অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় আক্ষরিক অর্থেই ফিলিস্তিনিদের পাখির মতো গুলি করে মারছে। সর্বশেষ গতকাল সোমবারও গাজায় একটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো গুলিতে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে গতকাল সোমবার অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই কেন্দ্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি ঠিকাদারদের দ্বারা পরিচালিত এবং ইসরায়েলি সেনারা সেখানে পাহারায় থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার ভোরের দিকে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ভিড় বাড়লে ইসরায়েলি সেনারা বিনা উসকানিতে গুলি চালায়। গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামে একটি বেসরকারি সংস্থা সম্প্রতি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গাজায় কাজ শুরু করেছে, আর তাদের দুটি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জিএইচএফ তিন সপ্তাহ আগে কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে সোমবারের এই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল এক দিনে সর্বোচ্চ। এর আগেও ত্রাণকেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় বেশ কয়েক দফায় ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, সোমবার নিহতদের বেশির ভাগই জিএইচএফের রাফাহর কাছের একটি কেন্দ্রে এবং মধ্য গাজার আরেকটি জিএইচএফ কেন্দ্রের কাছে খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টা করার সময় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। রাফাহ শহরটি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী অনেকটাই ধ্বংস করে দিয়েছে। এ ছাড়া আরও চারজন অন্যত্র নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাফাহর কেন্দ্রে খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা দুই ফিলিস্তিনি হেবা জৌদা এবং মোহাম্মদ আবেদ বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী ভোর ৪টার দিকে ফ্ল্যাগ গোলচত্বরে ভিড়ের ওপর গুলি চালায়। জিএইচএফ কেন্দ্র থেকে কয়েক শ মিটার দূরে অবস্থিত এই গোলচত্বর এর আগেও একাধিকবার গুলির ঘটনার সাক্ষী হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস সোমবার জানিয়েছে, গাজায় তাদের ফিল্ড হাসপাতালটিতে ২০০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এটি একক হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সর্বোচ্চ সংখ্যা। রোববার একই হাসপাতালে ১৭০ জনের চিকিৎসা করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে অনেকেই ‘গুলিবিদ্ধ ছিল এবং তারা জানিয়েছিল যে তারা একটি খাদ্য বিতরণকেন্দ্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল।’
হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকা দিয়ে প্রায়শই রাতের অন্ধকারে চরম বিপজ্জনক অবস্থায় নতুন কেন্দ্রগুলো থেকে খাদ্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী খাদ্যকেন্দ্রগুলোতে পৌঁছানোর জন্য নির্দিষ্ট পথ নির্ধারণ করে দিয়েছে এবং জিএইচএফ ফিলিস্তিনিদের সতর্ক করেছে যে রাস্তা থেকে সরে যাওয়া বিপজ্জনক। তবে অনেকেই দুর্লভ খাদ্য আগে পাওয়ার আশায় তা উপেক্ষা করে।
সাহায্য কর্মকর্তারা বলেছেন, জিএইচএফ এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রায়শই বিতরণকেন্দ্রগুলোতে প্রবেশের বিষয়ে পরস্পরবিরোধী পরামর্শ দেয়, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ এমন এলাকা দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করে, যা এখনো নিষিদ্ধ। সোমবার ভোরের দিকে অন্তত একটি ঘটনা জিএইচএফ কেন্দ্র খোলার আগেই এর কিছুটা দূরে ঘটেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় আক্ষরিক অর্থেই ফিলিস্তিনিদের পাখির মতো গুলি করে মারছে। সর্বশেষ গতকাল সোমবারও গাজায় একটি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো গুলিতে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে গতকাল সোমবার অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই কেন্দ্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি ঠিকাদারদের দ্বারা পরিচালিত এবং ইসরায়েলি সেনারা সেখানে পাহারায় থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার ভোরের দিকে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ভিড় বাড়লে ইসরায়েলি সেনারা বিনা উসকানিতে গুলি চালায়। গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামে একটি বেসরকারি সংস্থা সম্প্রতি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গাজায় কাজ শুরু করেছে, আর তাদের দুটি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জিএইচএফ তিন সপ্তাহ আগে কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে সোমবারের এই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল এক দিনে সর্বোচ্চ। এর আগেও ত্রাণকেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় বেশ কয়েক দফায় ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলেছেন, সোমবার নিহতদের বেশির ভাগই জিএইচএফের রাফাহর কাছের একটি কেন্দ্রে এবং মধ্য গাজার আরেকটি জিএইচএফ কেন্দ্রের কাছে খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টা করার সময় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। রাফাহ শহরটি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী অনেকটাই ধ্বংস করে দিয়েছে। এ ছাড়া আরও চারজন অন্যত্র নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাফাহর কেন্দ্রে খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা দুই ফিলিস্তিনি হেবা জৌদা এবং মোহাম্মদ আবেদ বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী ভোর ৪টার দিকে ফ্ল্যাগ গোলচত্বরে ভিড়ের ওপর গুলি চালায়। জিএইচএফ কেন্দ্র থেকে কয়েক শ মিটার দূরে অবস্থিত এই গোলচত্বর এর আগেও একাধিকবার গুলির ঘটনার সাক্ষী হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস সোমবার জানিয়েছে, গাজায় তাদের ফিল্ড হাসপাতালটিতে ২০০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এটি একক হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সর্বোচ্চ সংখ্যা। রোববার একই হাসপাতালে ১৭০ জনের চিকিৎসা করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে অনেকেই ‘গুলিবিদ্ধ ছিল এবং তারা জানিয়েছিল যে তারা একটি খাদ্য বিতরণকেন্দ্রে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল।’
হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকা দিয়ে প্রায়শই রাতের অন্ধকারে চরম বিপজ্জনক অবস্থায় নতুন কেন্দ্রগুলো থেকে খাদ্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী খাদ্যকেন্দ্রগুলোতে পৌঁছানোর জন্য নির্দিষ্ট পথ নির্ধারণ করে দিয়েছে এবং জিএইচএফ ফিলিস্তিনিদের সতর্ক করেছে যে রাস্তা থেকে সরে যাওয়া বিপজ্জনক। তবে অনেকেই দুর্লভ খাদ্য আগে পাওয়ার আশায় তা উপেক্ষা করে।
সাহায্য কর্মকর্তারা বলেছেন, জিএইচএফ এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী প্রায়শই বিতরণকেন্দ্রগুলোতে প্রবেশের বিষয়ে পরস্পরবিরোধী পরামর্শ দেয়, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ এমন এলাকা দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করে, যা এখনো নিষিদ্ধ। সোমবার ভোরের দিকে অন্তত একটি ঘটনা জিএইচএফ কেন্দ্র খোলার আগেই এর কিছুটা দূরে ঘটেছে।
ইরানের নতুন যুদ্ধকালীন সেনাপ্রধানকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী—আইডিএফের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। এর মাত্র কয়েক দিন আগেই তাঁকে আগের হামলায় নিহত কমান্ডারের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিল।
১২ মিনিট আগেগত শুক্রবার ভোরে বিনা উসকানিতে ইরানের হামলা করে ইসরায়েল। সামরিক ও পরমাণু স্থাপনা লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি ইরানের। এরপর পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান।
৩৪ মিনিট আগেধুলোমাখা মেঝেতে বসে চিৎকার করে কাঁদছে ছোট্ট একটি মেয়ে, বিসান কুয়াইদার। ছোট ছোট হাতে বুকে জড়িয়ে ধরা তাঁর বাবার এক জোড়া জুতো। বিসানকে কিছুতেই শান্ত করা যাচ্ছে না। বাবাকে হারিয়েছে সে। বিসান ও তার ১০ ক্ষুধার্ত ভাইবোনের জন্য খাবার জোগাড় করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বাবা, শাদি কুয়াইদার।
৪৩ মিনিট আগেবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূ-স্তরভেদী বোমার মালিক যুক্তরাষ্ট্র। এই বোমাটির নাম জিবিইউ-৫৭ /বি। এই বোমাটি দিয়ে মাটির প্রায় ২০০ ফুট পর্যন্ত গভীরের যেকোনো স্থাপনা ধ্বংস করা যায়। কিন্তু এই শক্তিশালী বোমাটিও ইরানের ফোরদো পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ধ্বংস করতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে বিশ্লেষকদের।
২ ঘণ্টা আগে