আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সরাসরি কোনো আলোচনা করবে না ইরান। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে এক কূটনৈতিক আলোচনায় এ কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনাকে বরং নিজেদের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করে তেহরান। খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ‘সম্পূর্ণ নিষ্ফল চেষ্টা’। গতকাল মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে খামেনির এ বক্তব্য প্রচার করেছে।
এই বক্তব্য প্রচারের আগে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দেশ তিনটিকে একত্রে ‘ই থ্রি’ বলা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কায়া কালাসের সঙ্গেও আলোচনা করেন তিনি। ইরানের ওপর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ বা নিষেধাজ্ঞাই ছিল আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। কয়েক দিনের মধ্যে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা।
ইরানকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার মেয়াদ বৃদ্ধির এক প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রত্যাখ্যান করার কয়েক দিন পর খামেনি এ মন্তব্য করলেন। আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই আলোচনার ফলাফল ঘোষণা করেছে। ফলাফল হবে, তেহরানের পারমাণবিক কার্যক্রম ও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করা। এটি কোনো আলোচনা নয়, এক প্রকার চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।
তেহরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে ই থ্রি। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির তুলনায় ৪০ গুণের বেশি ইউরেনিয়াম মজুত করা।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে সই করা ‘দ্য জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ)’ চুক্তির মাধ্যমে দেশটির পারমাণবিক আকাঙ্ক্ষা সীমিত করার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প ২০১৮ সালে তাঁর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি অনুযায়ী ইরানের বিরুদ্ধে ওই নিষেধাজ্ঞা আবার আরোপ করেন এবং জেসিপিওএ চুক্তি থেকে এককভাবে বেরিয়ে আসেন, যা ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে আরও উসকে দেয়। পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন প্রাথমিকভাবে ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করলেও সেটি অব্যাহতই রয়েছে।
ইউরোপীয় দেশগুলো জানিয়েছে, যদি ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় ফেরে, জাতিসংঘের নিরীক্ষকেরা তার পারমাণবিক স্থাপনায় প্রবেশ করতে পারেন এবং তেহরান ৪০০ কেজির (৮৮০ পাউন্ড) বেশি উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের হিসাব দেয়, তবে শাস্তি থেকে অব্যাহতির সময়সীমা বাড়ানো সম্ভব। ইইউ পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কায়া কালাস বলেন, ‘কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সুযোগ আছে। সময়সীমা চলছে, দেখা যাক। ইরানের পক্ষ থেকেও কিছু বাস্তব কর্মকাণ্ড দেখতে হবে।’
এদিকে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে ইরানকে কখনো পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে দেওয়া হবে না বলে আবারও উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি তেহরানকে ‘বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সরাসরি কোনো আলোচনা করবে না ইরান। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে এক কূটনৈতিক আলোচনায় এ কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনাকে বরং নিজেদের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করে তেহরান। খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ‘সম্পূর্ণ নিষ্ফল চেষ্টা’। গতকাল মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে খামেনির এ বক্তব্য প্রচার করেছে।
এই বক্তব্য প্রচারের আগে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দেশ তিনটিকে একত্রে ‘ই থ্রি’ বলা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কায়া কালাসের সঙ্গেও আলোচনা করেন তিনি। ইরানের ওপর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ বা নিষেধাজ্ঞাই ছিল আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। কয়েক দিনের মধ্যে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা।
ইরানকে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার মেয়াদ বৃদ্ধির এক প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রত্যাখ্যান করার কয়েক দিন পর খামেনি এ মন্তব্য করলেন। আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই আলোচনার ফলাফল ঘোষণা করেছে। ফলাফল হবে, তেহরানের পারমাণবিক কার্যক্রম ও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করা। এটি কোনো আলোচনা নয়, এক প্রকার চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।
তেহরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে ই থ্রি। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির তুলনায় ৪০ গুণের বেশি ইউরেনিয়াম মজুত করা।
যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে সই করা ‘দ্য জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ)’ চুক্তির মাধ্যমে দেশটির পারমাণবিক আকাঙ্ক্ষা সীমিত করার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প ২০১৮ সালে তাঁর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি অনুযায়ী ইরানের বিরুদ্ধে ওই নিষেধাজ্ঞা আবার আরোপ করেন এবং জেসিপিওএ চুক্তি থেকে এককভাবে বেরিয়ে আসেন, যা ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে আরও উসকে দেয়। পরবর্তী সময়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন প্রাথমিকভাবে ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করলেও সেটি অব্যাহতই রয়েছে।
ইউরোপীয় দেশগুলো জানিয়েছে, যদি ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় ফেরে, জাতিসংঘের নিরীক্ষকেরা তার পারমাণবিক স্থাপনায় প্রবেশ করতে পারেন এবং তেহরান ৪০০ কেজির (৮৮০ পাউন্ড) বেশি উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের হিসাব দেয়, তবে শাস্তি থেকে অব্যাহতির সময়সীমা বাড়ানো সম্ভব। ইইউ পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কায়া কালাস বলেন, ‘কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সুযোগ আছে। সময়সীমা চলছে, দেখা যাক। ইরানের পক্ষ থেকেও কিছু বাস্তব কর্মকাণ্ড দেখতে হবে।’
এদিকে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে ইরানকে কখনো পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে দেওয়া হবে না বলে আবারও উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি তেহরানকে ‘বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
বিহারের বর্তমান সরকার নিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, রাজ্যে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জোট এনডিএ নিশ্চিতভাবে পরাজিত হতে যাচ্ছে। তাঁর ভাষায়, ‘নিতীশ কুমারের নেতৃত্বে জেডি-ইউ (জনতা দল-ইউনাইটেড) ২৫টি আসনও পাবে না। এনডিএর এবার বিদায় নিশ্চিত, নিতীশ কুমার আর মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন না।’
২ ঘণ্টা আগেসুপরিচিত পররাষ্ট্র নীতি বিশেষজ্ঞ এবং প্রতিরক্ষা কৌশলবিদ অ্যাশলে জে. টেলিসকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গোপনীয় জাতীয় প্রতিরক্ষা তথ্য বেআইনিভাবে নিজের কাছে রাখার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভার্জিনিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় জেলার মার্কিন অ্যাটর্নির কার্যালয় সংবাদমাধ্যমকে এই খবর নিশ্চিত করেছে।
২ ঘণ্টা আগেগাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি ও মানবিক পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। হামাস রেডক্রসের হাতে আরও চারজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। ফলে মোট মৃত জিম্মির সংখ্যা দাঁড়াল ৮-এ। এদিকে গাজায় ভয়াবহ খাদ্য ও চিকিৎসা সংকটের মধ্যে তুরস্ক ৯০০ টন মানবিক সাহায্যের একটি জাহাজ পাঠিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেগাজায় কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি গতকাল মঙ্গলবার প্রথম পরীক্ষার মুখে পড়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাস জিম্মিদের মরদেহ ফেরাতে বিলম্ব করায় গাজায় ত্রাণপ্রবাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে এবং মিসরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংও পরিকল্পনামতো খোলা হবে না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়া
২ ঘণ্টা আগে