Ajker Patrika

গাজায় দুদিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মিসরের

মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি গাজায় দুদিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছেন। ছবি: এএফপি
মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি গাজায় দুদিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছেন। ছবি: এএফপি

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায়। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় অঞ্চলটি আক্ষরিক অর্থেই ধুলোর স্তূপে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থায় অঞ্চলটিতে দুদিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। একই সঙ্গে, অল্প কিছু জিম্মি-বন্দী বিনিময়ের প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। 

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার এই প্রস্তাব দেন মিসরের প্রেসিডেন্ট। তবে এই যুদ্ধবিরতির মূল লক্ষ্য গাজায় একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের পথ তৈরি করা। তবে এই প্রস্তাব গাজার নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি সিসি। 

মিসরের রাজধানী কায়রোতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিসি জানান, এই দুই দিনের যুদ্ধবিরতিতে হামাস চারজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করে দেবে বিপরীতে ইসরায়েলও তাদের কারাগারে বন্দী নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেবে। এর পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করা হবে। 

আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির এই প্রস্তাব এমন এক সময়ে এল, যখন ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছে এবং সম্প্রতি ইরানের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে। 

এই বিমান হামলার বিষয়ে ইরান জানিয়েছে, ইসরায়েলের শতাধিক যুদ্ধবিমান এই হামলায় অংশ নিলেও সেগুলো ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি। বরং ইরাকে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন আকাশসীমা থেকে। 

ইরানের সশস্ত্র বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ইরাকি আকাশসীমা ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল। কারণ, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলোকে ইরানের আকাশসীমা প্রবেশ করতে দেয়নি। পাশাপাশি ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় সবগুলোকেই ঠেকিয়ে দিয়েছে। 

এক বিবৃতিতে ইরানি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ও স্পষ্ট আক্রমণের মাধ্যমে গতকাল সন্ত্রাসী মার্কিন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন ইরাকি আকাশসীমা ব্যবহার করে শত্রু (ইহুদিবাদী) যুদ্ধবিমানগুলো ইরানের বিভিন্ন সীমান্তে অবস্থিত রাডারের দিকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে।’ 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই রাডারগুলো ইলাম প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চল এবং খুজেস্তান প্রদেশ ও তেহরান প্রদেশের আশপাশে অবস্থিত।’ এতে আরও বলা হয়, ‘ইরানের আকাশসীমার ১০০ কিমি দূরে থেকে ছোড়া এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ওয়ারহেডগুলোর ওজন ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইলের ওয়ারহেডগুলোর ওজনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ।’ 

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ইরানি রাডার ইউনিটগুলো ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে সামান্যই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সবগুলো রাডার ইউনিটই হয় মেরামত করা হয়েছে, না হয় মেরামত করা হচ্ছে।’ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ট্র্যাক করে প্রতিহত করা হয়েছে এবং শত্রুর বিমানগুলোকে দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ থেকে বাধা দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত