Ajker Patrika

টেক্সাসে বন্যা: প্রাণহানি বেড়ে ১০৯, এখনো নিখোঁজ ১৮০ জন

অনলাইন ডেস্ক
কেয়ার কাউন্টিতে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ক্যাম্প মিস্টিকের ২৭ শিশু ও তত্ত্বাবধায়ক। ছবি: সংগৃহীত
কেয়ার কাউন্টিতে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ক্যাম্প মিস্টিকের ২৭ শিশু ও তত্ত্বাবধায়ক। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৯ জনে। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট জানিয়েছেন, এখনো ১৮০ জনের বেশি মানুষের সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজদের খুঁজতে কাদামাটিতে ঢেকে থাকা ধ্বংসস্তূপে অভিযান চালাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা।

গভর্নর আরও জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত ‘ফ্ল্যাশ ফ্লাড অ্যালি’ বন্যায় আরও ১৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৯ জনে। শুধু কেয়ার কাউন্টি থেকেই এখন পর্যন্ত ৯৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের এক-তৃতীয়াংশের বেশি শিশু। কেয়ার কাউন্টির বাইরে অন্তত ২২ জন মারা গেছেন বলে স্থানীয় শেরিফ কার্যালয় ও সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

এখনো অনেককে খুঁজে পাওয়া যায়নি তাই পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।

কেয়ার কাউন্টিতে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ক্যাম্প মিস্টিকের ২৭ শিশু ও তত্ত্বাবধায়ক। মৃতের পাশাপাশি নিখোঁজের সংখ্যাও কেয়ার কাউন্টিতে কম নয়। ২৫ হাজার বাসিন্দার এই এলাকাটি পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট জানান, শুধুমাত্র কেয়ার কাউন্টিতেই এখন পর্যন্ত ১৬১ জনের নাম একটি তালিকা করা হয়েছে যারা নিখোঁজ। এর মধ্যে ক্যাম্প মিস্টিকের পাঁচ শিশু ও একজন ক্যাম্প কাউন্সিলর নিখোঁজ রয়েছেন। ক্যাম্পের বাইরের আরেকটি শিশুও নিখোঁজ রয়েছে।

গভর্নর অ্যাবট আরও জানান, কেয়ার কাউন্টির বাইরে আরও অন্তত ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

গত শুক্রবার ভোরে মাত্র এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে অঞ্চলটিতে এক ফুটেরও বেশি বৃষ্টি হয়। টানা মুষলধারে বৃষ্টির ফলে গুয়াদালুপ নদীতে বন্যার সৃষ্টি হয়। বজ্রঝড় ও বৃষ্টির কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হওয়ায় নিখোঁজদের খুঁজে পাওয়া কঠিন হচ্ছে।

কেরভিল শহরের ব্যবস্থাপক ডাল্টন রাইস জানান, যতটুকু বৃষ্টির কথা বলা হয়েছিল, বাস্তবে তার দ্বিগুণ বৃষ্টি হয়েছে। পুরো ঘটনাটি মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে ঘটে যায়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ায় উষ্ণতা ও আর্দ্রতা বাড়তে থাকায় টেক্সাসসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় এমন চরম বন্যা পরিস্থিতি বাড়ছে।

এদিকে এ পরিস্থিতির নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন কেয়ার কাউন্টির শেরিফ ল্যারি লাইথা। জরুরি প্রস্তুতি ও আবহাওয়া সতর্কতা ব্যবস্থার মাধ্যমে আগে থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে তদন্ত চলছে।

লাইথা বলেন, শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে তাদের অফিসে ৯১১ ইমার্জেন্সি কল আসতে শুরু করে। অথচ এর কয়েক ঘণ্টা আগেই স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর ফ্ল্যাশ ফ্লাড সতর্কতা জারি করেছিল।

গভর্নর অ্যাবট জানান, রাজ্যের জরুরি সাড়া ব্যবস্থাপনা ও দুর্যোগ তহবিল নিয়ে তদন্ত করতে এই মাসেই টেক্সাস আইনসভায় বিশেষ অধিবেশন বসবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত