Ajker Patrika

ইরাকে ইউটিউব তারকার ‘অনার কিলিং’, ক্ষোভে তোলপাড় টুইটার 

আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩: ৪৭
ইরাকে ইউটিউব তারকার ‘অনার কিলিং’, ক্ষোভে তোলপাড় টুইটার 

বাবার হাতে একজন তরুণ ইউটিউব তারকার মৃত্যু ইরাকে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। দিনের পর দিন রক্ষণশীল দেশে তথাকথিত এমন ‘অনার কিলিং’ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাদ মান শুক্রবার টুইট করে বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ দিওয়ানিয়ায় ২২ বছর বয়সী তিবা আল-আলি তাঁর বাবার হাতে ৩১ জানুয়ারি নিহত হন।

মান জানিয়েছেন, ‘আলি তুরস্কে থাকতেন, পারিবারিক বিরোধ সমাধান করার জন্য ইরাকে গিয়েছিলেন।’ 

জানা যায়, মেয়ের তুরস্কে একা থাকার সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ছিলেন আলির বাবা। আলি ইউটিউবে তাঁর দৈনন্দিন জীবনের ভিডিও পোস্ট করতেন এবং সেখানে তাঁর বাগ্‌দত্তাকে প্রায়ই দেখা যেত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একটি সূত্র এএফপিকে বলেছিল, তাদের বিরোধ বেশ কয়েক বছর আগের। সূত্রটি জানিয়েছে, ২০১৭ সালে আলি তুরস্ক ভ্রমণ করেছিলেন, কিন্তু পরিবারের সঙ্গে দেশে ফিরতে অস্বীকার করেছিলেন। সেখানেই বসবাস শুরু করেন।

খুনের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘তাঁর বাবা মেয়ে হত্যার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছিলেন, যাতে আমরা অবাক হয়েছি। তবে বিরোধের মূল কারণ সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।’

ইতিমধ্যে তাঁর মৃত্যু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইরাকিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছে। আলি হত্যার বিচারের দাবিতে আগামীকাল রোববার বাগদাদে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে তারা।

প্রবীণ রাজনীতিবিদ আলা তালাবানি এক টুইটে বলেছেন, ‘আমাদের সমাজের নারীরা আইনি বাধা এবং সরকারি পদক্ষেপ না থাকার কারণে পশ্চাৎপদ প্রথার কাছে জিম্মি, যা বর্তমানে পারিবারিক সহিংসতা অপরাধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়৷’

মানবাধিকারকর্মী হানা এডওয়ার এএফপিকে বলেছেন, আলি তাঁর ভাইয়ের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাই পরিবার ছেড়ে চলে গেছেন। আলীর একটি অডিও রেকর্ড থেকে তিনি এ তথ্য পেয়েছেন বলে জানান।

ইরাকি অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসও একই অভিযোগের কথা জানিয়েছে। তবে এএফপি ভয়েস রেকর্ডিংয়ের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। সংস্থাটির উপপরিচালক (মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা) আয়া মাজজউব বলেছেন, ‘যত দিন ইরাকি কর্তৃপক্ষ মেয়েদের সুরক্ষার জন্য শক্ত আইন গ্রহণ না করে, তত দিন আমরা অনিবার্যভাবে এমন ভয়ংকর হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থাকব।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত