Ajker Patrika

আশার আলো দেখিয়ে ভেস্তে যাওয়ার মুখে গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা

অনলাইন ডেস্ক
সাহায্যের আশায় বিধ্বস্ত ও হতাশ গাজার শিশুরা। ছবি: আনাদোলু
সাহায্যের আশায় বিধ্বস্ত ও হতাশ গাজার শিশুরা। ছবি: আনাদোলু

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার বলেছেন, সপ্তাহ খানিকের মধ্যেই গাজা যুদ্ধবিরতি হয়ে যেতে পারে। এমনকি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ও হামাসের এক শীর্ষ নেতাও এই বিষয়ে আশার আলো দেখিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মুখে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মুখে।

জ্যেষ্ঠ ওই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরের মাধ্যমে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘কালক্ষেপণের’ কৌশল নিয়েছেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে আলোচনার গতি থামিয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, ইসরায়েল যে প্রতিনিধি দলকে দোহার আলোচনায় পাঠিয়েছে, তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো ক্ষমতাই ছিল না।

আলোচনার মূল বিরোধগুলোর মধ্যে রয়েছে—গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তা বিতরণের বিষয়। তবে গত রোববার যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার আগে নেতানিয়াহু আশার সুরে বলেছিলেন, ‘আমি আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যেই একটি চুক্তি সম্পন্ন হবে।’ তিনি বলেন, প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী হামাস ৬০ দিন স্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় তাদের হাতে থাকা জীবিত ২০ জন জিম্মির অর্ধেক এবং মৃত ৩০ জন জিম্মিদের মধ্যে কয়েক জনের মরদেহ ফেরত দেবে।

এর আগে, গত রোববার থেকে কাতারের দোহায় আলাদা ভবনে ইসরায়েল ও হামাসের আলোচকেরা আট দফা পরোক্ষ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। এতে মধ্যস্থতা করছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি ও মিসরের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এ আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি ব্রেট ম্যাকগার্কও অংশ নেন।

মধ্যস্থতাকারীরা হামাস ও ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলের মধ্যে মৌখিক ও লিখিত অসংখ্য বার্তা আদান-প্রদান করেছেন। ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলে সামরিক, গোয়েন্দা ও রাজনৈতিক কর্মকর্তারা ছিলেন। তবে শুক্রবার রাতে আলোচনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কিছু ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, আলোচনাগুলো ভেঙে পড়ার মুখে আছে। কারণ, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দুই পক্ষের অবস্থান এখনো অনেক দূরে।

তারা জানান, সাম্প্রতিক আলোচনায় মূলত দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে—গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ ও বিতরণের পদ্ধতি এবং ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের মাত্রা। হামাসের দাবি, গাজায় মানবিক ত্রাণ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সরবরাহ ও বিতরণ করতে হবে।

অন্যদিকে, ইসরায়েল চাচ্ছে ত্রাণ বিতরণ তাদের ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হোক। এ পদ্ধতি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। মধ্যস্থতাকারীরা জানান, এই ইস্যুতে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে, তবে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তবে কি ধরে নেব, মবের পেছনে সরকারের প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় আছে: তারেক রহমান

বিদেশ ভ্রমণে ভিসা পাওয়া কঠিন হচ্ছে

পাইলট ইচ্ছা করে বিধ্বস্ত করান এয়ার ইন্ডিয়ার সেই ড্রিমলাইনার: বিশেষজ্ঞ

বিমানের কাঠমান্ডু ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক: ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন মা, জানাল র‍্যাব

দিনাজপুর-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ঘিরে সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২৫

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত