অনলাইন ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবৈধ অভিবাসী বহিষ্কারে যুদ্ধকালীন আইন প্রয়োগে বাধা কাটল। গতকাল সোমবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় ঘোষণা করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে সন্দেহভাজন গ্যাং সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে দ্রুত বিতাড়িত করতে পারবে ইমিগ্রেশন বিভাগ। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে হোয়াইট হাউসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে, এ রায় নিয়ে তুমুল বিতর্কও তৈরি হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে থাকা সবচেয়ে আলোচিত জরুরি আপিলগুলোর একটি ছিল এটি। যদিও নিম্ন আদালতে এখনো আইনি লড়াই চলছে। তবে, আদালতের স্বাক্ষরবিহীন এই সিদ্ধান্তে ১৭৯৮ সালের এই ‘এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’ বা বহিশত্রু আইন ব্যবহারে আর কোনো বাধা থাকল না।
অবশ্য আদালত স্পষ্ট করে বলেছেন, ভবিষ্যতে এই আইনের আওতায় যাদের বিতাড়ন করা হবে, তাঁদের যথাযথভাবে জানাতে হবে যে তাঁরা এই আইনের আওতায় পড়ছেন এবং আপত্তি থাকলে তাঁদের আইনি সহায়তা নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
একে ঐতিহাসিক বিজয় হিসেবে অভিহিত করছেন রিপাবলিকানরা। নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প এই রায়ের প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘আজ ন্যায়বিচারের এক মহান দিন। একজন প্রেসিডেন্টকে তাঁর দেশের সীমান্ত সুরক্ষা এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট দেশের আইনকে সমুন্নত রেখেছেন।’
অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি বলেছেন, ‘এটি আইনের শাসনের পক্ষে একটি বড় বিজয়। ওয়াশিংটন ডিসির একজন বিচারপতির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ এবং জাতীয় সুরক্ষা নিশ্চিতের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।’
এ ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আবারও প্রমাণ যে করলেন তিনি ঠিক!’ পোস্টটিতে অবৈধ অভিবাসীদের উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘শিগগির যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যান, নয়তো গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যেতে হবে।’
এই আপিলটিকে বিচার বিভাগের ক্ষমতা নিয়ে লড়াই হিসেবে দেখছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
মূলত গত ১৫ মার্চ ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের সন্ত্রাসী গ্যাং ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’–এর সদস্য আখ্যা দিয়ে দেশে ফেরত পাঠাতে যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহার করার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে মার্কিন ফেডারেল আদালতের বিচারক জেমস বোয়াসবার্গের স্থগিতাদেশে তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এরপর ইস্যুটি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। অবশ্য তাতে ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের বিতরণ থেমে থাকেনি। অবশেষে গতকাল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষেই রায় দিলেন সুপ্রিম কোর্ট।
তবে আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, যার বিরুদ্ধে আইনটি প্রয়োগ করা হবে তাকে যথাযথভাবে এ বিষয়ে জানাতে হবে। তাঁর আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ থাকতে হবে।
অভিবাসীদের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাটর্নিদের মধ্যে মূল উদ্বেগ হলো, এই আইনের অধীনে অভিবাসীদের বিতাড়নে সরকারের তাড়াহুড়ো তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনে আইনি সহায়তার জন্য আবেদনের সময় দেওয়া হবে না। এমনই এক বিচারপতি, সোনিয়া সোটোমেয়র বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ আইনের শাসনের জন্য এক বিপর্যয়কর হুমকি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারক এখন অভিবাসীদের সঙ্গে ট্রাম্পের অমানবিক আচরণকে পুরস্কৃত করছে, এটি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। একটি জাতি এবং আদালত হিসেবে, এর চেয়ে ভালো দৃষ্টান্ত তৈরি করার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের।’
এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলায় কোনো মৌখিক শুনানি বা বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ না রেখেই জরুরি ডকেটের মাধ্যমে রায় দিয়ে দেওয়ার সমালোচনা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাস্টিস কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসন। তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখিত যে, আদালত এমন এক নতুন প্রক্রিয়াগত অস্থির যুগে প্রবেশ করেছে, এটি অন্যায্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। অতীতের ভুল রায়গুলোর অন্তত নথিপত্র ছিল, যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বুঝতে পারে কোথায় কী ভুল হয়েছিল। এবার সেটাও থাকল না!’
এ সময় ১৯৮৮ সালের কোরেমাতসু মামলার প্রসঙ্গ টানেন তিনি। ওই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণের পর জাপানি–আমেরিকান দ্বৈত নাগরিকদের আটকাদেশকে বৈধ ঘোষণা করেছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবৈধ অভিবাসী বহিষ্কারে যুদ্ধকালীন আইন প্রয়োগে বাধা কাটল। গতকাল সোমবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় ঘোষণা করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে সন্দেহভাজন গ্যাং সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে দ্রুত বিতাড়িত করতে পারবে ইমিগ্রেশন বিভাগ। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে হোয়াইট হাউসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে, এ রায় নিয়ে তুমুল বিতর্কও তৈরি হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে থাকা সবচেয়ে আলোচিত জরুরি আপিলগুলোর একটি ছিল এটি। যদিও নিম্ন আদালতে এখনো আইনি লড়াই চলছে। তবে, আদালতের স্বাক্ষরবিহীন এই সিদ্ধান্তে ১৭৯৮ সালের এই ‘এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’ বা বহিশত্রু আইন ব্যবহারে আর কোনো বাধা থাকল না।
অবশ্য আদালত স্পষ্ট করে বলেছেন, ভবিষ্যতে এই আইনের আওতায় যাদের বিতাড়ন করা হবে, তাঁদের যথাযথভাবে জানাতে হবে যে তাঁরা এই আইনের আওতায় পড়ছেন এবং আপত্তি থাকলে তাঁদের আইনি সহায়তা নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
একে ঐতিহাসিক বিজয় হিসেবে অভিহিত করছেন রিপাবলিকানরা। নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প এই রায়ের প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘আজ ন্যায়বিচারের এক মহান দিন। একজন প্রেসিডেন্টকে তাঁর দেশের সীমান্ত সুরক্ষা এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট দেশের আইনকে সমুন্নত রেখেছেন।’
অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি বলেছেন, ‘এটি আইনের শাসনের পক্ষে একটি বড় বিজয়। ওয়াশিংটন ডিসির একজন বিচারপতির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ এবং জাতীয় সুরক্ষা নিশ্চিতের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।’
এ ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আবারও প্রমাণ যে করলেন তিনি ঠিক!’ পোস্টটিতে অবৈধ অভিবাসীদের উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘শিগগির যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যান, নয়তো গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যেতে হবে।’
এই আপিলটিকে বিচার বিভাগের ক্ষমতা নিয়ে লড়াই হিসেবে দেখছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
মূলত গত ১৫ মার্চ ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের সন্ত্রাসী গ্যাং ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’–এর সদস্য আখ্যা দিয়ে দেশে ফেরত পাঠাতে যুদ্ধকালীন আইন ব্যবহার করার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে মার্কিন ফেডারেল আদালতের বিচারক জেমস বোয়াসবার্গের স্থগিতাদেশে তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এরপর ইস্যুটি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। অবশ্য তাতে ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের বিতরণ থেমে থাকেনি। অবশেষে গতকাল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষেই রায় দিলেন সুপ্রিম কোর্ট।
তবে আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, যার বিরুদ্ধে আইনটি প্রয়োগ করা হবে তাকে যথাযথভাবে এ বিষয়ে জানাতে হবে। তাঁর আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ থাকতে হবে।
অভিবাসীদের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাটর্নিদের মধ্যে মূল উদ্বেগ হলো, এই আইনের অধীনে অভিবাসীদের বিতাড়নে সরকারের তাড়াহুড়ো তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনে আইনি সহায়তার জন্য আবেদনের সময় দেওয়া হবে না। এমনই এক বিচারপতি, সোনিয়া সোটোমেয়র বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ আইনের শাসনের জন্য এক বিপর্যয়কর হুমকি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারক এখন অভিবাসীদের সঙ্গে ট্রাম্পের অমানবিক আচরণকে পুরস্কৃত করছে, এটি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। একটি জাতি এবং আদালত হিসেবে, এর চেয়ে ভালো দৃষ্টান্ত তৈরি করার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের।’
এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলায় কোনো মৌখিক শুনানি বা বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ না রেখেই জরুরি ডকেটের মাধ্যমে রায় দিয়ে দেওয়ার সমালোচনা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাস্টিস কেতানজি ব্রাউন জ্যাকসন। তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখিত যে, আদালত এমন এক নতুন প্রক্রিয়াগত অস্থির যুগে প্রবেশ করেছে, এটি অন্যায্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। অতীতের ভুল রায়গুলোর অন্তত নথিপত্র ছিল, যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বুঝতে পারে কোথায় কী ভুল হয়েছিল। এবার সেটাও থাকল না!’
এ সময় ১৯৮৮ সালের কোরেমাতসু মামলার প্রসঙ্গ টানেন তিনি। ওই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণের পর জাপানি–আমেরিকান দ্বৈত নাগরিকদের আটকাদেশকে বৈধ ঘোষণা করেছিলেন।
২০২৩ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রায় ৬০ বছরের রাজবংশের শাসনের অবসান ঘটানো গ্যাবনের সামরিক নেতা জেনারেল ব্রিস ওলিগুই এনগেমা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। শনিবারের প্রাথমিক ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাঁর আরোপিত শুল্ক পুরোপুরি বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে চীন। বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলমান। এ পরিস্থিতিতেই চীন এই আহ্বান জানিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ’ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসির একটি হাসপাতালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথমবারের মতো বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান ট্রাম্প। রোববার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত
৯ ঘণ্টা আগেচলমান এই বাণিজ্যযুদ্ধে কোন দেশ প্রথম পিছু হটবে, তা বিশ্লেষণ করার জন্য মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন কী কী আমদানি করে, তা নিয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সিএনএন দেখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প হিসেবে চীন কীভাবে অন্য দেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করে তাদের চাহিদা পূরণ করতে
১০ ঘণ্টা আগে