অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে ভারত। এই বিষয়ে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট দুজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এগুলো দীর্ঘমেয়াদি তেল চুক্তি। রাশিয়া থেকে রাতারাতি তেল কেনা বন্ধ করা এত সহজ নয়।’
গত বুধবার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের এক পোস্টে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, রাশিয়া থেকে অস্ত্র ও তেল কেনার জন্য ভারতকে অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। এরপর শুক্রবার (১ আগস্ট) তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি শুনেছেন যে ভারত আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। তবে, আজ শনিবার নিউ ইয়র্ক টাইমস দুজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊর্ধ্বতন ভারতীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, ভারতের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকার তেল কোম্পানিগুলোকে রাশিয়া থেকে আমদানি কমানোর কোনো নির্দেশ দেয়নি।
এর আগে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, জুলাই মাসে ছাড় কমে যাওয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রীয় তেল শোধনাগারগুলো গত এক সপ্তাহে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও শুক্রবার এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘জ্বালানি আমদানির প্রয়োজনে... আমরা বাজারে কী পাওয়া যায়, কী প্রস্তাব আছে এবং সেই সঙ্গে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি কী সেটা বিবেচনা করি।’
জয়সওয়াল আরও বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের একটি ‘স্থির ও পরীক্ষিত বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব’ রয়েছে। এ ছাড়া আরও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক নিজস্ব যোগ্যতার ভিত্তিতে টিকে আছে, এটা তৃতীয় কোনো দেশের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়।
তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ২০২২ সালে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর ছাড় কম হওয়ায় ভারতীয় শোধনাগারগুলো কেনা কমিয়ে দিচ্ছে। চারটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রীয় শোধনাগারগুলো— ইন্ডিয়ান ওয়েল করপোরেশন, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড গত এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনা থেকে বিরত রয়েছে।
গত ১৪ জুলাই ট্রাম্প হুমকি দেন, ইউক্রেনের সঙ্গে মস্কো একটি বড় শান্তি চুক্তি না করলে রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশগুলোর ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। রাশিয়ার থেকে সবচেয়ে বেশি অপরিশোধিত তেল ক্রয় করে ভারত, যা এশিয়ার বৃহৎ জনগোষ্ঠীর এই দেশটির মোট চাহিদার প্রায় ৩৫ শতাংশ পূরণ করে।
২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসেও রাশিয়া ভারতের শীর্ষ তেল সরবরাহকারী ছিল। এরপর রয়েছে যথাক্রমে ইরাক, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
রয়টার্সকে দেওয়া তথ্যানুসারে, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক ও ভোক্তা দেশ ভারত এই বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় ১.৭৫ মিলিয়ন ব্যারেল রাশিয়ান তেল পেয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি।
রাশিয়ান কোম্পানিগুলোর মালিকানাধীন নায়ারা এনার্জি সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে। নায়ারার মালিকানার বড় একটি অংশ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রসনেফটের। গত মাসে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, এই নিষেধাজ্ঞার পর নায়ারা এনার্জির প্রধান নির্বাহী পদত্যাগ করেছেন এবং তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন কোম্পানির একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা সের্গেই ডেনিসভ। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে নায়ারা এনার্জির তিনটি তেলবাহী জাহাজ এখনো তাদের পণ্য খালাস করতে পারেনি।
গুজরাটের ভাদিনারে অবস্থিত নায়ারার শোধনাগারটি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল শোধনাগার, যা প্রতিদিন ৪ লাখ ব্যারেল তেল প্রক্রিয়াজাত করে এবং সারা দেশে ৬ হাজার ৩০০টির বেশি পেট্রলপাম্প পরিচালনা করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে ভারত। এই বিষয়ে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট দুজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এগুলো দীর্ঘমেয়াদি তেল চুক্তি। রাশিয়া থেকে রাতারাতি তেল কেনা বন্ধ করা এত সহজ নয়।’
গত বুধবার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের এক পোস্টে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, রাশিয়া থেকে অস্ত্র ও তেল কেনার জন্য ভারতকে অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। এরপর শুক্রবার (১ আগস্ট) তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি শুনেছেন যে ভারত আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। তবে, আজ শনিবার নিউ ইয়র্ক টাইমস দুজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊর্ধ্বতন ভারতীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, ভারতের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকার তেল কোম্পানিগুলোকে রাশিয়া থেকে আমদানি কমানোর কোনো নির্দেশ দেয়নি।
এর আগে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, জুলাই মাসে ছাড় কমে যাওয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রীয় তেল শোধনাগারগুলো গত এক সপ্তাহে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও শুক্রবার এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘জ্বালানি আমদানির প্রয়োজনে... আমরা বাজারে কী পাওয়া যায়, কী প্রস্তাব আছে এবং সেই সঙ্গে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি কী সেটা বিবেচনা করি।’
জয়সওয়াল আরও বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের একটি ‘স্থির ও পরীক্ষিত বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব’ রয়েছে। এ ছাড়া আরও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক নিজস্ব যোগ্যতার ভিত্তিতে টিকে আছে, এটা তৃতীয় কোনো দেশের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়।
তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ২০২২ সালে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর ছাড় কম হওয়ায় ভারতীয় শোধনাগারগুলো কেনা কমিয়ে দিচ্ছে। চারটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রীয় শোধনাগারগুলো— ইন্ডিয়ান ওয়েল করপোরেশন, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড গত এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনা থেকে বিরত রয়েছে।
গত ১৪ জুলাই ট্রাম্প হুমকি দেন, ইউক্রেনের সঙ্গে মস্কো একটি বড় শান্তি চুক্তি না করলে রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশগুলোর ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। রাশিয়ার থেকে সবচেয়ে বেশি অপরিশোধিত তেল ক্রয় করে ভারত, যা এশিয়ার বৃহৎ জনগোষ্ঠীর এই দেশটির মোট চাহিদার প্রায় ৩৫ শতাংশ পূরণ করে।
২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসেও রাশিয়া ভারতের শীর্ষ তেল সরবরাহকারী ছিল। এরপর রয়েছে যথাক্রমে ইরাক, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
রয়টার্সকে দেওয়া তথ্যানুসারে, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক ও ভোক্তা দেশ ভারত এই বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় ১.৭৫ মিলিয়ন ব্যারেল রাশিয়ান তেল পেয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি।
রাশিয়ান কোম্পানিগুলোর মালিকানাধীন নায়ারা এনার্জি সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে। নায়ারার মালিকানার বড় একটি অংশ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রসনেফটের। গত মাসে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, এই নিষেধাজ্ঞার পর নায়ারা এনার্জির প্রধান নির্বাহী পদত্যাগ করেছেন এবং তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন কোম্পানির একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা সের্গেই ডেনিসভ। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে নায়ারা এনার্জির তিনটি তেলবাহী জাহাজ এখনো তাদের পণ্য খালাস করতে পারেনি।
গুজরাটের ভাদিনারে অবস্থিত নায়ারার শোধনাগারটি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল শোধনাগার, যা প্রতিদিন ৪ লাখ ব্যারেল তেল প্রক্রিয়াজাত করে এবং সারা দেশে ৬ হাজার ৩০০টির বেশি পেট্রলপাম্প পরিচালনা করে।
চীনের তৈরি অত্যাধুনিক মাল্টিরোল অ্যাটাক হেলিকপ্টার জেট-১০ এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে। এক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, পাকিস্তান আর্মি এভিয়েশন কর্পস এই হেলিকপ্টারগুলো মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন...
১ ঘণ্টা আগেপাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিমান ইউনিটে চীনের তৈরি আধুনিক জেট-১০ অ্যাটাক হেলিকপ্টার আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়েছে। আজ শনিবার মুলতান গ্যারিসনে সেনাবাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল সাইয়েদ আসিম মুনির এই হেলিকপ্টারগুলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগে১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় ব্রিটিশ পণ্য বর্জন করে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের ডাক দিয়েছিল ভারতীয়রা। এই ঘটনার প্রায় ১২০ বছর পর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেন আবার এক স্বদেশি আন্দোলনের ডাক দিলেন! তবে এবার বিদেশি পণ্য বর্জন নয়, স্বদেশি পণ্যের ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
৫ ঘণ্টা আগেভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি ও জেডিএসের (ভারতীয় জনতা দল-সেক্যুলার) বহিষ্কৃত নেতা প্রজ্বল রেভান্নাকে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত। একই সঙ্গে আদালত তাঁকে ১০ লাখ রুপি জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। আজ শনিবার বিচারক সন্তোষ গজানম ভাট এই রায় ঘোষণা
৭ ঘণ্টা আগে