Ajker Patrika

মাস্কের টেসলায় হামলাকারীদের সালভাদরের জেলে পাঠানোর প্রস্তাব দিলেন ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৫, ০০: ০১
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইলন মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি টেসলা লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের এল সালভাদরের জেলে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘যারা ইলন মাস্ক ও টেসলার বিরুদ্ধে এসব করছে, আমি সেই অসুস্থ সন্ত্রাসীদের জন্য অপেক্ষা করছি। তাদের ধরতে পারলে এল সালভাদরে ২০ বছরের জেল খাটতে হবে। এই গুন্ডাদের জন্যই সালভাদরের জেল সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে।’

ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইলন মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি টেসলার শোরুম, চার্জিং স্টেশন এবং কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সাইবার ট্রাক জ্বালিয়ে দেওয়া, বুলেট ও পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করার এ ঘটনাগুলো মূলত টেসলার বিরুদ্ধে মানুষের ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ইঙ্গিত। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর নেই; তবে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি এবং ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি গত বৃহস্পতিবার তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পেট্রলবোমা ব্যবহার করে টেসলা গাড়ি ও চার্জিং স্টেশনে আগুন দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন। বন্ডি বলেন, ‘অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার দিন শেষ। এটি একটি সতর্কবার্তা—যদি আপনি টেসলার আর কোনো গাড়িতে আগুন দেন, তাহলে বিভাগ আপনাকে জেলে পুরবে।’

বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ওরেগনের সালেমে টেসলার একটি স্টোরে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ ও জানালা ভাঙার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেকজনকে কলোরাডোর লাভল্যান্ডে টেসলা গাড়িতে পেট্রলবোমা দিয়ে আগুন দেওয়ার চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তৃতীয় আসামিকে সাউথ ক্যারোলাইনার চার্লসটনে টেসলা চার্জিং স্টেশনে পেট্রলবোমা দিয়ে আগুন দেওয়ার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে নয়টি রাজ্যে টেসলা গাড়ি ও ডিলার পয়েন্টে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাগুলো বামপন্থী শহরগুলোতে বেশি দেখা গেছে। যেমন পোর্টল্যান্ড, সিয়াটল ও লাস ভেগাসে সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে।

১৪ মার্চ সিয়াটলে টেসলার লটে চারটি সাইবার ট্রাক জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরপর ১৮ মার্চ লাস ভেগাসে টেসলার একটি সার্ভিস সেন্টারে লাল রং দিয়ে ‘প্রতিরোধ’ শব্দটি লিখে বেশ কয়েকটি টেসলা গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে জার্মানির বার্লিনেও টেসলার গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১৪ মার্চ বার্লিনে টেসলার প্রায় চারটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

টেসলার বিরুদ্ধে এ হামলাগুলো ইলন মাস্ক এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক বিরোধিতার প্রতিফলন। তবে সম্পত্তি ধ্বংসের মাধ্যমে প্রতিবাদ করার এ পদ্ধতি অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। টেসলা মালিকেরা তাঁদের গাড়ি ভালোবাসেন এবং এ সহিংসতা তাঁদের নিরাপত্তা ও সম্পত্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হেলিকপ্টারে নেওয়ার অবস্থায় নেই, দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে তামিম

অর্ধশতাধিক পুলিশ কর্মকর্তার ‘বিশেষ বৈঠক’, ব্যাখ্যা চাইল সদর দপ্তর

অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, পালানোকালে আটক ৫ পুলিশ সদস্য

নতুন বাহিনীর প্রস্তাবে অসন্তোষ বেবিচকে

বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের বিরুদ্ধে ৪৭ ব্রিটিশ এমপিকে ‘সন্দেহজনক’ ই–মেইল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত