটিই তাঁদের সর্বশেষ তুলনামূলক নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাই রাফাহতে ইসরায়েলের অভিযান বড় ভুল হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। 

গতকাল সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো না দেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলের শীর্ষ কূটনীতিকদের ওয়াশিংটন সফর বাতিল করেছেন তিনি। এ সফরে রাফাহতে সামরিক অভিযান চালানোর বিষয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল ইসরায়েলের শীর্ষ কূটনীতিকদের। 

উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প সব সময়ই তাঁর সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের বিষয়ে কৃতিত্ব তুলে ধরেন এবং নিজেকে ইসরায়েলের সমর্থক বলে দাবি করেন। ক্ষমতায় থাকাকালীন ইসরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে ট্রাম্প প্রশাসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত