ইরানের নৈতিকতা পুলিশ নারীদের ‘ড্রেস কোড’ মেনে চলা এবং জনসমক্ষে চুল ঢেকে রাখা নিশ্চিত করতে বিতর্কিত টহল আবার শুরু করছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল রোববার খোমেনি মসরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের হিজাব আইন কার্যকর করতে ‘নৈতিকতা পুলিশ’ রাস্তায় ফিরে আসবে। তেহরানে ‘ড্রেস কোড’ ভঙ্গ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মাশা আমিনি নামে এক তরুণী হেফাজতে মারা যাওয়ার ১০ মাস পর এই আইন আবারও কার্যকর শুরু করল।
মাশা আমিনির মৃত্যুতে ব্যাপক জাতীয় প্রতিবাদ শুরু হয় ইরানে। পরিস্থিতির চাপে পড়ে নৈতিক পুলিশের টহল স্থগিত করে ইরান। তবে ইসলামি কট্টরপন্থীরা বেশ কিছুদিন ধরে টহল পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়ে আসছে।
ইরানের আইন দেশটির শরিয়াহ বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে চলে। শরিয়াহ আইন অনুযায়ী, ইরানে নারীদের অবশ্যই তাদের চুল হিজাব (হেড স্কার্ফ) দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং লম্বা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে।
নৈতিকতা পুলিশ ইউনিটকে আইন না মানলে আটক করার ক্ষমতাও আবার দেওয়া হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘তাসনিম’-এর উদ্ধৃতি অনুসারে, পুলিশের মুখপাত্র সাইদ মনতাজেরোলমাহদি বলেছেন, টহল চলাকালীন অফিসাররা প্রথমে মহিলাদের সতর্ক করবে। যদি তারা আদেশ অমান্য করে, পুলিশ তখন ‘আইনি ব্যবস্থা’ নেবে।
মাশা আমিনির ট্র্যাজেডি
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাশা আমিনি (২২) তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে রাজধানী তেহরানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। এ সময় নিয়ম না মেনে হিজাব না পরায় নৈতিকতা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল এবং নির্যাতন করেছিল। এরপর তাঁকে একটি ডিটেনশন সেন্টারে নেওয়া হলে তিনি সেখানে জ্ঞান হারান।
তখন অভিযোগ ওঠে, নৈতিক পুলিশ অফিসাররা আমিনির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে এবং গাড়ির সঙ্গে মাথা ধাক্কা দিয়েছে।
এই ঘটনা লক্ষাধিক ইরানিকে ক্ষুব্ধ করে। দেশজুড়ে কয়েক মাস ধরে সহিংস সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়। এতে প্রায় ৬০০ বিক্ষোভকারীকে হত্যা করে ইরান সরকার। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রীয় মৃত্যুদণ্ডও ছিল।
বিক্ষোভের পরের মাসগুলোতে অনেক নারী হিজাব পরা পুরোপুরি বন্ধ করে দেন। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর ইরানে ইসলামি শাসনামলের জন্য এটি ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে দেখা যে, মহিলাদের হিজাব না পরার দৃশ্যই দিনদিন ইরানে স্বাভাবিক হয়ে উঠছিল। কিন্তু এর মধ্যেই ইরানি কর্তৃপক্ষ হিজাব আইন না মানলে গ্রেপ্তার ও শাস্তির বিধান আনল।
এদিকে বিক্ষোভকারী বিপুলসংখ্যক ইরানি হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও এখনো অনেক কট্টরপন্থী হিজাবকে সমর্থন করে।
এই বছরের শুরুর দিকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি মাথা অনাবৃত দুই নারীর মুখে দইয়ের টব ছুড়ে দিচ্ছেন। বিষয়টি বেশ সমালোচনা শুরু হয়েছিল। পরে ওই ব্যক্তি ও দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এই আইন এখন কার্যকরী হবে কি?
ইরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইসমাইল রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, কর্তৃপক্ষ ‘পোশাক আইন’ পুনরায় প্রয়োগ করতে সক্ষম হবে বলে তিনি মনে করেন না। তারা আগের মতো এটা চাপিয়ে দিতে পারবে না। যারা মানে না তাদের সংখ্যা এখন অনেক বেশি।
ইসমাইল আরও বলেন, ‘তারা আমাদের সবাইকে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারবে না, শেষ জিনিসটি তারা করতে পারে তা হলো আমাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং বলপ্রয়োগ। কিন্তু এসব করে কোনো লাভ হবে না।’
ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরানে বিভিন্ন ধরনের ‘নৈতিকতা পুলিশ’ ছিল। এদের সর্বশেষ সংস্করণ হলো গাইডেন্স পেট্রোল, যা ফারসিতে ‘গাশত-ই এরশাদ’ নামে পরিচিত। সংস্থাটি ২০০৬ সালে তাদের টহল শুরু করে।
এই বাহিনীর জন্য কতজন পুরুষ এবং মহিলা কাজ করে তা স্পষ্ট নয়। তবে তাদের অস্ত্র এবং আটক কেন্দ্র রয়েছে যাকে ‘পুনঃশিক্ষা কেন্দ্র’ বলা হয়।
বিক্ষোভকারীদের ওপর ইরানের সহিংস দমন-পীড়নের প্রতিক্রিয়ায়, যুক্তরাজ্য এবং অন্য পশ্চিমা দেশগুলো গত বছর নৈতিকতা পুলিশ এবং অন্যান্য শীর্ষ নিরাপত্তা ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
ইরানের নৈতিকতা পুলিশ নারীদের ‘ড্রেস কোড’ মেনে চলা এবং জনসমক্ষে চুল ঢেকে রাখা নিশ্চিত করতে বিতর্কিত টহল আবার শুরু করছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল রোববার খোমেনি মসরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের হিজাব আইন কার্যকর করতে ‘নৈতিকতা পুলিশ’ রাস্তায় ফিরে আসবে। তেহরানে ‘ড্রেস কোড’ ভঙ্গ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর মাশা আমিনি নামে এক তরুণী হেফাজতে মারা যাওয়ার ১০ মাস পর এই আইন আবারও কার্যকর শুরু করল।
মাশা আমিনির মৃত্যুতে ব্যাপক জাতীয় প্রতিবাদ শুরু হয় ইরানে। পরিস্থিতির চাপে পড়ে নৈতিক পুলিশের টহল স্থগিত করে ইরান। তবে ইসলামি কট্টরপন্থীরা বেশ কিছুদিন ধরে টহল পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়ে আসছে।
ইরানের আইন দেশটির শরিয়াহ বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে চলে। শরিয়াহ আইন অনুযায়ী, ইরানে নারীদের অবশ্যই তাদের চুল হিজাব (হেড স্কার্ফ) দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং লম্বা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে।
নৈতিকতা পুলিশ ইউনিটকে আইন না মানলে আটক করার ক্ষমতাও আবার দেওয়া হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘তাসনিম’-এর উদ্ধৃতি অনুসারে, পুলিশের মুখপাত্র সাইদ মনতাজেরোলমাহদি বলেছেন, টহল চলাকালীন অফিসাররা প্রথমে মহিলাদের সতর্ক করবে। যদি তারা আদেশ অমান্য করে, পুলিশ তখন ‘আইনি ব্যবস্থা’ নেবে।
মাশা আমিনির ট্র্যাজেডি
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাশা আমিনি (২২) তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে রাজধানী তেহরানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। এ সময় নিয়ম না মেনে হিজাব না পরায় নৈতিকতা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল এবং নির্যাতন করেছিল। এরপর তাঁকে একটি ডিটেনশন সেন্টারে নেওয়া হলে তিনি সেখানে জ্ঞান হারান।
তখন অভিযোগ ওঠে, নৈতিক পুলিশ অফিসাররা আমিনির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে এবং গাড়ির সঙ্গে মাথা ধাক্কা দিয়েছে।
এই ঘটনা লক্ষাধিক ইরানিকে ক্ষুব্ধ করে। দেশজুড়ে কয়েক মাস ধরে সহিংস সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়। এতে প্রায় ৬০০ বিক্ষোভকারীকে হত্যা করে ইরান সরকার। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রীয় মৃত্যুদণ্ডও ছিল।
বিক্ষোভের পরের মাসগুলোতে অনেক নারী হিজাব পরা পুরোপুরি বন্ধ করে দেন। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর ইরানে ইসলামি শাসনামলের জন্য এটি ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে দেখা যে, মহিলাদের হিজাব না পরার দৃশ্যই দিনদিন ইরানে স্বাভাবিক হয়ে উঠছিল। কিন্তু এর মধ্যেই ইরানি কর্তৃপক্ষ হিজাব আইন না মানলে গ্রেপ্তার ও শাস্তির বিধান আনল।
এদিকে বিক্ষোভকারী বিপুলসংখ্যক ইরানি হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও এখনো অনেক কট্টরপন্থী হিজাবকে সমর্থন করে।
এই বছরের শুরুর দিকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি মাথা অনাবৃত দুই নারীর মুখে দইয়ের টব ছুড়ে দিচ্ছেন। বিষয়টি বেশ সমালোচনা শুরু হয়েছিল। পরে ওই ব্যক্তি ও দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এই আইন এখন কার্যকরী হবে কি?
ইরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইসমাইল রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, কর্তৃপক্ষ ‘পোশাক আইন’ পুনরায় প্রয়োগ করতে সক্ষম হবে বলে তিনি মনে করেন না। তারা আগের মতো এটা চাপিয়ে দিতে পারবে না। যারা মানে না তাদের সংখ্যা এখন অনেক বেশি।
ইসমাইল আরও বলেন, ‘তারা আমাদের সবাইকে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারবে না, শেষ জিনিসটি তারা করতে পারে তা হলো আমাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং বলপ্রয়োগ। কিন্তু এসব করে কোনো লাভ হবে না।’
ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরানে বিভিন্ন ধরনের ‘নৈতিকতা পুলিশ’ ছিল। এদের সর্বশেষ সংস্করণ হলো গাইডেন্স পেট্রোল, যা ফারসিতে ‘গাশত-ই এরশাদ’ নামে পরিচিত। সংস্থাটি ২০০৬ সালে তাদের টহল শুরু করে।
এই বাহিনীর জন্য কতজন পুরুষ এবং মহিলা কাজ করে তা স্পষ্ট নয়। তবে তাদের অস্ত্র এবং আটক কেন্দ্র রয়েছে যাকে ‘পুনঃশিক্ষা কেন্দ্র’ বলা হয়।
বিক্ষোভকারীদের ওপর ইরানের সহিংস দমন-পীড়নের প্রতিক্রিয়ায়, যুক্তরাজ্য এবং অন্য পশ্চিমা দেশগুলো গত বছর নৈতিকতা পুলিশ এবং অন্যান্য শীর্ষ নিরাপত্তা ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওয়ালা ফাথি তাঁর তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। দেইর আল-বালাহ থেকে তিনি বিবিসিকে বলেন, গাজার মানুষেরা ‘এমন এক বিপর্যয় এবং দুর্ভিক্ষের অভিজ্ঞতা লাভ করছে, যা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমার শিশুটি আমার গর্ভেই থাকুক। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমাকে যেন তাকে জন্ম দিতে...
৯ ঘণ্টা আগেএই বিরোধ তীব্র হয় ২০০৮ সালে। কম্বোডিয়া বিতর্কিত এলাকার ১১ শতকের একটি মন্দিরকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নিবন্ধন করার চেষ্টা করলে থাইল্যান্ডের তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়ে। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে অনেকবার সংঘর্ষ হয়েছে, যেখানে উভয় পক্ষের সৈনিক ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘর্ষ আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নতুন এক উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। আসিয়ান সংগঠনটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্রুত বিকাশমান অঞ্চলে অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এই অঞ্চলটিতে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীন প্রভাব...
১১ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জনই বেসামরিক নাগরিক এবং একজন সেনাসদস্য।
১২ ঘণ্টা আগে