
প্রায় তিন দশক কারাগারে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা মাইকেল সুলিভান। জেলে থাকা অবস্থায় তাঁর মা এবং চার ভাইবোন মারা গেছেন। জীবন থেকে চলে গেছেন প্রেমিকাও। আর কারাগারের ভেতর তিনি একাধিকবার মারাত্মক আক্রমণেরও শিকার হয়েছেন।
বুধবার অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) জানিয়েছে, যে অপরাধের জন্য সুলিভান জীবনে এত ত্যাগ স্বীকার করলেন, সেই অপরাধ তিনি কখনোই করেননি!
চলতি মাসের শুরুর দিকেই বর্তমানে ৬৪ বছর বয়সী সুলিভান ন্যায় বিচার পাওয়ার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। ম্যাসাচুসেটসের একটি জুরি তাঁকে ১৯৮৬ সালের উইলফ্রেড ম্যাকগ্রাথের হত্যাকাণ্ড এবং ডাকাতির অভিযোগ থেকে নির্দোষ ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয়, সুলিভানকে ১৩ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ১৫৫ কোটি টাকারও বেশি।
ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী—মিথ্যা অভিযোগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে সুলিভান এত বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন যে, তাঁর বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৮৭ সালে উইলফ্রেড ম্যাকগ্রাথকে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল সুলিভানকে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ডাকাতির সময় ম্যাকগ্রাথকে মারধর করে একটি পরিত্যক্ত সুপারমার্কেটের পেছনে ফেলে রাখা হয়েছিল।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুলিভানকে সন্দেহ করা হয়েছিল। কারণ হত্যার আগের রাতে তাঁর বোন ম্যাকগ্রাথের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পাশাপাশি তাঁর শেয়ার করা অ্যাপার্টমেন্টেও সময় কাটিয়েছিলেন। মামলাটিতে গ্যারি গ্রেস নামে আরও এক সন্দেহভাজন ছিলেন। তবে গ্রেস সুলিভানকে অভিযুক্ত করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন।
মামলাটিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রেখেছিল সেই সময়ের রাজ্য পুলিশের এক রসায়নবিদের সাক্ষ্য। আদালতে তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, সুলিভানের জ্যাকেটে রক্ত এবং ম্যাকগ্রাথের চুলের মতো একটি চুল পাওয়া গেছে। এই সাক্ষ্যটি সুলিভানকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য অন্যতম ভিত্তি ছিল।
কারাগারের ভেতর সুলিভানের জীবন ছিল দুঃসহ। এক আক্রমণে তাঁর নাক প্রায় ছিঁড়ে গিয়েছিল। আরেক হামলায় তাঁর একটি কান হারানোর উপক্রম হয়েছিল। দীর্ঘমেয়াদি বন্দী হওয়ায় কারাগারের ভেতর কোনো প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা গ্রহণেরও সুযোগ দেওয়া হয়নি তাঁকে।
কারাগারের ভেতর নিজের অনুভূতির বর্ণনা দিতে গিয়ে সুলিভান বলেন, ‘যখন আপনি জানেন যে আপনি নির্দোষ, তখন এই জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে।’
২০১১ সালে সুলিভানের আইনজীবী একটি ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছিলেন। এই পরীক্ষায় দেখা যায়, সুলিভানের জ্যাকেটে কোনো রক্ত ছিল না এবং কথিত ওই চুলে ম্যাকগ্রাথের ডিএনএ-এরও কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ফলে ২০১২ সালে নতুন করে মামলাটি বিচারের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং পরের বছরই সুলিভান মুক্তি পেয়েছিলেন। মুক্তি পাওয়ার দীর্ঘ এক যুগ পর এবার ক্ষতিপূরণও পেলেন তিনি।
এপি জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়ার পরও সুলিভান স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেননি। কারণ তত দিনে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। প্রযুক্তির জগতে তিনি একদমই নতুন ছিলেন। আর কাজ খোঁজার মতো দক্ষতাও ছিল না তাঁর। তিনি এখন তাঁর বোন ডোনা ফারিয়ার সঙ্গে থাকেন এবং বোনের পরিবারের ছোটখাটো কাজে সাহায্য করেন।
নিজের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে সুলিভান বলেন, ‘আমি এখনো বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। আমি খুব বেশি বাইরে যাই না। সব সময় ভীত থাকি।’
এবার ক্ষতিপূরণের অর্থ দিয়ে সুলিভান একটি ট্রাক কিনতে চান এবং বাকি টাকা তাঁর ভাই-বোনদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য রেখে দিতে চান। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমার ভাগনে-ভাগনিদের দেখাশোনা করা। ওরা ভালো থাকলে আমি খুশি হব।’

প্রায় তিন দশক কারাগারে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা মাইকেল সুলিভান। জেলে থাকা অবস্থায় তাঁর মা এবং চার ভাইবোন মারা গেছেন। জীবন থেকে চলে গেছেন প্রেমিকাও। আর কারাগারের ভেতর তিনি একাধিকবার মারাত্মক আক্রমণেরও শিকার হয়েছেন।
বুধবার অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) জানিয়েছে, যে অপরাধের জন্য সুলিভান জীবনে এত ত্যাগ স্বীকার করলেন, সেই অপরাধ তিনি কখনোই করেননি!
চলতি মাসের শুরুর দিকেই বর্তমানে ৬৪ বছর বয়সী সুলিভান ন্যায় বিচার পাওয়ার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। ম্যাসাচুসেটসের একটি জুরি তাঁকে ১৯৮৬ সালের উইলফ্রেড ম্যাকগ্রাথের হত্যাকাণ্ড এবং ডাকাতির অভিযোগ থেকে নির্দোষ ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয়, সুলিভানকে ১৩ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ১৫৫ কোটি টাকারও বেশি।
ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী—মিথ্যা অভিযোগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে সুলিভান এত বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন যে, তাঁর বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৮৭ সালে উইলফ্রেড ম্যাকগ্রাথকে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল সুলিভানকে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ডাকাতির সময় ম্যাকগ্রাথকে মারধর করে একটি পরিত্যক্ত সুপারমার্কেটের পেছনে ফেলে রাখা হয়েছিল।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুলিভানকে সন্দেহ করা হয়েছিল। কারণ হত্যার আগের রাতে তাঁর বোন ম্যাকগ্রাথের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পাশাপাশি তাঁর শেয়ার করা অ্যাপার্টমেন্টেও সময় কাটিয়েছিলেন। মামলাটিতে গ্যারি গ্রেস নামে আরও এক সন্দেহভাজন ছিলেন। তবে গ্রেস সুলিভানকে অভিযুক্ত করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন।
মামলাটিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রেখেছিল সেই সময়ের রাজ্য পুলিশের এক রসায়নবিদের সাক্ষ্য। আদালতে তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, সুলিভানের জ্যাকেটে রক্ত এবং ম্যাকগ্রাথের চুলের মতো একটি চুল পাওয়া গেছে। এই সাক্ষ্যটি সুলিভানকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য অন্যতম ভিত্তি ছিল।
কারাগারের ভেতর সুলিভানের জীবন ছিল দুঃসহ। এক আক্রমণে তাঁর নাক প্রায় ছিঁড়ে গিয়েছিল। আরেক হামলায় তাঁর একটি কান হারানোর উপক্রম হয়েছিল। দীর্ঘমেয়াদি বন্দী হওয়ায় কারাগারের ভেতর কোনো প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা গ্রহণেরও সুযোগ দেওয়া হয়নি তাঁকে।
কারাগারের ভেতর নিজের অনুভূতির বর্ণনা দিতে গিয়ে সুলিভান বলেন, ‘যখন আপনি জানেন যে আপনি নির্দোষ, তখন এই জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে।’
২০১১ সালে সুলিভানের আইনজীবী একটি ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছিলেন। এই পরীক্ষায় দেখা যায়, সুলিভানের জ্যাকেটে কোনো রক্ত ছিল না এবং কথিত ওই চুলে ম্যাকগ্রাথের ডিএনএ-এরও কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ফলে ২০১২ সালে নতুন করে মামলাটি বিচারের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং পরের বছরই সুলিভান মুক্তি পেয়েছিলেন। মুক্তি পাওয়ার দীর্ঘ এক যুগ পর এবার ক্ষতিপূরণও পেলেন তিনি।
এপি জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়ার পরও সুলিভান স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেননি। কারণ তত দিনে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। প্রযুক্তির জগতে তিনি একদমই নতুন ছিলেন। আর কাজ খোঁজার মতো দক্ষতাও ছিল না তাঁর। তিনি এখন তাঁর বোন ডোনা ফারিয়ার সঙ্গে থাকেন এবং বোনের পরিবারের ছোটখাটো কাজে সাহায্য করেন।
নিজের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে সুলিভান বলেন, ‘আমি এখনো বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। আমি খুব বেশি বাইরে যাই না। সব সময় ভীত থাকি।’
এবার ক্ষতিপূরণের অর্থ দিয়ে সুলিভান একটি ট্রাক কিনতে চান এবং বাকি টাকা তাঁর ভাই-বোনদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য রেখে দিতে চান। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমার ভাগনে-ভাগনিদের দেখাশোনা করা। ওরা ভালো থাকলে আমি খুশি হব।’

প্রায় তিন দশক কারাগারে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা মাইকেল সুলিভান। জেলে থাকা অবস্থায় তাঁর মা এবং চার ভাইবোন মারা গেছেন। জীবন থেকে চলে গেছেন প্রেমিকাও। আর কারাগারের ভেতর তিনি একাধিকবার মারাত্মক আক্রমণেরও শিকার হয়েছেন।
বুধবার অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) জানিয়েছে, যে অপরাধের জন্য সুলিভান জীবনে এত ত্যাগ স্বীকার করলেন, সেই অপরাধ তিনি কখনোই করেননি!
চলতি মাসের শুরুর দিকেই বর্তমানে ৬৪ বছর বয়সী সুলিভান ন্যায় বিচার পাওয়ার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। ম্যাসাচুসেটসের একটি জুরি তাঁকে ১৯৮৬ সালের উইলফ্রেড ম্যাকগ্রাথের হত্যাকাণ্ড এবং ডাকাতির অভিযোগ থেকে নির্দোষ ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয়, সুলিভানকে ১৩ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ১৫৫ কোটি টাকারও বেশি।
ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী—মিথ্যা অভিযোগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে সুলিভান এত বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন যে, তাঁর বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৮৭ সালে উইলফ্রেড ম্যাকগ্রাথকে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল সুলিভানকে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ডাকাতির সময় ম্যাকগ্রাথকে মারধর করে একটি পরিত্যক্ত সুপারমার্কেটের পেছনে ফেলে রাখা হয়েছিল।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুলিভানকে সন্দেহ করা হয়েছিল। কারণ হত্যার আগের রাতে তাঁর বোন ম্যাকগ্রাথের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পাশাপাশি তাঁর শেয়ার করা অ্যাপার্টমেন্টেও সময় কাটিয়েছিলেন। মামলাটিতে গ্যারি গ্রেস নামে আরও এক সন্দেহভাজন ছিলেন। তবে গ্রেস সুলিভানকে অভিযুক্ত করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন।
মামলাটিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রেখেছিল সেই সময়ের রাজ্য পুলিশের এক রসায়নবিদের সাক্ষ্য। আদালতে তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, সুলিভানের জ্যাকেটে রক্ত এবং ম্যাকগ্রাথের চুলের মতো একটি চুল পাওয়া গেছে। এই সাক্ষ্যটি সুলিভানকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য অন্যতম ভিত্তি ছিল।
কারাগারের ভেতর সুলিভানের জীবন ছিল দুঃসহ। এক আক্রমণে তাঁর নাক প্রায় ছিঁড়ে গিয়েছিল। আরেক হামলায় তাঁর একটি কান হারানোর উপক্রম হয়েছিল। দীর্ঘমেয়াদি বন্দী হওয়ায় কারাগারের ভেতর কোনো প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা গ্রহণেরও সুযোগ দেওয়া হয়নি তাঁকে।
কারাগারের ভেতর নিজের অনুভূতির বর্ণনা দিতে গিয়ে সুলিভান বলেন, ‘যখন আপনি জানেন যে আপনি নির্দোষ, তখন এই জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে।’
২০১১ সালে সুলিভানের আইনজীবী একটি ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছিলেন। এই পরীক্ষায় দেখা যায়, সুলিভানের জ্যাকেটে কোনো রক্ত ছিল না এবং কথিত ওই চুলে ম্যাকগ্রাথের ডিএনএ-এরও কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ফলে ২০১২ সালে নতুন করে মামলাটি বিচারের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং পরের বছরই সুলিভান মুক্তি পেয়েছিলেন। মুক্তি পাওয়ার দীর্ঘ এক যুগ পর এবার ক্ষতিপূরণও পেলেন তিনি।
এপি জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়ার পরও সুলিভান স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেননি। কারণ তত দিনে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। প্রযুক্তির জগতে তিনি একদমই নতুন ছিলেন। আর কাজ খোঁজার মতো দক্ষতাও ছিল না তাঁর। তিনি এখন তাঁর বোন ডোনা ফারিয়ার সঙ্গে থাকেন এবং বোনের পরিবারের ছোটখাটো কাজে সাহায্য করেন।
নিজের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে সুলিভান বলেন, ‘আমি এখনো বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। আমি খুব বেশি বাইরে যাই না। সব সময় ভীত থাকি।’
এবার ক্ষতিপূরণের অর্থ দিয়ে সুলিভান একটি ট্রাক কিনতে চান এবং বাকি টাকা তাঁর ভাই-বোনদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য রেখে দিতে চান। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমার ভাগনে-ভাগনিদের দেখাশোনা করা। ওরা ভালো থাকলে আমি খুশি হব।’

প্রায় তিন দশক কারাগারে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা মাইকেল সুলিভান। জেলে থাকা অবস্থায় তাঁর মা এবং চার ভাইবোন মারা গেছেন। জীবন থেকে চলে গেছেন প্রেমিকাও। আর কারাগারের ভেতর তিনি একাধিকবার মারাত্মক আক্রমণেরও শিকার হয়েছেন।
বুধবার অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) জানিয়েছে, যে অপরাধের জন্য সুলিভান জীবনে এত ত্যাগ স্বীকার করলেন, সেই অপরাধ তিনি কখনোই করেননি!
চলতি মাসের শুরুর দিকেই বর্তমানে ৬৪ বছর বয়সী সুলিভান ন্যায় বিচার পাওয়ার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। ম্যাসাচুসেটসের একটি জুরি তাঁকে ১৯৮৬ সালের উইলফ্রেড ম্যাকগ্রাথের হত্যাকাণ্ড এবং ডাকাতির অভিযোগ থেকে নির্দোষ ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয়, সুলিভানকে ১৩ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ১৫৫ কোটি টাকারও বেশি।
ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী—মিথ্যা অভিযোগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে সুলিভান এত বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন যে, তাঁর বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়েছে।
জানা যায়, ১৯৮৭ সালে উইলফ্রেড ম্যাকগ্রাথকে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল সুলিভানকে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ডাকাতির সময় ম্যাকগ্রাথকে মারধর করে একটি পরিত্যক্ত সুপারমার্কেটের পেছনে ফেলে রাখা হয়েছিল।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সুলিভানকে সন্দেহ করা হয়েছিল। কারণ হত্যার আগের রাতে তাঁর বোন ম্যাকগ্রাথের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পাশাপাশি তাঁর শেয়ার করা অ্যাপার্টমেন্টেও সময় কাটিয়েছিলেন। মামলাটিতে গ্যারি গ্রেস নামে আরও এক সন্দেহভাজন ছিলেন। তবে গ্রেস সুলিভানকে অভিযুক্ত করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন।
মামলাটিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রেখেছিল সেই সময়ের রাজ্য পুলিশের এক রসায়নবিদের সাক্ষ্য। আদালতে তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, সুলিভানের জ্যাকেটে রক্ত এবং ম্যাকগ্রাথের চুলের মতো একটি চুল পাওয়া গেছে। এই সাক্ষ্যটি সুলিভানকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য অন্যতম ভিত্তি ছিল।
কারাগারের ভেতর সুলিভানের জীবন ছিল দুঃসহ। এক আক্রমণে তাঁর নাক প্রায় ছিঁড়ে গিয়েছিল। আরেক হামলায় তাঁর একটি কান হারানোর উপক্রম হয়েছিল। দীর্ঘমেয়াদি বন্দী হওয়ায় কারাগারের ভেতর কোনো প্রশিক্ষণ বা শিক্ষা গ্রহণেরও সুযোগ দেওয়া হয়নি তাঁকে।
কারাগারের ভেতর নিজের অনুভূতির বর্ণনা দিতে গিয়ে সুলিভান বলেন, ‘যখন আপনি জানেন যে আপনি নির্দোষ, তখন এই জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে।’
২০১১ সালে সুলিভানের আইনজীবী একটি ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেছিলেন। এই পরীক্ষায় দেখা যায়, সুলিভানের জ্যাকেটে কোনো রক্ত ছিল না এবং কথিত ওই চুলে ম্যাকগ্রাথের ডিএনএ-এরও কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ফলে ২০১২ সালে নতুন করে মামলাটি বিচারের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং পরের বছরই সুলিভান মুক্তি পেয়েছিলেন। মুক্তি পাওয়ার দীর্ঘ এক যুগ পর এবার ক্ষতিপূরণও পেলেন তিনি।
এপি জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়ার পরও সুলিভান স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেননি। কারণ তত দিনে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। প্রযুক্তির জগতে তিনি একদমই নতুন ছিলেন। আর কাজ খোঁজার মতো দক্ষতাও ছিল না তাঁর। তিনি এখন তাঁর বোন ডোনা ফারিয়ার সঙ্গে থাকেন এবং বোনের পরিবারের ছোটখাটো কাজে সাহায্য করেন।
নিজের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে সুলিভান বলেন, ‘আমি এখনো বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। আমি খুব বেশি বাইরে যাই না। সব সময় ভীত থাকি।’
এবার ক্ষতিপূরণের অর্থ দিয়ে সুলিভান একটি ট্রাক কিনতে চান এবং বাকি টাকা তাঁর ভাই-বোনদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য রেখে দিতে চান। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমার ভাগনে-ভাগনিদের দেখাশোনা করা। ওরা ভালো থাকলে আমি খুশি হব।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৫ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৫ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৬ ঘণ্টা আগেএএফপি, কায়রো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

প্রায় তিন দশক কারাগারে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা মাইকেল সুলিভান। জেলে থাকা অবস্থায় তাঁর মা এবং চার ভাইবোন মারা গেছেন। জীবন থেকে চলে গেছেন প্রেমিকাও। আর কারাগারের ভেতর তিনি একাধিকবার মারাত্মক আক্রমণেরও শিকার হয়েছেন।
২৭ নভেম্বর ২০২৪
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৫ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৫ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

প্রায় তিন দশক কারাগারে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা মাইকেল সুলিভান। জেলে থাকা অবস্থায় তাঁর মা এবং চার ভাইবোন মারা গেছেন। জীবন থেকে চলে গেছেন প্রেমিকাও। আর কারাগারের ভেতর তিনি একাধিকবার মারাত্মক আক্রমণেরও শিকার হয়েছেন।
২৭ নভেম্বর ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৫ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

প্রায় তিন দশক কারাগারে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা মাইকেল সুলিভান। জেলে থাকা অবস্থায় তাঁর মা এবং চার ভাইবোন মারা গেছেন। জীবন থেকে চলে গেছেন প্রেমিকাও। আর কারাগারের ভেতর তিনি একাধিকবার মারাত্মক আক্রমণেরও শিকার হয়েছেন।
২৭ নভেম্বর ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৫ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

প্রায় তিন দশক কারাগারে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা মাইকেল সুলিভান। জেলে থাকা অবস্থায় তাঁর মা এবং চার ভাইবোন মারা গেছেন। জীবন থেকে চলে গেছেন প্রেমিকাও। আর কারাগারের ভেতর তিনি একাধিকবার মারাত্মক আক্রমণেরও শিকার হয়েছেন।
২৭ নভেম্বর ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৫ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৫ ঘণ্টা আগে