গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ শুরু হওয়ার পর থেকে এবার সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে কাঁপছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির চুক্তি, হামাসের হাতে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি এবং আগাম নির্বাচনের দাবিতে গতকাল রোববার জেরুজালেমে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলা আটকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর গাজায় অব্যাহত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩২ হাজার ৭৮২ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
গত নভেম্বরে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে এক যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ১০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে কায়রোতে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময়ের নতুন দফা আলোচনার ব্যাপারে আশা করা হচ্ছে। তবে হামাস বলেছে, তারা এখনো প্রতিনিধিদল পাঠাবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের চারপাশ অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা এই আন্দোলন আরও কয়েক দিন চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তাঁরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার জন্য শহরেই তাঁবুতে ঘুমোবেন।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তাঁরা নেতানিয়াহুর নীতিতে বিরক্ত। নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চান তাঁরা। কারণ, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের উদ্ধারের ব্যাপারে আন্তরিক নন। বিক্ষোভকারীরা তফসিলের প্রায় দুই বছর আগে আগাম নির্বাচনের দাবি জানান।
বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার ল্যাপিড বিক্ষোভে নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক ধ্বংস করছেন এবং বন্দীদের জীবনকে ছেড়ে দিয়েছেন তাঁদের ভাগ্যের ওপর। ইয়ার ল্যাপিড বলেন, নেতানিয়াহু রাজনীতির জন্য সবকিছুই করছেন, কিন্তু দেশের জন্য কিছুই করছেন না।
ইসরায়েলের বৃহত্তম শহর তেল আবিবেও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন।
এদিকে, নেতানিয়াহু তাঁর হার্নিয়া অস্ত্রোপচারের আগে টেলিভিশন ভাষণে বলেছিলেন, তিনি জিম্মিদের পরিবারের ব্যথা বুঝতে পারছেন। তিনি বলেন, নতুন নির্বাচন ডাকলে ইসরায়েল ছয় থেকে আট মাসের জন্য পঙ্গু হয়ে যাবে।
নেতানিয়াহু দক্ষিণ গাজার শহর রাফাহে আবারও সামরিক স্থল অভিযানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, রাফাহে না গিয়ে বিজয় অর্জিত হবে না। তিনি বলেন, মার্কিন চাপ তাঁকে বাধা দেবে না।
গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ শুরু হওয়ার পর থেকে এবার সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে কাঁপছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির চুক্তি, হামাসের হাতে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি এবং আগাম নির্বাচনের দাবিতে গতকাল রোববার জেরুজালেমে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলা আটকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর গাজায় অব্যাহত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩২ হাজার ৭৮২ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
গত নভেম্বরে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে এক যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ১০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে কায়রোতে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময়ের নতুন দফা আলোচনার ব্যাপারে আশা করা হচ্ছে। তবে হামাস বলেছে, তারা এখনো প্রতিনিধিদল পাঠাবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের চারপাশ অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা এই আন্দোলন আরও কয়েক দিন চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তাঁরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার জন্য শহরেই তাঁবুতে ঘুমোবেন।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তাঁরা নেতানিয়াহুর নীতিতে বিরক্ত। নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চান তাঁরা। কারণ, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের উদ্ধারের ব্যাপারে আন্তরিক নন। বিক্ষোভকারীরা তফসিলের প্রায় দুই বছর আগে আগাম নির্বাচনের দাবি জানান।
বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার ল্যাপিড বিক্ষোভে নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক ধ্বংস করছেন এবং বন্দীদের জীবনকে ছেড়ে দিয়েছেন তাঁদের ভাগ্যের ওপর। ইয়ার ল্যাপিড বলেন, নেতানিয়াহু রাজনীতির জন্য সবকিছুই করছেন, কিন্তু দেশের জন্য কিছুই করছেন না।
ইসরায়েলের বৃহত্তম শহর তেল আবিবেও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন।
এদিকে, নেতানিয়াহু তাঁর হার্নিয়া অস্ত্রোপচারের আগে টেলিভিশন ভাষণে বলেছিলেন, তিনি জিম্মিদের পরিবারের ব্যথা বুঝতে পারছেন। তিনি বলেন, নতুন নির্বাচন ডাকলে ইসরায়েল ছয় থেকে আট মাসের জন্য পঙ্গু হয়ে যাবে।
নেতানিয়াহু দক্ষিণ গাজার শহর রাফাহে আবারও সামরিক স্থল অভিযানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, রাফাহে না গিয়ে বিজয় অর্জিত হবে না। তিনি বলেন, মার্কিন চাপ তাঁকে বাধা দেবে না।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের পদ্ধতিগত নিপীড়নের অংশ। আগের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা শাস্তি ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের কর্মকর্তারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো আলোচনায় তাদের ‘পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে।’ আর এ জন্য প্রয়োজনে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক সীমিত পরিসরে হামলাও চালাতে পারে।
২ ঘণ্টা আগেনয় বছর বয়সী মাহমুদ আজ্জুর। ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখন্ড গাজার পুরোনো শহরের বাসিন্দা। একসময় বাজারে গিয়ে মায়ের জন্য সবজি কিনে আনত, খেলাধুলা করত, বন্ধুদের সঙ্গে হাসত। এখন সে হাত দুটো নেই। গত বছরের মার্চে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় মাহমুদের বাড়ি। বিস্ফোরণে মাহমুদ তার দুই হাত হারায়...
৩ ঘণ্টা আগেগাজার তরুণ ফটোসাংবাদিক ফাতেমা হাসসুনা জানতেন, মৃত্যু সব সময় তাঁর দরজায় ওঁত পেতে থাকে। গত ১৮ মাস ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলা, নিজের বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া, বিপুলসংখ্যক মানুষের বাস্তুচ্যুতি এবং পরিবারের ১১ জন সদস্যের মৃত্যু নিজ হাতে নথিভুক্ত করেছেন তিনি। এই ঘটনাগুলো ক্যামেরাবন্দী করতে গিয়ে...
৩ ঘণ্টা আগে