Ajker Patrika

এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরব মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট 

আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৪, ১০: ৩৯
এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরব মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট 

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় মানবিক বিপর্যয় রোধে যথেষ্ট উদ্যোগ নিচ্ছে না। একই সঙ্গে তিনি হামাসকেও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

কমলা হ্যারিসের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল গাজায় যা করছে তার জন্য কড়া ভাষায় তিরস্কার করেছেন। তবে মৌখিক তিরস্কার করলেও দেশটিতে সাহায্য দেওয়া অব্যাহত রেখেছে দেশটি। এমনকি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরাম বিশেষ করে জাতিসংঘে ইসরায়েলকে সমর্থন করেই যাচ্ছে ওয়াশিংটন। 
 
যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের সেলমার এডমুন্ড পিটাস ব্রিজ এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে গতকাল রোববার দেওয়া এক ভাষণে কমলা হ্যারিস এ কথা বলেন। তিনি সেখানে গাজায় শিগগির ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান এবং হামাসকেও যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। 

ইসরায়েলের কড়া সমালোচনা করে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘গাজার লোকেরা খাবার না পেয়ে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেখান পরিস্থিতি অমানবিক এবং সমগ্র মানবতা আমাদের কিছু করার জন্য বাধ্য করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় যাতে পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবেশ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েল সরকারকে অবশ্যই উদ্যোগ নিতে হবে। কোনো অজুহাত চলবে না।’ 
 
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ৮ ফেব্রুয়ারি বলেছিলেন, ইসরায়েল গাজা যা করছে তা মাত্রা ছাড়িয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, আপনি জানেন—গাজায়, গাজা উপত্যকায় (হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার বিপরীতে ইসরায়েলি) প্রতিক্রিয়া মাত্রা ছাড়িয়েছে।’ সে সময় তিনি জানান, একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি পেতে ইসরায়েলকে কঠোরভাবে চাপ দিচ্ছেন তিনি। 

তার আগে, ইসরায়েলে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, ‘গত ৭ অক্টোবরের হামলার সঙ্গে গাজার সিংহভাগ মানুষের কোনো সম্পর্ক নেই। গাজার অনেক পরিবারের বেঁচে থাকা নির্ভর করে ইসরায়েলি সহায়তার ওপর।’ 

ফিলিস্তিনিদের ইঙ্গিত করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘তারাও তো আমাদেরই পরিবারের মতো। তারাও আমাদের মা, বাবা, ছেলে ও মেয়ের মতো। যারা ভালো জীবিকা অর্জন করতে চায়, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে চায় এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চায়। তাদের প্রকৃত পরিচয়ই এটা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত