Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি কমার জন্য বাইডেনের শাসনকে দুষলেন ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে প্রথম প্রান্তিকে দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে মার্কিন জিডিপি বাড়া দূরের কথা উল্টো কমেছে। তবে, জিডিপি কমার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসে এক মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি বলেন, দ্বিতীয় প্রান্তিকের ফলাফলের জন্যও বাইডেনের নীতিই দায়ী হবে।

ট্রাম্প বলেন, ‘এটা বাইডেনের দোষ। আপনি চাইলে বলতে পারেন, পরবর্তী প্রান্তিকটিও অনেকাংশে তার কারণে হচ্ছে, কারণ এমন কিছু একদিনে বা এক ঘণ্টায় ঘটে না।’

২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে মার্কিন অর্থনীতি বার্ষিক হারে ০.৩ শতাংশ হারে সংকুচিত হয়েছে, যা গত তিন বছরে প্রথম নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর পেছনে মূলত তিনটি কারণ কাজ করেছে— নতুন শুল্ক নীতির আগাম প্রভাব হিসেবে আমদানি বৃদ্ধি, সরকারি ব্যয়ে বিশেষ করে প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট কমানো, এবং নীতিগত অনিশ্চয়তা।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নিয়েছি। এই যে স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি—এটাই প্রমাণ করে কী খারাপ অবস্থায় দেশটি পেয়েছি।’

ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এখনো এটি বাইডেনের স্টক মার্কেট, আমার নয়। শুল্ক কার্যকর হলে বহু প্রতিষ্ঠান রেকর্ড সংখ্যায় আমেরিকায় বিনিয়োগে আসবে। দেশটির অর্থনীতি তখন বুম করবে। তবে আমাদের আগে বাইডেনের রেখে যাওয়া ভার সরাতে হবে।’

তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ট্রাম্পের এসব দাবি বাস্তবতাসম্মত নয়। সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রথম প্রান্তিকের জিডিপি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষিত শুল্ক কার্যকরের আগে বড় পরিমাণে আমদানি বৃদ্ধি, যা অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা খাতে খরচ কমে যাওয়াও সরকারি ব্যয় কমার একটি বড় কারণ। একইসঙ্গে, বুধবার প্রকাশিত এডিপি’র প্রতিবেদনে দেখা যায়, এপ্রিল মাসে বেসরকারি খাতে মাত্র ৬২,০০০ নতুন চাকরি সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে প্রত্যাশা ছিল প্রায় ১২০,০০০টি। মার্চ মাসেও এই সংখ্যা ছিল ১,৪৭,০০০—যা এখন নিম্নগামী ধারায়।

এই দুর্বল অর্থনৈতিক সূচক এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের ১০০ দিন পূর্তিতে অর্থনীতিতে নিজের সাফল্য দাবি করছেন। এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে—এটা আমার কৃতিত্ব।’ অথচ একই সময়ে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভোক্তা মূল্যসূচক ৩.৬ শতাংশ বেড়েছে, যা আগের প্রান্তিকের (২.৪%) চেয়ে অনেক বেশি।

বাইডেন প্রশাসনের সাবেক মুখপাত্র অ্যান্ড্রু বেটস বলেন, জো বাইডেন বিশ্বের সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করা অর্থনীতি রেখে গিয়েছিলেন। তখন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য ধনী দেশগুলোকে অনেক পেছনে ফেলেছিল। আর এখন আমরা এক ‘ট্রাম্প-মন্দার’ দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।”

বাইডেনের নীতিকে দোষারোপ করা এবং নিজ নীতির দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা ট্রাম্পের নতুন কৌশল নয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেও তিনি ট্রুথ সোশ্যালে দাবি করেছিলেন, ‘এটা ট্রাম্পের স্টক মার্কেট, কারণ আমার পোল বাইডেনের চেয়ে এত ভালো যে বিনিয়োগকারীরা ধরে নিচ্ছেন আমি জিতব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআইপ্রধান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত