ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ইরান। সেই পরিকল্পনা ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে শিন বেত। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাসের তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়ার গুপ্তহত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। অবশ্য, ইসরায়েল কখনোই হানিয়ার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেনি। আরও দাবি করা হয়েছে, ইরান ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত ও অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের হত্যার পরিকল্পনাও করেছে।
শিন বেত দাবি করেছে, তুরস্কে দীর্ঘদিন বসবাস করা ইসরায়েলি এক ব্যবসায়ীকে কাজে লাগিয়ে এই হত্যা পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ওই ব্যবসায়ীর ইরানি ও তুর্কি লোকদের সঙ্গে চেনাজানা আছে। পরিকল্পনাটি কার্যকর করার জন্য গত এপ্রিলে তুর্কি নাগরিক আন্দ্রেই ফারুক আসলান ও গুনেইদ আসলান আর্থিক লেনদেনের জন্য ইসরায়েলি ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তাদের মধ্যস্থতায় তুরস্কের সামান্দগ শহরে এডি নামে এক ইরানি ধনকুবেরের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে মে মাসে দেখা করেন সেই ব্যবসায়ী।
এডি ইরান থেকে তুরস্কে যেতে পারবেন না, জানার পর ইসরায়েলি ওই ব্যবসায়ী নিজেই ইরানে যান। সেখানে তিনি ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা ‘হজ’ এবং এডির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তাঁকে এই অপারেশন পরিচালনার জন্য ১০ লাখ ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়।
পরে আগস্টে সেই ব্যবসায়ী দ্বিতীয়বার ইরানে যান এবং পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করার জন্য তাঁকে ৫০০০ ডলার দেওয়া হয়। বিশেষ করে অস্ত্রসহ অন্যান্য যেসব উপকরণ লাগে সেগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য তাঁকে এই অর্থ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ইসরায়েলের আরেক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কোনো এজেন্টকে ডাবল এজেন্টে পরিণত করার জন্যও তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
আগস্ট মাসে ওই ইসরায়েলি ব্যবসায়ী একটি ট্রাকে করে ইরানে প্রবেশ করেছিলেন। এবার তিনি এডি ছাড়াও ইরানের নিরাপত্তাবাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে তাঁকে উল্লিখিত নেতাদের হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করার কথা জানান।
এ ছাড়া ওই ব্যবসায়ীকে বেশ কিছু স্থানের ভিডিও গ্রহণের জন্যও বলা হয়, যেখান থেকে নজরদারি করা যাবে। এই বাইরেও ওই ব্যবসায়ীকে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলিকে হুমকি দেওয়ার জন্যও বলা হয়। এসব ইসরায়েলির সঙ্গে ইরান যোগাযোগ করেছিল তাদের হয়ে কাজ করার জন্য। কিন্তু পরে তারা বেঁকে বসে।
তবে এত কিছুর পরও শিন বেত এই বিষয়ে আরও কিছু জানায়নি। বিশেষ করে ওই ব্যবসায়ী তাঁর পরিকল্পনায় উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছিলেন কি না। তবে সংস্থাটি দাবি করেছে, ইরান এ ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারে। এর অর্থ হলো, এই পরিকল্পনা ফাঁস হওয়ার পর হুমকি শেষ হয়ে গেছে বিষয়টি এমন নয়।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত ও দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ইরান। সেই পরিকল্পনা ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে শিন বেত। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাসের তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়ার গুপ্তহত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। অবশ্য, ইসরায়েল কখনোই হানিয়ার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেনি। আরও দাবি করা হয়েছে, ইরান ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত ও অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের হত্যার পরিকল্পনাও করেছে।
শিন বেত দাবি করেছে, তুরস্কে দীর্ঘদিন বসবাস করা ইসরায়েলি এক ব্যবসায়ীকে কাজে লাগিয়ে এই হত্যা পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ওই ব্যবসায়ীর ইরানি ও তুর্কি লোকদের সঙ্গে চেনাজানা আছে। পরিকল্পনাটি কার্যকর করার জন্য গত এপ্রিলে তুর্কি নাগরিক আন্দ্রেই ফারুক আসলান ও গুনেইদ আসলান আর্থিক লেনদেনের জন্য ইসরায়েলি ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তাদের মধ্যস্থতায় তুরস্কের সামান্দগ শহরে এডি নামে এক ইরানি ধনকুবেরের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে মে মাসে দেখা করেন সেই ব্যবসায়ী।
এডি ইরান থেকে তুরস্কে যেতে পারবেন না, জানার পর ইসরায়েলি ওই ব্যবসায়ী নিজেই ইরানে যান। সেখানে তিনি ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা ‘হজ’ এবং এডির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তাঁকে এই অপারেশন পরিচালনার জন্য ১০ লাখ ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়।
পরে আগস্টে সেই ব্যবসায়ী দ্বিতীয়বার ইরানে যান এবং পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করার জন্য তাঁকে ৫০০০ ডলার দেওয়া হয়। বিশেষ করে অস্ত্রসহ অন্যান্য যেসব উপকরণ লাগে সেগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য তাঁকে এই অর্থ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ইসরায়েলের আরেক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কোনো এজেন্টকে ডাবল এজেন্টে পরিণত করার জন্যও তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
আগস্ট মাসে ওই ইসরায়েলি ব্যবসায়ী একটি ট্রাকে করে ইরানে প্রবেশ করেছিলেন। এবার তিনি এডি ছাড়াও ইরানের নিরাপত্তাবাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে তাঁকে উল্লিখিত নেতাদের হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করার কথা জানান।
এ ছাড়া ওই ব্যবসায়ীকে বেশ কিছু স্থানের ভিডিও গ্রহণের জন্যও বলা হয়, যেখান থেকে নজরদারি করা যাবে। এই বাইরেও ওই ব্যবসায়ীকে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলিকে হুমকি দেওয়ার জন্যও বলা হয়। এসব ইসরায়েলির সঙ্গে ইরান যোগাযোগ করেছিল তাদের হয়ে কাজ করার জন্য। কিন্তু পরে তারা বেঁকে বসে।
তবে এত কিছুর পরও শিন বেত এই বিষয়ে আরও কিছু জানায়নি। বিশেষ করে ওই ব্যবসায়ী তাঁর পরিকল্পনায় উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছিলেন কি না। তবে সংস্থাটি দাবি করেছে, ইরান এ ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারে। এর অর্থ হলো, এই পরিকল্পনা ফাঁস হওয়ার পর হুমকি শেষ হয়ে গেছে বিষয়টি এমন নয়।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে গোপনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সিদ্ধান্ত এমন একসময় এসেছে, যখন জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘সত্যিকারের দেশ প্রেমিক’ বলে প্রশংসা করে একটি চিঠিতে নিষেধাজ্ঞা...
২৩ মিনিট আগেথাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে নতুন করে গোলাগুলি শুরু হয়। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই থাইল্যান্ডের বেসামরিক নাগরিক।
১ ঘণ্টা আগেপশ্চিমা বিভিন্ন দেশ দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে, ইরানের মহাকাশ কর্মসূচির প্রযুক্তিগত অগ্রগতি তাদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ভান্ডার উন্নত করতে ব্যবহার করা হতে পারে।
২ ঘণ্টা আগেমরদেহের পাশে ছিল একটি চিরকুট। তাতে লেখা, ‘আমি শিবশরণ। আমি মৃত্যুকে বরণ করছি, কারণ, আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না। আমার মা যখন মারা গিয়েছিলেন, তখনই আমার চলে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার চাচা আর দাদিকে দেখে তখন এই সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আমি মরে যেতে চাইছি, কারণ, গতকাল স্বপ্নে আমি আমার মাকে দেখেছিলাম। তিনি
২ ঘণ্টা আগে