Ajker Patrika

গাজায় অনাহারে মৃত্যুর মুখে গণমাধ্যমকর্মীরা, বিবিসি-এএফপি-রয়টার্সের যৌথ বিবৃতি

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, ১৫: ৪৪
ইসরায়েলি অবরোধের বিরুদ্ধে গাজার সাংবাদিকদের প্রতিবাদ কর্মসূচি। সাংবাদিকের হাতে ধরে রাখা প্ল্যাকার্ডে আরবিতে লেখা রয়েছে, ‘ক্ষুধার্তদের নিয়ে প্রতিবেদন লিখেন এক সাংবাদিক, যিনি নিজেও ক্ষুধার্ত।’ ছবি: এএফপি
ইসরায়েলি অবরোধের বিরুদ্ধে গাজার সাংবাদিকদের প্রতিবাদ কর্মসূচি। সাংবাদিকের হাতে ধরে রাখা প্ল্যাকার্ডে আরবিতে লেখা রয়েছে, ‘ক্ষুধার্তদের নিয়ে প্রতিবেদন লিখেন এক সাংবাদিক, যিনি নিজেও ক্ষুধার্ত।’ ছবি: এএফপি

গাজাজুড়ে সাংবাদিকদের মানবিক দুর্দশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি, এপি, রয়টার্স এবং এএফপি। এক যৌথ বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ‘গাজার সাংবাদিকদের অবস্থা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। নিজের এবং পরিবারের জন্য সামান্যতম খাবার জোগাড় করার সক্ষমতাও তাঁরা হারিয়ে ফেলেছেন।’

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাংবাদিকদের গাজা থেকে বের হতে দিতে ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো। ওই বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমগুলো বলে, ‘বিদেশি সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকেরাই যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটির পরিস্থিতি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছেন। বহু মাস ধরে এই ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকেরাই গাজার মাটিতে বিশ্ববাসীর চোখ ও কান হয়ে থেকেছেন।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গাজাবাসীর যেসব দুর্দশার কথা তারা রিপোর্ট করেন, তারা নিজেরাও সেই সব দুর্দশার শিকার। যুদ্ধক্ষেত্রে সাংবাদিকেরা নানা ধরনের কষ্ট ও বঞ্চনার মধ্যে দিয়ে যান, কিন্তু এখন অনাহারের ঝুঁকি তাদের জন্য নতুন এক ভয়াবহ বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে। আমরা আবারও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাই—বিদেশি সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশ করার এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের সেখান থেকে বের হওয়ার সুযোগ দিন। পাশাপাশি, সেখানে পর্যাপ্ত খাদ্যসহায়তা নিশ্চিত করুন।’

গত কয়েক মাস ধরেই গাজায় সাংবাদিকদের চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে এই সংবাদ সংস্থাগুলো। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় তাদের আবেদন আরও জোরালো হয়ে উঠেছে।

চলতি সপ্তাহেই গাজা থেকে নিজেদের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের সরিয়ে নিতে ইসরায়েলকে আলাদাভাবে অনুরোধ করেছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের জন্য কাজ করা ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকেরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে অসুস্থতা ও দুর্বলতা বাড়ছে। এএফপির হয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের একটি দল এ সপ্তাহে জানায়, তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ না হলে গাজায় যে শেষ কয়েকজন রিপোর্টার রয়েছেন, তারাও মারা যাবেন।

এএফপির এক ফটোসাংবাদিক সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় লেখেন, ‘সংবাদমাধ্যমের জন্য কাজ করার শক্তি আর নেই আমার। আমার শরীর এখন হাড় জিরজিরে হয়ে গেছে। আমি আর কাজ চালিয়ে যেতে পারছি না।’

এএফপির সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সোসাইটি অব জার্নালিস্টস’ ১৯৪৪ সালে এএফপির প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনো তাদের কোনো সাংবাদিকের অনাহারে মৃত্যুর দৃষ্টান্ত তৈরি হয়নি। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘এএফপির প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেক সহকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। নানাভাবে নিহত হয়েছেন তাঁরা। কেউ আহত হয়েছেন, কাউকে বন্দী করা হয়েছে। কিন্তু না খেতে পেয়ে ধুঁকে ধুঁকে কেউ মারা যায়নি। এমন নির্মমতার সাক্ষী কখনো হতে হয়নি আমাদের।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ওসি হয়েও আমার কম দামি ফোন, দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই’, ভুক্তভোগীকে মোহাম্মদপুরের ওসি

এনসিপির পদযাত্রা উপলক্ষে ‘স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত’, প্রধান শিক্ষকের দুই রকম বক্তব্য

মোহাম্মদপুর থানায় ভুক্তভোগীকে হেনস্তা: চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার, ৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

হিন্দু মন্দির নিয়ে কেন সংঘাতে জড়াল বৌদ্ধ-অধ্যুষিত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

লজ্জায় ধর্ষণের শিকার মায়ের আত্মহত্যা: ৮ বছরের মেয়েটি যাবে কোথায়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত