সামরিক আইনে কোনো বেসামরিক ব্যক্তির বিচার করা যাবে না। বিষয়টি অসাংবিধানিক। ফলে গত ৯-১০ মের দাঙ্গায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের যেসব সমর্থক গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তাঁদের বিচার আর সেনা আইনে করা সম্ভব হবে না। গত সোমবার এমনটাই রায় দিয়েছেন পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত। বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তানের রাজনীতিতে এটি গণতন্ত্রের জয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে তথ্য জানা গেছে।
চলতি বছরের মে মাসের ৯ তারিখে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হলে তাঁর সমর্থকেরা দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ভাঙচুর চালান কয়েকটি সেনা স্থাপনায়। সেই ঘটনায় ইমরান খানের শতাধিক সমর্থককে গ্রেপ্তার করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। শুরু থেকে বলা হচ্ছিল, গ্রেপ্তার এই শতাধিক লোকের বিচার হবে সেনা আইনে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে সেনা আইনে বেসামরিক লোকদের বিচারের বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হবে।
গত সোমবার পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চটির নেতৃত্ব দেন বিচারপতি ইজাজুল আহসান। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন—বিচারপতি মুনিব আখতার, বিচারপতি ইয়াহয়া আফ্রিদি, বিচারপতি সৈয়দ মাজহার আলী আকবর নকভি ও বিচারপতি আয়েশা এ. মালিক। তাঁরা সর্বসম্মতিক্রমে রায় দেন, ৯ মে দাঙ্গার সব মামলাই বেসামরিক ফৌজদারি আদালতে বিচার করতে হবে।
আদালতের রায়ে সেনা আইনে অনেকের বিচার হচ্ছে, কিন্তু সেটি হওয়া উচিত নয় উল্লেখ করে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল শীর্ষ আদালতে প্রায় ১০৩ জনের তালিকা দিয়েছেন, যাঁরা গত ৯ ও ১০ মে যেসব ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে এবং আরও অনেকে হয়তো অভিযুক্ত রয়েছেন কিংবা অভিযুক্ত হবেন, তাঁদের দেশের সাধারণ অথবা বিশেষ আইনে প্রতিষ্ঠিত উপযুক্ত এখতিয়ারের ফৌজদারি আদালতে বিচার করা হবে।’
সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের পর সামরিক আদালতে চলতে থাকা মামলাগুলো এখন বেসামরিক আদালতে স্থানান্তর করা হবে। পাকিস্তান ও পাকিস্তানের বাইরের মানবাধিকার সংগঠনগুলো শুরু থেকেই সেনা আইনে বিচারের বিষয়টির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এর সমালোচনা করে আসছিলেন। এ ছাড়া এই রায়ের ফলে এরই মধ্যে যাঁরা সেনা আইনে দণ্ড পেয়েছেন, তাঁরা সেই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিলও করতে পারবেন।
মূলত ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের পক্ষ থেকেই সেনা আইনে বেসামরিক লোকদের বিচারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়। পিটিআইয়ের হয়ে সেই আবেদন করেছিলেন আইতজাজ আহসান। তিনি বলেন, ‘আজকের এই রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি দেশের সংবিধান, আইন ও বেসামরিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করবে।
সামরিক আইনে কোনো বেসামরিক ব্যক্তির বিচার করা যাবে না। বিষয়টি অসাংবিধানিক। ফলে গত ৯-১০ মের দাঙ্গায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের যেসব সমর্থক গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তাঁদের বিচার আর সেনা আইনে করা সম্ভব হবে না। গত সোমবার এমনটাই রায় দিয়েছেন পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত। বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তানের রাজনীতিতে এটি গণতন্ত্রের জয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে তথ্য জানা গেছে।
চলতি বছরের মে মাসের ৯ তারিখে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হলে তাঁর সমর্থকেরা দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ভাঙচুর চালান কয়েকটি সেনা স্থাপনায়। সেই ঘটনায় ইমরান খানের শতাধিক সমর্থককে গ্রেপ্তার করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। শুরু থেকে বলা হচ্ছিল, গ্রেপ্তার এই শতাধিক লোকের বিচার হবে সেনা আইনে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে সেনা আইনে বেসামরিক লোকদের বিচারের বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হবে।
গত সোমবার পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চটির নেতৃত্ব দেন বিচারপতি ইজাজুল আহসান। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন—বিচারপতি মুনিব আখতার, বিচারপতি ইয়াহয়া আফ্রিদি, বিচারপতি সৈয়দ মাজহার আলী আকবর নকভি ও বিচারপতি আয়েশা এ. মালিক। তাঁরা সর্বসম্মতিক্রমে রায় দেন, ৯ মে দাঙ্গার সব মামলাই বেসামরিক ফৌজদারি আদালতে বিচার করতে হবে।
আদালতের রায়ে সেনা আইনে অনেকের বিচার হচ্ছে, কিন্তু সেটি হওয়া উচিত নয় উল্লেখ করে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল শীর্ষ আদালতে প্রায় ১০৩ জনের তালিকা দিয়েছেন, যাঁরা গত ৯ ও ১০ মে যেসব ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে এবং আরও অনেকে হয়তো অভিযুক্ত রয়েছেন কিংবা অভিযুক্ত হবেন, তাঁদের দেশের সাধারণ অথবা বিশেষ আইনে প্রতিষ্ঠিত উপযুক্ত এখতিয়ারের ফৌজদারি আদালতে বিচার করা হবে।’
সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের পর সামরিক আদালতে চলতে থাকা মামলাগুলো এখন বেসামরিক আদালতে স্থানান্তর করা হবে। পাকিস্তান ও পাকিস্তানের বাইরের মানবাধিকার সংগঠনগুলো শুরু থেকেই সেনা আইনে বিচারের বিষয়টির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এর সমালোচনা করে আসছিলেন। এ ছাড়া এই রায়ের ফলে এরই মধ্যে যাঁরা সেনা আইনে দণ্ড পেয়েছেন, তাঁরা সেই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিলও করতে পারবেন।
মূলত ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের পক্ষ থেকেই সেনা আইনে বেসামরিক লোকদের বিচারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়। পিটিআইয়ের হয়ে সেই আবেদন করেছিলেন আইতজাজ আহসান। তিনি বলেন, ‘আজকের এই রায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি দেশের সংবিধান, আইন ও বেসামরিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে ভারত। এই বিষয়ে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট দুজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এগুলো দীর্ঘমেয়াদি তেল চুক্তি। রাশিয়া থেকে রাতারাতি তেল কেনা বন্ধ করা এত সহজ নয়।’
২ ঘণ্টা আগে১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় ব্রিটিশ পণ্য বর্জন করে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের ডাক দিয়েছিল ভারতীয়রা। এই ঘটনার প্রায় ১২০ বছর পর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেন আবার এক স্বদেশি আন্দোলনের ডাক দিলেন! তবে এবার বিদেশি পণ্য বর্জন নয়, স্বদেশি পণ্যের ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি ও জেডিএসের (ভারতীয় জনতা দল-সেক্যুলার) বহিষ্কৃত নেতা প্রজ্বল রেভান্নাকে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত। একই সঙ্গে আদালত তাঁকে ১০ লাখ রুপি জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। আজ শনিবার বিচারক সন্তোষ গজানম ভাট এই রায় ঘোষণা
৪ ঘণ্টা আগেভারতের পরিবেশগত ভবিষ্যৎ নিয়ে এক অভূতপূর্ব সতর্কবার্তা শোনা গেল দেশের সর্বোচ্চ আদালতের মুখে। হিমাচল প্রদেশের প্রকৃতিবিধ্বংসী উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি আর মহাদেবনের ডিভিশন বেঞ্চ রীতিমতো মন্তব্য করে জানান, এই
৬ ঘণ্টা আগে