ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফাকে ‘ডেথ জোন’ বা ‘মৃত্যু অঞ্চল’ বলে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হাসপাতালটিতে এখনো যারা অবস্থান করছে, তাদের সরিয়ে নিতেও অনুরোধ করেছে সংস্থাটি। আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা।
গত শনিবার মানবিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ডব্লিউএইচওর নেতৃত্বে একটি দল হাসপাতালটি পরিদর্শন করে। এর আগেই আল-শিফা থেকে অধিকাংশ রোগী ও আশ্রয়প্রার্থীকে সরিয়ে নেওয়া হয়। পর্যবেক্ষণকারী দলটি হাসপাতালের প্রবেশমুখেই একটি গণকবর দেখতে পায়, যেখানে একসঙ্গে ৮০ জনেরও বেশি লোককে কবর দেওয়া হয়েছিল। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, লজিস্টিক অফিসার এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন বিভাগের নিরাপত্তাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত দলটি হাসপাতালে গোলাবর্ষণ ও গোলাগুলির দৃশ্যমান নানা লক্ষণও দেখতে পেয়েছে।
এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলেছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে পর্যবেক্ষক দলটি হাসপাতালের ভেতরে মাত্র এক ঘণ্টা অবস্থান করতে সক্ষম হয় এবং সেই এক ঘণ্টার পরিদর্শনেই তাঁরা এই হাসপাতালকে ‘ডেথ জোন’ বা ‘মৃত্যু অঞ্চল’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। হাসপাতালের পরিস্থিতিকে ‘মরিয়া’ বলেও বর্ণনা করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, ওষুধ, খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাবে হাসপাতালটি ঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে কর্মীদের পক্ষে হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। করিডর এবং হাসপাতালের মাঠ বর্জ্যে ভরে গেছে। এতে এখানে অবস্থানরতদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে গেছে।
ডব্লিউএইচও আরও বলেছে, হাসপাতালে অবস্থানরত রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আতঙ্কিত। সেখান থেকে তাদের সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন তারা। আল-শিফা হাসপাতাল এখন আর নতুন করে কোনো রোগীকে ভর্তি করতে পারছে না এবং আহত ও অসুস্থদের ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে যেতে বলা হচ্ছে।
আল-শিফা হাসপাতালে এখনো ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৩২ শিশুসহ ২৯১ জন রোগী রয়েছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। রোগী, চিকিৎসক ও আশ্রয়প্রার্থীদের অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। নির্দেশ পালন করতে বন্দুকের মুখে বল প্রয়োগ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, যারা হাসপাতালটি ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছে, কেবল তাদের অনুরোধের ভিত্তিতেই বাহিনী কাজ করেছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকেই ফিলিস্তিনের গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা দেড় মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না স্কুল, মসজিদ এমনকি হাসপাতালের মতো স্থাপনাও। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে বেশ কয়েকটি দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফাকে ‘ডেথ জোন’ বা ‘মৃত্যু অঞ্চল’ বলে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হাসপাতালটিতে এখনো যারা অবস্থান করছে, তাদের সরিয়ে নিতেও অনুরোধ করেছে সংস্থাটি। আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা।
গত শনিবার মানবিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ডব্লিউএইচওর নেতৃত্বে একটি দল হাসপাতালটি পরিদর্শন করে। এর আগেই আল-শিফা থেকে অধিকাংশ রোগী ও আশ্রয়প্রার্থীকে সরিয়ে নেওয়া হয়। পর্যবেক্ষণকারী দলটি হাসপাতালের প্রবেশমুখেই একটি গণকবর দেখতে পায়, যেখানে একসঙ্গে ৮০ জনেরও বেশি লোককে কবর দেওয়া হয়েছিল। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, লজিস্টিক অফিসার এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন বিভাগের নিরাপত্তাকর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত দলটি হাসপাতালে গোলাবর্ষণ ও গোলাগুলির দৃশ্যমান নানা লক্ষণও দেখতে পেয়েছে।
এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলেছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে পর্যবেক্ষক দলটি হাসপাতালের ভেতরে মাত্র এক ঘণ্টা অবস্থান করতে সক্ষম হয় এবং সেই এক ঘণ্টার পরিদর্শনেই তাঁরা এই হাসপাতালকে ‘ডেথ জোন’ বা ‘মৃত্যু অঞ্চল’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। হাসপাতালের পরিস্থিতিকে ‘মরিয়া’ বলেও বর্ণনা করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, ওষুধ, খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাবে হাসপাতালটি ঠিকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে কর্মীদের পক্ষে হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। করিডর এবং হাসপাতালের মাঠ বর্জ্যে ভরে গেছে। এতে এখানে অবস্থানরতদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে গেছে।
ডব্লিউএইচও আরও বলেছে, হাসপাতালে অবস্থানরত রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আতঙ্কিত। সেখান থেকে তাদের সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন তারা। আল-শিফা হাসপাতাল এখন আর নতুন করে কোনো রোগীকে ভর্তি করতে পারছে না এবং আহত ও অসুস্থদের ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে যেতে বলা হচ্ছে।
আল-শিফা হাসপাতালে এখনো ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৩২ শিশুসহ ২৯১ জন রোগী রয়েছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। রোগী, চিকিৎসক ও আশ্রয়প্রার্থীদের অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। নির্দেশ পালন করতে বন্দুকের মুখে বল প্রয়োগ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, যারা হাসপাতালটি ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছে, কেবল তাদের অনুরোধের ভিত্তিতেই বাহিনী কাজ করেছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকেই ফিলিস্তিনের গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা দেড় মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না স্কুল, মসজিদ এমনকি হাসপাতালের মতো স্থাপনাও। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে বেশ কয়েকটি দেশ ও মানবাধিকার সংস্থা।
লুটতরাজ, ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে এরই মধ্যে দেশজুড়ে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
৩ মিনিট আগেকাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার উপত্যকাজুড়ে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। যার মধ্যে সাত জন নিহত হয়েছে উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে।
৪৪ মিনিট আগেভারত ও চীনের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার ইইউ কর্মকর্তাদের এই আহ্বান জানান তিনি। মূলত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চাপের মুখে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলের অংশ হিসেবে এমন অনুরোধ জানান
১ ঘণ্টা আগেকাঠমান্ডুতে মৃত্যুর মিছিল, ধ্বংসযজ্ঞ আর অগ্নিসংযোগের ভয়াবহ ছবি ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। দেশজুড়ে আন্দোলনের মুখে কেপি শর্মা অলি সরকারের পতনের পর হিমালয়ের পাদদেশের এই দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছে নেপালের সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগে