Ajker Patrika

হিজবুল্লাহর অধিকাংশ ঘাঁটি এখন লেবাননের সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে

অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত লেবাননের একটি এলাকায় টহল দিচ্ছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত লেবাননের একটি এলাকায় টহল দিচ্ছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: এএফপি

দক্ষিণ লেবাননে অবস্থিত ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বেশির ভাগ সামরিক ঘাঁটি এখন লেবাননের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। গতকাল শনিবার হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি বলেছে, দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর বেশির ভাগ ঘাঁটি সেনাবাহিনীর কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।

সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ২৭ নভেম্বর হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের অবসানে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, দক্ষিণ লেবাননে কেবল জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী এবং লেবাননের সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকার কথা। এই চুক্তির অংশ হিসেবে হিজবুল্লাহকে তাদের সামরিক অবকাঠামো ভেঙে ফেলতে এবং যোদ্ধাদের ইসরায়েল সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার উত্তরে লিটানি নদীর ওপারে সরিয়ে নিতে হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ লিটানি নদীর দক্ষিণে চিহ্নিত ২৬৫টি সামরিক অবস্থানের মধ্যে প্রায় ১৯০টি সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করেছে। যুদ্ধবিরতির শর্তে ইসরায়েলের ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখের মধ্যে লেবানন থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা থাকলেও, তারা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি স্থানে এখনো সেনা মোতায়েন রেখেছে।

এদিকে, ইসরায়েল দাবি করেছে—তারা লেবাননে হিজবুল্লাহর বিভিন্ন স্থাপনা ও সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে। গত সপ্তাহে লেবানন সফরকালে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন উপ-বিশেষ দূত মরগান ওরটাগাস লেবাননের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

লেবাননের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওরটাগাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র লেবানন সরকারের ওপর যুদ্ধবিরতির শর্তাবলি সম্পূর্ণরূপে মেনে চলার জন্য চাপ দিচ্ছে, যার মধ্যে হিজবুল্লাহসহ সকল মিলিশিয়াদের নিরস্ত্র করা অন্তর্ভুক্ত।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলে হামলা চালালে হিজবুল্লাহ ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে উত্তর ইসরায়েলে রকেট হামলা শুরু করে। পরে এই সংঘাত পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নেয়, যা হিজবুল্লাহকে দুর্বল করে দেয়। লেবাননের কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই সংঘর্ষে লেবাননে ৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশ এই যুদ্ধবিরতি তত্ত্বাবধানে কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গলাধাক্কার পর ছোট্ট মেয়েটিকে লাঠি দিয়ে পেটালেন কফিশপের কর্মচারী

বিশ্বব্যাংকে সিরিয়ার ঋণ পরিশোধ করে দিচ্ছে সৌদি আরব

মাত্র তিনজনের জন্য লাখ লাখ মানুষ মরছে, কাদের কথা বললেন ট্রাম্প

জুয়ার বিজ্ঞাপনের প্রচার: আলোচিত টিকটকার জান্নাতের স্বামী তোহা কারাগারে

‘চরিত্র হননের চেষ্টা’: গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর দুদককে পাল্টা আক্রমণ টিউলিপের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত