গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা শুরুর পর থেকেই পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বানে ব্যাপক সরব হন। কেবল তাই নয়, এ সময় তাঁরা স্থানীয় পণ্য কেনার প্রতিও নিজ এলাকার মানুষকে উৎসাহিত করতে শুরু করেন। পশ্চিম তীরের বাজার, দোকান সর্বত্রই এই আন্দোলন চলছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দোকানিরাও এই আন্দোলনে শামিল।
এই আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্লোগান হলো, ‘আমাদের পণ্য কিনুন, আমাদের জন্য কিনুন’। এর বাইরে, ‘মেইড ইন প্যালেস্টাইন’ স্লোগানও চলছে ব্যাপকভাবে। বিশেষ করে স্থানীয় পণ্য যেমন—পানি, দুধ ও টয়লেট টিস্যুর মতো ইসরায়েলি পণ্যগুলো বয়কট করা হচ্ছে ব্যাপকভাবে।
রামাল্লার একটি আন্তর্জাতিক চেইন শপের শাখার ব্যবস্থাপক ওমর বাওয়াতনে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, পশ্চিম তীরবাসীর ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আন্দোলন বেশ ভালো কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলন মূলত ফিলিস্তিনি পণ্যকে সামনে আনার প্রচেষ্টা।’ ওমরের অনুমান, গাজায় আক্রমণ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরবাসীর আন্দোলনের কারণে এখানে ইসরায়েলি পণ্যের বিক্রি প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে।
ওমর জানালেন, স্থানীয় তরুণেরা ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের অংশ হিসেবে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, এমনকি তারা আরও বেশি বেশি ফিলিস্তিনি পণ্য কেনার বিষয়ে একটি রাজনৈতিক ঐকমত্যও গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। ওমর বলেন, ‘তারা এখন কোনো পণ্য কিনতে এলে সেটির গায়ের লেবেল দেখে প্রথমে। তারপর সেটির উৎপাদক দেশ কোনটি, এরপর তারা কোন কোন পণ্য বয়কট করা হবে তার তালিকা লম্বা বরতে থাকে।
তবে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করে টিকে থাকা সম্ভব নয়—এমন মনোভাব পোষণ করা লোকের সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। তাঁরা মনে করেন, একেবারে ইসরায়েলি পণ্য ছাড়া তাঁদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। তাঁদের মতে, বিষয়টি বাস্তবসম্মত নয়।
রামাল্লায় স্যানিটারি পণ্য ও তাপীয় যন্ত্র বিক্রিকারী এক দোকানি জানান, ইসরায়েলি পণ্য ছাড়া ব্যবসা টিকিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব। তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাথটাব বা এ ধরনের অন্যান্য সামগ্রী যদি ইসরায়েল থেকে না আসে, তাহলে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য পাওয়া যাবে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমার দোকানের ক্রেতারা তাদের বাড়ির জন্য সেরা পণ্যটাই চায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের পণ্য ব্যবহার করতেই পারি, কিন্তু আমরা তো আমাদের শিল্প দাঁড় করাতে পারিনি এত দিনেও।’
চলতি বছরের শুরুর দিকে আঙ্কটাডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইসরায়েলি পণ্য না থাকলে পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে যাবে। এমনকি জেরুসালেমের দোকানগুলোও ভরে রয়েছে ইসরায়েলি পণ্যে।
তবে যাই হোক না কেন, ইসরায়েলের পণ্যবিরোধী মনোভাব পশ্চিম তীরে ক্রমেই বাড়ছে। অনেক দোকানিও এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তাঁদেরই একজন হলেন মোহাম্মদ আলী। রামাল্লার এল-বারাহ এলাকায় তাঁর একটি মুদি দোকান রয়েছে। তিনি জানান, তিনি বিগত ১০ বছরে একটি ইসরায়েলি পণ্যও তাঁর দোকানে তোলেননি।
মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি ইসরায়েলি পণ্যের বদলে তুরস্ক, জর্ডান, চীন ও ফরাসি পণ্য দোকানে রাখি। তিনি আরও বলেন, মাঝে মাঝেই ইসরায়েলি সৈন্যরা এসে তাঁকে হুমকি দিয়ে যায় যে, তাঁর দোকান বন্ধ করে দেবে। কিন্তু তিনি তাতেও মাথা নত করেননি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি এমন কিছু করতে চাই না, যা করলে সেই টাকা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে যাবে, যারা আমাদের—ফিলিস্তিনিদের—নিয়মিত হত্যা করে।’
গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা শুরুর পর থেকেই পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বানে ব্যাপক সরব হন। কেবল তাই নয়, এ সময় তাঁরা স্থানীয় পণ্য কেনার প্রতিও নিজ এলাকার মানুষকে উৎসাহিত করতে শুরু করেন। পশ্চিম তীরের বাজার, দোকান সর্বত্রই এই আন্দোলন চলছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দোকানিরাও এই আন্দোলনে শামিল।
এই আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্লোগান হলো, ‘আমাদের পণ্য কিনুন, আমাদের জন্য কিনুন’। এর বাইরে, ‘মেইড ইন প্যালেস্টাইন’ স্লোগানও চলছে ব্যাপকভাবে। বিশেষ করে স্থানীয় পণ্য যেমন—পানি, দুধ ও টয়লেট টিস্যুর মতো ইসরায়েলি পণ্যগুলো বয়কট করা হচ্ছে ব্যাপকভাবে।
রামাল্লার একটি আন্তর্জাতিক চেইন শপের শাখার ব্যবস্থাপক ওমর বাওয়াতনে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, পশ্চিম তীরবাসীর ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আন্দোলন বেশ ভালো কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলন মূলত ফিলিস্তিনি পণ্যকে সামনে আনার প্রচেষ্টা।’ ওমরের অনুমান, গাজায় আক্রমণ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরবাসীর আন্দোলনের কারণে এখানে ইসরায়েলি পণ্যের বিক্রি প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে।
ওমর জানালেন, স্থানীয় তরুণেরা ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের অংশ হিসেবে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে, এমনকি তারা আরও বেশি বেশি ফিলিস্তিনি পণ্য কেনার বিষয়ে একটি রাজনৈতিক ঐকমত্যও গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। ওমর বলেন, ‘তারা এখন কোনো পণ্য কিনতে এলে সেটির গায়ের লেবেল দেখে প্রথমে। তারপর সেটির উৎপাদক দেশ কোনটি, এরপর তারা কোন কোন পণ্য বয়কট করা হবে তার তালিকা লম্বা বরতে থাকে।
তবে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করে টিকে থাকা সম্ভব নয়—এমন মনোভাব পোষণ করা লোকের সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। তাঁরা মনে করেন, একেবারে ইসরায়েলি পণ্য ছাড়া তাঁদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। তাঁদের মতে, বিষয়টি বাস্তবসম্মত নয়।
রামাল্লায় স্যানিটারি পণ্য ও তাপীয় যন্ত্র বিক্রিকারী এক দোকানি জানান, ইসরায়েলি পণ্য ছাড়া ব্যবসা টিকিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব। তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাথটাব বা এ ধরনের অন্যান্য সামগ্রী যদি ইসরায়েল থেকে না আসে, তাহলে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য পাওয়া যাবে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমার দোকানের ক্রেতারা তাদের বাড়ির জন্য সেরা পণ্যটাই চায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের পণ্য ব্যবহার করতেই পারি, কিন্তু আমরা তো আমাদের শিল্প দাঁড় করাতে পারিনি এত দিনেও।’
চলতি বছরের শুরুর দিকে আঙ্কটাডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইসরায়েলি পণ্য না থাকলে পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে যাবে। এমনকি জেরুসালেমের দোকানগুলোও ভরে রয়েছে ইসরায়েলি পণ্যে।
তবে যাই হোক না কেন, ইসরায়েলের পণ্যবিরোধী মনোভাব পশ্চিম তীরে ক্রমেই বাড়ছে। অনেক দোকানিও এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তাঁদেরই একজন হলেন মোহাম্মদ আলী। রামাল্লার এল-বারাহ এলাকায় তাঁর একটি মুদি দোকান রয়েছে। তিনি জানান, তিনি বিগত ১০ বছরে একটি ইসরায়েলি পণ্যও তাঁর দোকানে তোলেননি।
মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি ইসরায়েলি পণ্যের বদলে তুরস্ক, জর্ডান, চীন ও ফরাসি পণ্য দোকানে রাখি। তিনি আরও বলেন, মাঝে মাঝেই ইসরায়েলি সৈন্যরা এসে তাঁকে হুমকি দিয়ে যায় যে, তাঁর দোকান বন্ধ করে দেবে। কিন্তু তিনি তাতেও মাথা নত করেননি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি এমন কিছু করতে চাই না, যা করলে সেই টাকা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে যাবে, যারা আমাদের—ফিলিস্তিনিদের—নিয়মিত হত্যা করে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ বুধবার সৌদি আরবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি সিরিয়ার দীর্ঘদিনের শত্রু ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আহ্বান জানিয়েছেন শারার প্রতি। এর আগের দিন অর্থাৎ গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে
২৮ মিনিট আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তাঁর দেশ গাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস করছে মূলত স্থানীয় লোকজন, যাতে অঞ্চলটিতে না থাকতে পেরে বাধ্য হয়ে অন্য কোথাও চলে যায়। গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটির রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আইনপ্রণেতাদের সামনে সাক্ষ্য দেওয়ার সময়...
১ ঘণ্টা আগেভারত নয়াদিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশনের এক কর্মীর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। পাল্টা হিসেবে পাকিস্তানও ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের এক কর্মীকে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ বা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের এক বিজেপি মন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে দেশজুড়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে উদ্দেশ করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন ওই মন্ত্রী। ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে একাধিকবার কর্নেল কুরেশিকে দেখা
৩ ঘণ্টা আগে