Ajker Patrika

ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ভারতের কড়া সমালোচনায় যুক্তরাষ্ট্র

ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ভারতের কড়া সমালোচনায় যুক্তরাষ্ট্র

ধর্মীয় স্বাধীনতার ব্যাপারে ঘনিষ্ঠ অংশীদার ভারতের বিরল সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বুধবার প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষ ও ইসলামভীতির ব্যাপারেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন প্রতিবেদনটি সম্পর্কে বলেছেন যে, গাজা যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রেও ইহুদিবিদ্বেষ ও ইসলামভীতি অনেকটাই বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘ভারতে আমরা সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য ধর্মান্তর বিরোধী আইন, ঘৃণাত্মক বক্তব্য, বাড়িঘর এবং উপাসনালয় ধ্বংস অনেক বেড়েছে বলে দেখতে পাচ্ছি।’
 
এসব ঘটনার সঙ্গে ভারতের পুলিশের প্রচেষ্টাকেও দায়ী করেছেন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর–অ্যাট–লার্জ রাশাদ হুসাইন।

তিনি বলেন, ভারতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায় জানিয়েছে যে, ধর্মান্তরের অভিযোগ এনে তাদের প্রার্থনায় বাধা দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তখন স্থানীয় পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতাকে সহায়তা করেছিল। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর জনতার হামলার সময় চুপ ছিল পুলিশ। তারপর ধর্ম পরিবর্তনের অভিযোগ এনে ভুক্তভোগীদেরই গ্রেপ্তার করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরেই ভারতের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক চেয়েছে। এশিয়ায় চীনের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক দেশ ভারতকে নিজেদের মিত্র বলেই প্রচার করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখেন।

প্রতিবেদনে প্রকাশ্যে ভারতের সমালোচনা করা হলেও চলতি বছরের শেষ দিকে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিবেদন অনুসারে যখন কালো তালিকা করবে যুক্তরাষ্ট্র, তখন তারা ভারতের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না বলেই অধিকাংশের ধারণা।
 
ভারতের ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানসহ তালিকার বেশ কয়েকটি দেশ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত আইনগুলোর নিন্দা জানিয়েছেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব আইন পাকিস্তানে অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর জেরে ঘটতে পারে সহিংস ঘটনা।

ব্লিঙ্কেন উল্লেখ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম এবং ইহুদি উভয়ের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক অপরাধ নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।

প্রতিবেদনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ ও জাতীয়তাবাদী নেতা ভিক্টর অরবানের নেতৃত্বাধীন হাঙ্গেরির কথা আলাদাভাবে তুলে ধরেছেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, দেশটির কর্মকর্তারা ইহুদি ও মুসলিমবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে দেশটিতে সরকারের সমালোচনাকারী ধর্মীয় সংগঠনগুলোর সদস্যদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন যে, ইউরোপের অন্য নয়টি দেশে জনসমাগমের স্থানে কয়েক ধরনের ধর্মীয় পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে দেশগুলোর নাম উল্লেখ করেননি তিনি। তবে মুসলিম নারীদের মুখ ঢাকা বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফ্রান্স।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত