Ajker Patrika

সৌদি আরবে বিমানবন্দরে লাগেজ হারালে ২ লাখ টাকা, ফ্লাইট মিসে ২০০% ক্ষতিপূরণ

সৌদি আরবে বিমানবন্দরে লাগেজ হারালে ২ লাখ টাকা, ফ্লাইট মিসে ২০০% ক্ষতিপূরণ

যাত্রী পরিষেবা উন্নত করতে ও যাত্রীদের অধিকার রক্ষায় নতুন নির্বাহী প্রবিধান জারি করেছে সৌদি আরব। এই প্রবিধানের আওতায় কোনো যাত্রী লাগেজ হারালে বা সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন বা কর্তৃপক্ষের দোষে ফ্লাইট মিস করলে ক্ষতিপূরণ পাবেন। 

সৌদি আরবের জেনারেল অথোরিটি অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (জিএসিএ) ঘোষিত এই প্রবিধান আগামী ২০ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। 

প্রবিধানটিতে ৩০টি ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব ধারায় যাত্রীদের যথাযথ সেবা, সহায়তা এবং ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। 

এর মধ্যে ফ্লাইট মিসে টিকিট মূল্যের ১৫০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টিও রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগে ফ্লাইট ছাড়লে বা ফ্লাইট ছাড়তে বিলম্ব বা ফ্লাইট বাতিল করা হলে এই পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত বুকিং এবং ডাউন গ্রেডিংয়ের কারণে ফ্লাইটে তুলতে অস্বীকার করা হলেও ক্ষতিপূরণ পাবেন যাত্রী। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হবে টিকিট মূল্যের ১৫০ শতাংশ থেকে ২০০ শতাংশ। 

নতুন প্রবিধান অনুযায়ী, যাত্রীদের লাগেজ হারিয়ে গেলে ৬ হাজার ৫৬৮ সৌদি রিয়াল (১ লাখ ৯১ হাজার টাকার বেশি) সমতুল্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া মালপত্রের ক্ষতি, ত্রুটি বা বিলম্বের ক্ষেত্রে যাত্রী অনূর্ধ্ব ৬ হাজার ৫৬৮ সৌদি রিয়াল আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী হবে। 

টিকিট রিজারভেশন নিশ্চিত করার সময় জানানো হয়নি এমন কোনো স্থানে বিরতি দিলেও নতুন প্রবিধানে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। প্রবিধানে যাত্রী এবং এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ উভয়ের বাধ্যবাধকতা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। 

প্রবিধানগুলোতে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের অধিকার এবং বিশেষ চাহিদার ব্যাপারেও বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রবিধানগুলো যারা চার্টার্ড ফ্লাইটে ভ্রমণকারী বিশেষ করে হজ এবং ওমরাহ করতে আসা যাত্রী ও সেবাগ্রহীতার অধিকারও নিশ্চিত করেছে। 

উল্লেখ্য, সৌদি আরবের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন শিল্পে স্থান করে নিতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ এবং কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সৌদি আরবের লক্ষ্য বিমান পরিবহন খাতকে মধ্যপ্রাচ্যে শীর্ষস্থানীয় হয়ে উঠতে সক্ষম করে তোলা। বাৎসরিক যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা ৩৩ কোটিতে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। 

সেই সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে পণ্য পরিবহন সক্ষমতা ৪৫ লাখ টন এবং ২৫০টি গন্তব্যের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে সৌদি আরব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতিহাস দরজায় কড়া নেড়ে বলছে, ১৯৭১ থেকে পাকিস্তান কি শেখেনি কিছুই

‘আমাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ো না’

কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের খামারবাড়ি অবরোধের ঘোষণা

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

যশোরে আত্মগোপনে থাকা আ.লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত