অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন ইমিগ্রেশন বিভাগ কয়েক শ বিদেশি শিক্ষার্থী ও সদ্য স্নাতকদের ভিসা বাতিল করেছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ভিসা বাতিল ও গ্রেপ্তারের শিকারদের বেশির ভাগই ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। ২০২৪ সালে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে যে বিক্ষোভ হয়েছিল, তাতে অংশ নিয়েছিলেন তারা। আবার কেউ কেউ ফিলিস্তিনের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত। অথবা গাজার সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, এই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ ও হামাসের প্রতি সমর্থন প্রচার করেছে। যদিও শিক্ষার্থী, আইনজীবী ও অধিকারকর্মীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গাজার যুদ্ধবিরোধী অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিক্ষোভে ইহুদি অধিকার গোষ্ঠীগুলো অগ্রভাগে ছিল।
আবার কারও কারও ভিসা বাতিল হয়েছে ছোটখাটো আইনি ভুলের জন্য। যেমন—গাড়ির গতিসীমা লঙ্ঘন বা অন্য কোনো ট্র্যাফিক আইন ভাঙা। ইনসাইড হায়ার এডুর হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ২৪০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের কয়েক শ শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে হার্ভার্ড ও স্ট্যানফোর্ডের মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে। আছে ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের মতো বড় রাষ্ট্র পরিচালিত কলেজ ও প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া, কিছু ছোট ছোট লিবারেল আর্টস কলেজও এর আওতাভুক্ত।
ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করছে, তারা আন্দোলনকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধ করতে চাইছে। গত ২৮ মার্চ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলনকারীদের আমদানি করতে চাই না। তারা এখানে পড়তে এসেছে, ক্লাস করতে এসেছে। তারা এখানে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী আন্দোলন বা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দুর্বল করার মতো নেতৃত্ব দিতে আসেনি।’
অনেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, কোনো নোটিশ ছাড়াই ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে তাদের অবস্থানের স্ট্যাটাস বাতিল করেছে। মাহমুদ খলিল, মোহসেন মাহদাভি ও মাহমুদ তালের মতো অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি অভিবাসী অধিকারগোষ্ঠীর নেতা মোহাম্মদ আলী সাঈদের মতে, অনেকের ভিসা বাতিল হয়েছে পুরোনো ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গের জন্য। কিছু ক্ষেত্রে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছাড়াই এমনটা হয়েছে। সাঈদ বলেন, ‘এই ব্যাপক পদক্ষেপ অভিবাসীদের আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এটি উপযুক্ত প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এর প্রভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।’
সাঈদ জোর দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক ছাত্রদের উচিত দ্রুত ইমিগ্রেশন আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করা। আইনি প্রতিকার খুঁজে বের করা এবং তাদের অধিকার সুরক্ষিত করা। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা চাইলে ফেডারেল আদালতে মামলা করতে পারেন। তাদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি—এমন অভিযোগ আনতে পারে।’
উদাহরণস্বরূপ সাঈদ বলেন, মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে। তারা অভিযোগ করেছে, তাদের এফ-১ ভিসা স্ট্যাটাস বাতিল করা হয়েছে পর্যাপ্ত নোটিশ বা ব্যাখ্যা ছাড়াই। তিনি আরও বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা টেমপোরারি রিস্টার্টিং অর্ডারস বা টিআরওএসের জন্য আবেদন করতে পারে। এর মাধ্যমে দেশে ফেরা ঠেকানো যায়। আইনি প্রক্রিয়া চলাকালীন তাদের বৈধ অবস্থানের স্ট্যাটাস পুনরায় বহাল করা যায়। তিনি বলেন, মন্টানার মতো অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল আদালত শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক ফেরত পাঠানো থেকে রক্ষা করার জন্য এমন আদেশ দিয়েছেন।
সাঈদ আরও বলেন, ‘অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সাহায্য করছে। তারা আইনি সহায়তা দিচ্ছে। ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং একাডেমিক সুবিধাও দিচ্ছে।’ উদাহরণস্বরূপ, জর্জ ম্যাসন ইউনিভার্সিটি ফেডারেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। ভিসা বাতিলের কারণ বোঝার চেষ্টা করেছে এবং তাদের আন্তর্জাতিক ছাত্রদের সাহায্য করার জন্য আইনি বিকল্প খুঁজছে।
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হাফসা কানজাওয়াল বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচুর ভয় ও অনিশ্চয়তা রয়েছে। মানুষ তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে ভাবছে এই ভয়ে যে তারা হয়তো দেশে ফিরতে পারবে না। তিনি বলেন, অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর নিজ দেশে ফেরার কোনো উপায় নেই। কারণ, তাঁদের দেশগুলোতে ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে।
হাফসা বলেন, ‘কিছু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আরও সক্রিয় পদক্ষেপ নিলেও তারা সংখ্যায় খুবই কম। মনে হচ্ছে, বেশির ভাগ ক্যাম্পাসই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের তাদের উদ্বেগ তুলে ধরে আইন পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো আশ্বাস দেয়নি। বিশেষ করে, এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের জন্য কী ধরনের আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে, তা জানায়নি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন একটি সরকারি কলেজের শিক্ষক বলেন, আন্তর্জাতিক ছাত্ররা ভীত। তিনি বলেন, তাঁদের অনেকেই এমনকি যাঁরা প্রকাশ্যে রাজনৈতিক অবস্থান নেননি, তাঁদের সামাজিক মাধ্যম প্রোফাইল মুছে ফেলছেন। তারা আতঙ্কিত যে, কোনো ছোট ভুলই হয়তো তাদের বহিষ্কারের ছুতো হিসেবে ধরা হবে এবং তাদের শিক্ষাজীবন নষ্ট করে দেবে।
ওই শিক্ষক বলেন, ‘আমি যখন গ্রিন কার্ডধারী ছিলাম এবং রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম, তখন আমরা বুঝতাম যে আমরা যতক্ষণ আইনি সীমারেখার মধ্যে আছি, ততক্ষণ মতামত প্রকাশ করার এবং রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার অধিকার আমাদের আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধ উভয়ের বিরুদ্ধেই সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছি এবং ড্রোন হামলার মতো ওয়ার অন টেরর নীতির বিরুদ্ধে খোলাখুলিভাবে কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসী ও আন্তর্জাতিক ছাত্রদের বোঝাতে চায় যে, এখানে তাঁদের অধিকার আসলে বিশেষ সুবিধামাত্র। এটি নির্ভর করে তাঁরা কতটা নিয়ন্ত্রণে থাকছে তার ওপর এবং আরও বৃহত্তরভাবে তারা অভিবাসনের পথ বন্ধ করতে চায় গ্রিন কার্ডধারীদের লক্ষ্য করে। একই সময়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোকে উদারপন্থী ও বামপন্থী রাজনীতির কেন্দ্র হিসেবে দেখে এবং তারা ফিলিস্তিনকে ঘিরে রাজনীতিকে কাজে লাগাতে চায়, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শৃঙ্খলিত করা যায়, উদারপন্থী ও বামপন্থী বিষয়বস্তুর ওপর দমন-পীড়ন চালাতে তাদের বাধ্য করা যায়।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন ইমিগ্রেশন বিভাগ কয়েক শ বিদেশি শিক্ষার্থী ও সদ্য স্নাতকদের ভিসা বাতিল করেছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ভিসা বাতিল ও গ্রেপ্তারের শিকারদের বেশির ভাগই ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। ২০২৪ সালে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে যে বিক্ষোভ হয়েছিল, তাতে অংশ নিয়েছিলেন তারা। আবার কেউ কেউ ফিলিস্তিনের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত। অথবা গাজার সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, এই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষ ও হামাসের প্রতি সমর্থন প্রচার করেছে। যদিও শিক্ষার্থী, আইনজীবী ও অধিকারকর্মীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গাজার যুদ্ধবিরোধী অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিক্ষোভে ইহুদি অধিকার গোষ্ঠীগুলো অগ্রভাগে ছিল।
আবার কারও কারও ভিসা বাতিল হয়েছে ছোটখাটো আইনি ভুলের জন্য। যেমন—গাড়ির গতিসীমা লঙ্ঘন বা অন্য কোনো ট্র্যাফিক আইন ভাঙা। ইনসাইড হায়ার এডুর হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ২৪০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের কয়েক শ শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে হার্ভার্ড ও স্ট্যানফোর্ডের মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে। আছে ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের মতো বড় রাষ্ট্র পরিচালিত কলেজ ও প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া, কিছু ছোট ছোট লিবারেল আর্টস কলেজও এর আওতাভুক্ত।
ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করছে, তারা আন্দোলনকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধ করতে চাইছে। গত ২৮ মার্চ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলনকারীদের আমদানি করতে চাই না। তারা এখানে পড়তে এসেছে, ক্লাস করতে এসেছে। তারা এখানে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী আন্দোলন বা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দুর্বল করার মতো নেতৃত্ব দিতে আসেনি।’
অনেক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, কোনো নোটিশ ছাড়াই ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে তাদের অবস্থানের স্ট্যাটাস বাতিল করেছে। মাহমুদ খলিল, মোহসেন মাহদাভি ও মাহমুদ তালের মতো অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি অভিবাসী অধিকারগোষ্ঠীর নেতা মোহাম্মদ আলী সাঈদের মতে, অনেকের ভিসা বাতিল হয়েছে পুরোনো ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গের জন্য। কিছু ক্ষেত্রে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছাড়াই এমনটা হয়েছে। সাঈদ বলেন, ‘এই ব্যাপক পদক্ষেপ অভিবাসীদের আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এটি উপযুক্ত প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এর প্রভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।’
সাঈদ জোর দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক ছাত্রদের উচিত দ্রুত ইমিগ্রেশন আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করা। আইনি প্রতিকার খুঁজে বের করা এবং তাদের অধিকার সুরক্ষিত করা। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা চাইলে ফেডারেল আদালতে মামলা করতে পারেন। তাদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি—এমন অভিযোগ আনতে পারে।’
উদাহরণস্বরূপ সাঈদ বলেন, মিশিগান অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে। তারা অভিযোগ করেছে, তাদের এফ-১ ভিসা স্ট্যাটাস বাতিল করা হয়েছে পর্যাপ্ত নোটিশ বা ব্যাখ্যা ছাড়াই। তিনি আরও বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা টেমপোরারি রিস্টার্টিং অর্ডারস বা টিআরওএসের জন্য আবেদন করতে পারে। এর মাধ্যমে দেশে ফেরা ঠেকানো যায়। আইনি প্রক্রিয়া চলাকালীন তাদের বৈধ অবস্থানের স্ট্যাটাস পুনরায় বহাল করা যায়। তিনি বলেন, মন্টানার মতো অঙ্গরাজ্যের ফেডারেল আদালত শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক ফেরত পাঠানো থেকে রক্ষা করার জন্য এমন আদেশ দিয়েছেন।
সাঈদ আরও বলেন, ‘অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সাহায্য করছে। তারা আইনি সহায়তা দিচ্ছে। ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং একাডেমিক সুবিধাও দিচ্ছে।’ উদাহরণস্বরূপ, জর্জ ম্যাসন ইউনিভার্সিটি ফেডারেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। ভিসা বাতিলের কারণ বোঝার চেষ্টা করেছে এবং তাদের আন্তর্জাতিক ছাত্রদের সাহায্য করার জন্য আইনি বিকল্প খুঁজছে।
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হাফসা কানজাওয়াল বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচুর ভয় ও অনিশ্চয়তা রয়েছে। মানুষ তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে ভাবছে এই ভয়ে যে তারা হয়তো দেশে ফিরতে পারবে না। তিনি বলেন, অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর নিজ দেশে ফেরার কোনো উপায় নেই। কারণ, তাঁদের দেশগুলোতে ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে।
হাফসা বলেন, ‘কিছু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় আরও সক্রিয় পদক্ষেপ নিলেও তারা সংখ্যায় খুবই কম। মনে হচ্ছে, বেশির ভাগ ক্যাম্পাসই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের তাদের উদ্বেগ তুলে ধরে আইন পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো আশ্বাস দেয়নি। বিশেষ করে, এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের জন্য কী ধরনের আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে, তা জানায়নি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন একটি সরকারি কলেজের শিক্ষক বলেন, আন্তর্জাতিক ছাত্ররা ভীত। তিনি বলেন, তাঁদের অনেকেই এমনকি যাঁরা প্রকাশ্যে রাজনৈতিক অবস্থান নেননি, তাঁদের সামাজিক মাধ্যম প্রোফাইল মুছে ফেলছেন। তারা আতঙ্কিত যে, কোনো ছোট ভুলই হয়তো তাদের বহিষ্কারের ছুতো হিসেবে ধরা হবে এবং তাদের শিক্ষাজীবন নষ্ট করে দেবে।
ওই শিক্ষক বলেন, ‘আমি যখন গ্রিন কার্ডধারী ছিলাম এবং রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম, তখন আমরা বুঝতাম যে আমরা যতক্ষণ আইনি সীমারেখার মধ্যে আছি, ততক্ষণ মতামত প্রকাশ করার এবং রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার অধিকার আমাদের আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধ উভয়ের বিরুদ্ধেই সক্রিয়ভাবে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছি এবং ড্রোন হামলার মতো ওয়ার অন টেরর নীতির বিরুদ্ধে খোলাখুলিভাবে কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসী ও আন্তর্জাতিক ছাত্রদের বোঝাতে চায় যে, এখানে তাঁদের অধিকার আসলে বিশেষ সুবিধামাত্র। এটি নির্ভর করে তাঁরা কতটা নিয়ন্ত্রণে থাকছে তার ওপর এবং আরও বৃহত্তরভাবে তারা অভিবাসনের পথ বন্ধ করতে চায় গ্রিন কার্ডধারীদের লক্ষ্য করে। একই সময়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোকে উদারপন্থী ও বামপন্থী রাজনীতির কেন্দ্র হিসেবে দেখে এবং তারা ফিলিস্তিনকে ঘিরে রাজনীতিকে কাজে লাগাতে চায়, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শৃঙ্খলিত করা যায়, উদারপন্থী ও বামপন্থী বিষয়বস্তুর ওপর দমন-পীড়ন চালাতে তাদের বাধ্য করা যায়।’
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
২ ঘণ্টা আগেভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের পদ্ধতিগত নিপীড়নের অংশ। আগের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা শাস্তি ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
৫ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের কর্মকর্তারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো আলোচনায় তাদের ‘পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে।’ আর এ জন্য প্রয়োজনে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক সীমিত পরিসরে হামলাও চালাতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে