ঢাকা: কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কামলুপস এলাকার একটি আদিবাসী স্কুলে ২১৫টি শিশুর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। কামলুপস ইন্ডিয়ান রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ভবনটি অনেক দিন ধরেই পরিত্যক্ত।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কানাডার ওই আবাসিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৯০ সালে। ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত এটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ক্যাথলিক খ্রিস্টান মিশনারিরা। এরপর কামলুপসের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। বিদ্যালয়টির কার্যক্রম ১৯৭৮ সাল থেকে বন্ধ।
শিশুগুলোর মৃত্যুর কারণ এবং সঠিক সময়কাল এখনো জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার এই আবিষ্কারের কথা জানান স্থানীয় আদিবাসী গ্রুপের প্রধান রোসান কাসিমির।
স্কুল ভবন থেকে এতগুলো শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধারের খবর প্রকাশ হওয়ার পর গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ ঘটনাকে শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
এক টুইট বার্তায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কামলুপসে শিশুদের দেহাবশেষ উদ্ধারের সংবাদে আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। আমাদের দেশের ইতিহাসের অন্ধকার ও লজ্জাজনক অধ্যায়ের একটি নমুনা এই ঘটনা। আমার ধারণা এই দেশের বেশির ভাগ মানুষের মানসিক অবস্থাও এখন আমার মতোই। আমরা সব সময় দেশের আদিবাসীদের পাশে আছি।’
কমলুপসের আদিবাসী সংগঠনের প্রধান রোসান কাসিমির বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে কল্পনাতীত ক্ষয়ক্ষতি তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে। যদিও স্কুলের প্রশাসকেরা কখনই এসব নথিভুক্ত করেনি।
কাসিমির বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, কামলুপসের যে স্কুলটি থেকে এই দেহাবশেষগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি ছিল ১৩৯টি আবাসিক স্কুলের মধ্যে সবচেয়ে বড়। স্কুলটিতে মোট শিক্ষার্থীর ছিল ৪ হাজার ১০০ জন।
এক বিবৃতিতে কাসিমির বলেন, মৃতদের মধ্যে তিন বছর বয়সী শিশুও রয়েছে। এটা এমন এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা যা কল্পনা করতেও গা শিউরে ওঠে। আরও দুঃখজনক হলো এ ধরনের নিপীড়নের ঘটনাগুলোর কোথাও লিপিবদ্ধ হয়নি।
উল্লেখ্য, ঊনিশ শতকে দেড় লক্ষাধিক আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর শিশুদের জোর করে আবাসিক মিশনারি স্কুলগুলোতে ভর্তি করা হতো। স্কুলগুলোতে ভর্তি হওয়া শিশুদের মাতৃভাষায় কথা বলতেও দেওয়া হতো না। এমনকি তাদের মারধর করা হতো, যৌন নির্যাতনের শিকার হতো অনেক শিশু।
ঢাকা: কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার কামলুপস এলাকার একটি আদিবাসী স্কুলে ২১৫টি শিশুর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। কামলুপস ইন্ডিয়ান রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ভবনটি অনেক দিন ধরেই পরিত্যক্ত।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কানাডার ওই আবাসিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৯০ সালে। ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত এটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ক্যাথলিক খ্রিস্টান মিশনারিরা। এরপর কামলুপসের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। বিদ্যালয়টির কার্যক্রম ১৯৭৮ সাল থেকে বন্ধ।
শিশুগুলোর মৃত্যুর কারণ এবং সঠিক সময়কাল এখনো জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার এই আবিষ্কারের কথা জানান স্থানীয় আদিবাসী গ্রুপের প্রধান রোসান কাসিমির।
স্কুল ভবন থেকে এতগুলো শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধারের খবর প্রকাশ হওয়ার পর গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ ঘটনাকে শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
এক টুইট বার্তায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কামলুপসে শিশুদের দেহাবশেষ উদ্ধারের সংবাদে আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। আমাদের দেশের ইতিহাসের অন্ধকার ও লজ্জাজনক অধ্যায়ের একটি নমুনা এই ঘটনা। আমার ধারণা এই দেশের বেশির ভাগ মানুষের মানসিক অবস্থাও এখন আমার মতোই। আমরা সব সময় দেশের আদিবাসীদের পাশে আছি।’
কমলুপসের আদিবাসী সংগঠনের প্রধান রোসান কাসিমির বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে কল্পনাতীত ক্ষয়ক্ষতি তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে। যদিও স্কুলের প্রশাসকেরা কখনই এসব নথিভুক্ত করেনি।
কাসিমির বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, কামলুপসের যে স্কুলটি থেকে এই দেহাবশেষগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি ছিল ১৩৯টি আবাসিক স্কুলের মধ্যে সবচেয়ে বড়। স্কুলটিতে মোট শিক্ষার্থীর ছিল ৪ হাজার ১০০ জন।
এক বিবৃতিতে কাসিমির বলেন, মৃতদের মধ্যে তিন বছর বয়সী শিশুও রয়েছে। এটা এমন এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা যা কল্পনা করতেও গা শিউরে ওঠে। আরও দুঃখজনক হলো এ ধরনের নিপীড়নের ঘটনাগুলোর কোথাও লিপিবদ্ধ হয়নি।
উল্লেখ্য, ঊনিশ শতকে দেড় লক্ষাধিক আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর শিশুদের জোর করে আবাসিক মিশনারি স্কুলগুলোতে ভর্তি করা হতো। স্কুলগুলোতে ভর্তি হওয়া শিশুদের মাতৃভাষায় কথা বলতেও দেওয়া হতো না। এমনকি তাদের মারধর করা হতো, যৌন নির্যাতনের শিকার হতো অনেক শিশু।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার কার্যকারিতা নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। পেন্টাগনের একটি মূল্যায়ন রিপোর্ট ফাঁসের পর তাদের এই সন্দেহ প্রকাশ করলেন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই হামলায় ইরানের
৩ মিনিট আগেইরানের পার্লামেন্ট আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিতসংক্রান্ত একটি বিতর্কিত বিল অনুমোদন করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম নুর নিউজ জানিয়েছে, আজ বুধবার এই বিল অনুমোদিত হয়। এর ফলে দেশটির পরমাণু কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ ও স্বচ্ছতার পথ আরও সংকুচিত হলো।
২৯ মিনিট আগেফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আঘাতের পর নতুন বিস্ফোরণের গর্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ছবি প্রকাশ করেছে ম্যাক্সার টেকনোলজিস। আজ বুধবার (২৪ জুন) ধারণ করা স্যাটেলাইট ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে বিবিসি ভেরিফাই।
৩৬ মিনিট আগেআল-আরদাওয়ি তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টের একটি পোস্টে দাবি করেন—তাজি ঘাঁটিতে একটি ফরাসি রাডার ইসরায়েলি আগ্রাসনে সহায়তা করেছিল, যা পরে ড্রোন হামলায় ধ্বংস করা হয়েছে। যদিও তিনি পোস্টটি পরে মুছে ফেলেন, তবে সেটির স্ক্রিনশট ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগে