একটি তদন্ত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর বিরুদ্ধ যৌন হয়রানির সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁকে পদত্যাগ করার আহ্বানও করেছেন। সংশ্লিষ্ট অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে শিগগিরই ফৌজদারি মামলা দায়েরর কথা বলেছেন। এমনকি নিজ অঙ্গরাজ্যের আইনসভায় অভিশংসনের মুখেও পড়তে পারেন তিনি। কিন্তু অভিযুক্ত কুমো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল ল্যাটেশিয়া জেমসের নেতৃত্ব পরিচালিত পাঁচ মাসের তদন্ত শেষে গত মঙ্গলবার ১৮৬ পাতার আলোচিত এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তদন্ত পরিচালকেরা কুমোসহ ১৭৯ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ভাষ্যমতে, তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের অনুষ্ঠানে জেমস বলেন, ১১ নারী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগ এনেছেন। জোরপূর্বক চুমো, স্পর্শ করা বা যৌন ইঙ্গিতমূলক মন্তব্যের মতো অভিযোগ রয়েছে কুমোর বিরুদ্ধে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্যের আইনের লঙ্ঘন।
তদন্ত কমিটির দুই আইনজীবীর একজন আন্না ক্লার্ক। তিনি বলেন, কুমোর যৌন হয়রানি শিকার হওয়াদের একজন রাজ্যের এক নারী পুলিশ। একবার লিফটে কুমো এবং তিনি একসঙ্গে ছিলেন। কুমো পেছন দিক থেকে তাঁর ঘাড় থেকে মেরুদণ্ড বরাবর আঙুল চালিয়ে নিচের দিকে নিয়ে যান। তা ছাড়া তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেন বলেও ওই পুলিশ অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে কুমো তাঁর অফিসে ভয়ের রাজ্য কায়েম করেছিলেন বলে জানান আরেক তদন্ত কর্মকর্তা জুন কিম।
ডেমোক্রেটিক দলের এ ঝানু রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা একটি দেওয়ানি তদন্ত। অর্থাৎ, তাঁর বিরুদ্ধে এর দ্বারা কোনো ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণিত হয়নি। তাই এ তদন্তের মাধ্যমে তিনি অপরাধী সাব্যস্ত হন না। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য বিচারক ও জুরিদের রায় দরকার।
জেমস বলেন, কুমো যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্য ও কেন্দ্রীয় আইন লঙ্ঘন করেছেন। কিন্তু এর মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধ ফৌজদারি অভিযোগ আনা যায় না। তবে কেউ তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে তদন্তের ফলাফল, সাক্ষ্য–প্রমাণ কাজে লাগাতে পারেন।
এ অবস্থায় নিউইয়র্কে আইনসভার স্পিকার তাঁর বিরুদ্ধে শিগগিরই একটি অভিশংসন তদন্ত শুরুর কথা জানিয়েছেন। নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনির অ্যাটর্নি ডেভিড সুয়ারেজ কুমোর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অপরাধের পর্যায়ে পড়ে কি না, তা তদন্ত করে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি করার কথা জানিয়েছেন।
‘প্রতিবেদন এখনো দেখিনি’ জানিয়ে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘যা শুনলাম, তাতে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করি।’ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ প্রতিবেশী অঙ্গরাজ্য নিউজার্সি, পেনসিলভানিয়ার গভর্নরসহ অনেক শীর্ষ রাজনীতিক অনুরূপ মত দিয়েছেন।
২০২২ সালে চতুর্থবারের মতো গভর্নর পদে লড়তে যাওয়া কুমো অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘প্রতিবেদনে আমার আচরণকে যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, প্রকৃত ঘটনা তারচেয়ে অনেক বেশি আলাদা।’ এ প্রতিবেদন রাজনৈতিক এবং পক্ষপাতদুষ্ট জানিয়ে এক ভিডিও বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘পারিবারিক সূত্রে আমার মধ্যে নারীদের সঙ্গে উষ্ণ ব্যবহারের স্বভাব রয়েছে। এ সময় বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটনসহ বিভিন্ন রাজনীতিকদের সঙ্গে তাঁর হাগ বা চুমোর দৃশ্যের অনেক স্লাইডও দেখান তিনি।’
যেহেতু কুমোর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণিত হয়নি, এ পরিস্থিতিতে তাঁর ভাগ্যে কী আছে, তা নির্ধারণ করবে আদালত।
একটি তদন্ত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর বিরুদ্ধ যৌন হয়রানির সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁকে পদত্যাগ করার আহ্বানও করেছেন। সংশ্লিষ্ট অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে শিগগিরই ফৌজদারি মামলা দায়েরর কথা বলেছেন। এমনকি নিজ অঙ্গরাজ্যের আইনসভায় অভিশংসনের মুখেও পড়তে পারেন তিনি। কিন্তু অভিযুক্ত কুমো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল ল্যাটেশিয়া জেমসের নেতৃত্ব পরিচালিত পাঁচ মাসের তদন্ত শেষে গত মঙ্গলবার ১৮৬ পাতার আলোচিত এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তদন্ত পরিচালকেরা কুমোসহ ১৭৯ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ভাষ্যমতে, তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের অনুষ্ঠানে জেমস বলেন, ১১ নারী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগ এনেছেন। জোরপূর্বক চুমো, স্পর্শ করা বা যৌন ইঙ্গিতমূলক মন্তব্যের মতো অভিযোগ রয়েছে কুমোর বিরুদ্ধে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্যের আইনের লঙ্ঘন।
তদন্ত কমিটির দুই আইনজীবীর একজন আন্না ক্লার্ক। তিনি বলেন, কুমোর যৌন হয়রানি শিকার হওয়াদের একজন রাজ্যের এক নারী পুলিশ। একবার লিফটে কুমো এবং তিনি একসঙ্গে ছিলেন। কুমো পেছন দিক থেকে তাঁর ঘাড় থেকে মেরুদণ্ড বরাবর আঙুল চালিয়ে নিচের দিকে নিয়ে যান। তা ছাড়া তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দেন বলেও ওই পুলিশ অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে কুমো তাঁর অফিসে ভয়ের রাজ্য কায়েম করেছিলেন বলে জানান আরেক তদন্ত কর্মকর্তা জুন কিম।
ডেমোক্রেটিক দলের এ ঝানু রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা একটি দেওয়ানি তদন্ত। অর্থাৎ, তাঁর বিরুদ্ধে এর দ্বারা কোনো ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণিত হয়নি। তাই এ তদন্তের মাধ্যমে তিনি অপরাধী সাব্যস্ত হন না। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য বিচারক ও জুরিদের রায় দরকার।
জেমস বলেন, কুমো যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্য ও কেন্দ্রীয় আইন লঙ্ঘন করেছেন। কিন্তু এর মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধ ফৌজদারি অভিযোগ আনা যায় না। তবে কেউ তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে তদন্তের ফলাফল, সাক্ষ্য–প্রমাণ কাজে লাগাতে পারেন।
এ অবস্থায় নিউইয়র্কে আইনসভার স্পিকার তাঁর বিরুদ্ধে শিগগিরই একটি অভিশংসন তদন্ত শুরুর কথা জানিয়েছেন। নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনির অ্যাটর্নি ডেভিড সুয়ারেজ কুমোর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অপরাধের পর্যায়ে পড়ে কি না, তা তদন্ত করে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি করার কথা জানিয়েছেন।
‘প্রতিবেদন এখনো দেখিনি’ জানিয়ে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘যা শুনলাম, তাতে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করি।’ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিসহ প্রতিবেশী অঙ্গরাজ্য নিউজার্সি, পেনসিলভানিয়ার গভর্নরসহ অনেক শীর্ষ রাজনীতিক অনুরূপ মত দিয়েছেন।
২০২২ সালে চতুর্থবারের মতো গভর্নর পদে লড়তে যাওয়া কুমো অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘প্রতিবেদনে আমার আচরণকে যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, প্রকৃত ঘটনা তারচেয়ে অনেক বেশি আলাদা।’ এ প্রতিবেদন রাজনৈতিক এবং পক্ষপাতদুষ্ট জানিয়ে এক ভিডিও বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘পারিবারিক সূত্রে আমার মধ্যে নারীদের সঙ্গে উষ্ণ ব্যবহারের স্বভাব রয়েছে। এ সময় বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটনসহ বিভিন্ন রাজনীতিকদের সঙ্গে তাঁর হাগ বা চুমোর দৃশ্যের অনেক স্লাইডও দেখান তিনি।’
যেহেতু কুমোর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণিত হয়নি, এ পরিস্থিতিতে তাঁর ভাগ্যে কী আছে, তা নির্ধারণ করবে আদালত।
এটাই সফলভাবে জন্ম নেওয়া কোনো শিশুর সবচেয়ে বেশি সময় ধরে হিমায়িত ভ্রূণ হিসেবে থাকার রেকর্ড। এর আগে ১৯৯২ সালে হিমায়িত হওয়া একটি ভ্রূণ থেকে ২০২২ সালে জন্ম নেওয়া যমজ শিশুরাই ছিল এই রেকর্ডের ধারক।
১০ ঘণ্টা আগেমৃত্যুর সময় আদেলের শরীর ছিল শীর্ণ, পেট ছিল ভেতরের দিকে ঢোকানো, হাড়গুলো বেরিয়ে এসেছিল আর মুখ ছিল ফ্যাকাশে। তাঁর এই দুর্বল দেহ গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর চলা ক্ষুধার যুদ্ধের এক করুণ সাক্ষী। ইসরায়েলের অবিরাম হামলার কারণে সেখানে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি দেশটির সরকার ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার ঘোষণা দেওয়ায় আশাবাদী হচ্ছেন ভ্রমণপ্রেমীরা। তবে গত এপ্রিলে নতুন নিয়মের ঘোষণা এলেও এখনো এটি বাস্তবায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি।
১২ ঘণ্টা আগেঅস্ট্রেলিয়ায় বড়দিন উদ্যাপিত হয় বছরে দুবার। একবার ডিসেম্বরের প্রচলিত দিনে, আরও একবার দেশটির শীতের মাস জুলাইয়ে। ‘ক্রিসমাস ইন জুলাই’ এখন শুধু একটি ট্রেন্ড নয়, এটি অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে