গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত ১০ মাসে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এদের মধ্যে ১৬ হাজার ৪৫৬ শিশু এবং ১১ হাজার নারী। সেই সঙ্গে মোট আহতের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে ৯২ হাজার।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে অবশ্য ইসরায়েলকেও মূল্য দিতে হয়েছে। দেশটির তিন শতাধিক সেনা কর্মকর্তা ও সদস্য নিহত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গাজায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪০ হাজার ৫ জন এবং আহত হয়েছেন মোট ৯২ হাজার ৪০১ ফিলিস্তিনি। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ এখনো ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন হামাসের ১৭ হাজার যোদ্ধা। কোন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিহত হামাস যোদ্ধাদের এই সংখ্যা সম্পর্কে আইডিএফ নিশ্চিত হলো, তা অবশ্য ভেঙে বলেননি রিয়ার অ্যাডমিরাল হাগারি।
ফিলিস্তিনের সাংবাদিক এবং সেখানে কর্মরত আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মীদের মতে, গাজায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ যেসব নিহত ও আহত ফিলিস্তিনিকে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে, শুধু তাদের হিসাব দিয়ে হতাহতের তালিকা তৈরি করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় যারা ধংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ছেন, তাদের তালিকায় রাখা হয়নি। তা ছাড়া খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদেরও হিসাবে ধরা হয়নি।
তাদের এই বক্তব্যকে সমর্থন করে এবং নিজেদের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে গত জুলাই মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা ও পিআর রিভিউ সাময়িকী ল্যানসেট। সেখানে দাবি করা হয়, যুদ্ধে গত দশ মাসে গাজায় মোট নিহত ১ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ও তাদের মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের ১ হাজার যোদ্ধা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মোট নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন। সেই সঙ্গে ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় যোদ্ধারা।
আকস্মিক এই হামলার পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনো চলছে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতা এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য অভিযানের শুরু থেকে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য দুই পক্ষকে একটি নতুন চুক্তির আওতায় আনতে চেষ্টা করছেন মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। গতকাল ১৫ আগস্ট ছিল সেই চুক্তি প্রস্তুতসংক্রান্ত বৈঠক। ইসরায়েল ও হামাস নেতাদের সেই বৈঠকে আসার আহ্বানও জানানো হয়েছিল।
সেই বৈঠকে আসতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল। তবে হামাসের হাইকমান্ড জানিয়েছে, তারা আর নতুন কোনো বৈঠক চায় না; এর পরিবর্তে গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় যে তিন স্তরের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন, সেটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত ১০ মাসে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এদের মধ্যে ১৬ হাজার ৪৫৬ শিশু এবং ১১ হাজার নারী। সেই সঙ্গে মোট আহতের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে ৯২ হাজার।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে অবশ্য ইসরায়েলকেও মূল্য দিতে হয়েছে। দেশটির তিন শতাধিক সেনা কর্মকর্তা ও সদস্য নিহত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গাজায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪০ হাজার ৫ জন এবং আহত হয়েছেন মোট ৯২ হাজার ৪০১ ফিলিস্তিনি। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ এখনো ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন হামাসের ১৭ হাজার যোদ্ধা। কোন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিহত হামাস যোদ্ধাদের এই সংখ্যা সম্পর্কে আইডিএফ নিশ্চিত হলো, তা অবশ্য ভেঙে বলেননি রিয়ার অ্যাডমিরাল হাগারি।
ফিলিস্তিনের সাংবাদিক এবং সেখানে কর্মরত আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মীদের মতে, গাজায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ যেসব নিহত ও আহত ফিলিস্তিনিকে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে, শুধু তাদের হিসাব দিয়ে হতাহতের তালিকা তৈরি করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় যারা ধংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ছেন, তাদের তালিকায় রাখা হয়নি। তা ছাড়া খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদেরও হিসাবে ধরা হয়নি।
তাদের এই বক্তব্যকে সমর্থন করে এবং নিজেদের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে গত জুলাই মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা ও পিআর রিভিউ সাময়িকী ল্যানসেট। সেখানে দাবি করা হয়, যুদ্ধে গত দশ মাসে গাজায় মোট নিহত ১ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ও তাদের মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের ১ হাজার যোদ্ধা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মোট নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন। সেই সঙ্গে ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় যোদ্ধারা।
আকস্মিক এই হামলার পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনো চলছে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতা এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য অভিযানের শুরু থেকে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য দুই পক্ষকে একটি নতুন চুক্তির আওতায় আনতে চেষ্টা করছেন মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। গতকাল ১৫ আগস্ট ছিল সেই চুক্তি প্রস্তুতসংক্রান্ত বৈঠক। ইসরায়েল ও হামাস নেতাদের সেই বৈঠকে আসার আহ্বানও জানানো হয়েছিল।
সেই বৈঠকে আসতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল। তবে হামাসের হাইকমান্ড জানিয়েছে, তারা আর নতুন কোনো বৈঠক চায় না; এর পরিবর্তে গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় যে তিন স্তরের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন, সেটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
২ ঘণ্টা আগেভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের পদ্ধতিগত নিপীড়নের অংশ। আগের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা শাস্তি ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
৫ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের কর্মকর্তারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো আলোচনায় তাদের ‘পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে।’ আর এ জন্য প্রয়োজনে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক সীমিত পরিসরে হামলাও চালাতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে