Ajker Patrika

দুবাইয়ে নিরামিষ ইফতার: বিভিন্ন জাতি-ধর্মের মানুষের মিলনমেলা

আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৫, ২০: ৪১
বিশ্বের ৩০টিরও বেশি জাতীয়তার প্রায় ২৭৫ জন মানুষ অংশ নিয়েছিলেন এই ইফতার আয়োজনে। ছবি: গালফ নিউজ
বিশ্বের ৩০টিরও বেশি জাতীয়তার প্রায় ২৭৫ জন মানুষ অংশ নিয়েছিলেন এই ইফতার আয়োজনে। ছবি: গালফ নিউজ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গত বুধবার ১৩তম বারের মতো আয়োজিত হয়েছে বার্ষিক আন্তধর্মীয় ইফতার। বিশ্বের ৩০টির বেশি জাতীয়তার প্রায় ২৭৫ জন মানুষ এতে অংশ নেন। বহু পুরোনো ঐতিহ্য এই ইফতার আয়োজন। যেখানে শুধু নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হয়।

গালফ নিউজের একটি প্রতিবেদনে এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজনের কথা উঠে এসেছে।

এই আয়োজন হয়েছিল দুবাইয়ের জেবেল আলি এলাকায় ওয়ারশিপ ভিলেজের গুরুদুয়ারায়। গুরু নানকের দরবার শরিফ গুরুদুয়ারা। শিখধর্মাবলম্বীদের একটি উপাসনালয়। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় শিখদের এই সমাবেশস্থল রয়েছে। দুবাইয়ের গুরুদুয়ারার এই ব্যতিক্রমী আয়োজন ঐক্য, শান্তি ও সহনশীলতার বাহক হিসেবে বিশ্বের সামনে উঠে এসেছে।

গুরুদুয়ারার চেয়ারম্যান সুরেন্দর সিং কন্ধারি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে মানুষের পরস্পরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতি এই আয়োজনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। তিনি আরও বলেন, ‘ইফতার আয়োজনের মাধ্যমে, আমরা শান্তি, ভালোবাসা ও মানবতার বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যাঁরা আমাদের দেশে সম্প্রীতি বজায় রাখার সুযোগ দিয়েছেন। আমরা আমাদের মুসলিম ভাই-বোনদের জন্য একটি বরকতময় মাস কামনা করছি এবং তাঁদের সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করছি।’

কন্ধারি আরও বলেন, এ বছরের বহুধর্মীয় ইফতার বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ, প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ‘ইয়ার অব কমিউনিটি’ ঘোষণা করেছেন। এর মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘হাত ধরে এগিয়ে চলা’, যার অর্থ হলো—আমরা একে অপরের হাত ধরছি, একে অপরকে সাহায্য ও সমর্থন করছি। গুরুদুয়ারার স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের মাধ্যমে একই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে জানান কন্ধারি।

দুবাইয়ের বিশিষ্ট নাগরিক এবং সাবেক আমিরাতি কূটনীতিক মির্জা আল সায়েঘ গুরুদুয়ারার ইফতারের নিয়মিত অংশগ্রহণকারী। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর গুরুদুয়ারার ইফতারে এলে আমি উপলব্ধি করি, সব ধর্মই শান্তি ও সম্প্রীতির কথা বলে। এখানে ইফতারের আয়োজন বিভিন্ন পটভূমির মানুষের গভীর সংহতির প্রতিফলন ঘটায়। এটি এমন একটি অনুষ্ঠান, যা সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভারতকে একত্র করে।’

বিশ্বের ৩০টিরও বেশি জাতীয়তার প্রায় ২৭৫ জন মানুষ অংশ নিয়েছিলেন এই ইফতার আয়োজনে। ছবি: খালিজ টাইমস
বিশ্বের ৩০টিরও বেশি জাতীয়তার প্রায় ২৭৫ জন মানুষ অংশ নিয়েছিলেন এই ইফতার আয়োজনে। ছবি: খালিজ টাইমস

দুবাইয়ে ভারতীয় কনসাল জেনারেল সতীশ কুমার শিবন গুরুদুয়ারার উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি গুরুদুয়ারার ইফতারে উপস্থিত হতে পেরে আনন্দিত। এত বছর ধরে এই আয়োজনের মাধ্যমে তাঁরা সহনশীলতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ও মানবতার উদাহরণ তুলে ধরেছেন, যা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে। এটি আমাদের জন্য একটি সুযোগ, ভারতও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সহনশীলতার এই চেতনাকে সমর্থন করে।’

এদিকে দুবাই কোয়ালিটি গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং এমিরাতি নাগরিক সামিরা মোহাম্মদ বলেন, ‘গুরুদুয়ারার ইফতার অনুষ্ঠান সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহনশীলতা প্রচারের কৌশল এবং ‘কমিউনিটির বছর’-এর লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এখানে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও ভিআইপিরা উপস্থিত রয়েছেন। এই বিশেষ ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি।’

আমেরিকান নাগরিক স্টিভেন এরিকসেন ইফতারে যোগ দিতে আবুধাবি থেকে বিশেষভাবে এসেছেন। আবুধাবিতে অবস্থিত ‘দ্য চার্চ অব জিসাস ক্রাইস্ট অব ল্যাটার-ডে সেইন্টস’-এর একজন স্বেচ্ছাসেবক। তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী প্রায় দেড় বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এখানে এসেছি। এখানে আসার পর আমাদের প্রথম কার্যক্রমগুলোর মধ্যে একটি ছিল গুরুদুয়ারা পরিদর্শন করা। কারণ, আমাদের চার্চ শিখ মন্দিরের সঙ্গে পারস্পরিক অংশীদারিতে বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক কাজ পরিচালনা করে। গত বছর থেকে আমরা আন্তধর্মীয় ইফতারে অংশ নিতে শুরু করেছি এবং এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। মাথায় পাগড়ি পরা বা জুতা খোলা কোনো অসুবিধা নয়; বরং এটি আমাদের জন্য সম্মানের বিষয়, আমরা এখানে এসে তাদের সংস্কৃতির অংশ হতে পারছি।’

বিশ্বের ৩০টিরও বেশি জাতীয়তার প্রায় ২৭৫ জন মানুষ অংশ নিয়েছিলেন এই ইফতার আয়োজনে। ছবি: খালিজ টাইমস
বিশ্বের ৩০টিরও বেশি জাতীয়তার প্রায় ২৭৫ জন মানুষ অংশ নিয়েছিলেন এই ইফতার আয়োজনে। ছবি: খালিজ টাইমস

সাধারণত যাঁরা মাথা ঢেকে রাখেন না, তাঁদেরও এই আয়োজনে ‘হেড কভার’ পরা বাধ্যতামূলক ছিল। এ ছাড়া স্থানটিতে প্রবেশের আগে সবাইকে তাঁদের জুতাগুলো খুলে রাখতে হয়েছিল। কন্ধারি বলেন, ‘গুরুদুয়ারার ঐতিহ্য অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা, আরব আমিরাতের বিশিষ্ট নাগরিক, ধর্মীয় নেতা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকসহ সবাই জুতা খুলে প্রবেশ করেন এবং যাঁরা কন্দুরা বা পাগড়ি পরেননি, তাঁরা হেড কভার ব্যবহার করেন।’

গুরুদুয়ারাটি বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত; বিশেষ করে তারা ‘লঙ্গর’ নামে পরিচিত কমিউনিটি রান্নাঘরের জন্য জনপ্রিয়, যেখানে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব দর্শনার্থীর জন্য প্রতিদিন তিন বেলা বিনা মূল্যে খাবার পরিবেশন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের অস্বীকৃতির পর রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৫ বছর পর নতুন গ্র্যান্ড মুফতি পেল সৌদি আরব

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রখ্যাত আলেম শেখ সালেহ বিন ফাওজান আল-ফাওজান সৌদি আরবে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
প্রখ্যাত আলেম শেখ সালেহ বিন ফাওজান আল-ফাওজান সৌদি আরবে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের শীর্ষ ধর্মীয় পদে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটির প্রখ্যাত আলেম শেখ সালেহ বিন ফাওজান আল-ফাওজান। বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে রাজকীয় এক আদেশে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘সৌদি প্রেস এজেন্সি’ (এসপিএ) জানিয়েছে, ছেলে ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পরামর্শ অনুযায়ী বাদশাহ সালমান এই নিয়োগ দিয়েছেন।

৯০ বছর বয়সী শেখ সালেহ আল-ফাওজান ১৯৩৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের আল-কাসিম প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। অল্প বয়সে বাবাকে হারানোর পর এক স্থানীয় ইমামের কাছে কোরআন শিক্ষা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি হয়ে ওঠেন রাজ্যের অন্যতম প্রভাবশালী আলেম। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ‘নূর আলা আল-দারব’ (অর্থাৎ আলোয় পথচলা) নামে একটি জনপ্রিয় রেডিও অনুষ্ঠানে ধর্মীয় আলোচনায় অংশ নেন। তাঁর অসংখ্য বই, টেলিভিশন বক্তব্য ও ফতোয়া সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে।

তবে শেখ সালেহ অতীতে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত হন। ২০১৭ সালে মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ জানিয়েছিল, একবার একটি প্রশ্নের জবাবে শেখ সালেহ বলেছিলেন—‘শিয়া মুসলমানেরা শয়তানের ভাই।’ একই সঙ্গে তিনি শিয়াদের ‘মিথ্যাবাদী’ ও ‘অবিশ্বাসী’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন। এই ধরনের মন্তব্য অবশ্য সৌদি আলেমদের মুখে প্রায় সময়ই শোনা যায়, বিশেষ করে ইরানের সঙ্গে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সময়।

২০০৩ সালে শেখ সালেহ এক ভাষণে বলেন, ‘দাসপ্রথা ইসলামের অংশ, এটি জিহাদের একটি অংশ এবং ইসলাম যত দিন থাকবে, জিহাদও তত দিন থাকবে।’ ২০১৬ সালে তিনি জনপ্রিয় মোবাইল গেম পোকেমন গো নিষিদ্ধ করে ফতোয়া দেন এবং এটিকে তিনি জুয়া হিসেবে আখ্যা দেন। তবে বর্তমানে সৌদি সরকার নিনটেন্ডো ও নিয়ান্টিক—এই দুই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছে, যারা ওই গেমটির মালিক।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) অ্যাসোসিয়েট প্রেস জানিয়েছে, শেখ সালেহ দায়িত্ব নিচ্ছেন সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আল-শেখের মৃত্যুর পর। প্রয়াত মুফতি আল-শেখ গত প্রায় ২৫ বছর ধরে এই পদে ছিলেন। ঐতিহাসিকভাবে এই পদটি আল-শেখ পরিবারভুক্তদের হাতে ছিল—যারা অষ্টাদশ শতকের ধর্মীয় সংস্কারক শেখ মুহাম্মদ ইবনে আবদুল-ওয়াহাবের বংশধর।

গ্র্যান্ড মুফতির পদ সুন্নি মুসলিম বিশ্বে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ধর্মীয় অবস্থানগুলোর একটি। মক্কা ও মদিনার দেশ হিসেবে সৌদি মুফতির ফতোয়া বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের অস্বীকৃতির পর রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ৩, ভারতীয় তরুণ গ্রেপ্তার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ১৮
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে ২১ বছর বয়সী এক ভারতীয় তরুণকে। জানা গেছে, তিনি অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ওই তরুণের নাম জশনপ্রীত সিং। মাদকাসক্ত অবস্থায় ট্রাক চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটানোর অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জশনপ্রীত সিংয়ের ফ্রেইটলাইনার ট্রাকের ড্যাশ-ক্যামে ধরা পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নার্ডিনো কাউন্টির মহাসড়কে ট্রাক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর ট্রাকের সামনে আরও কিছু গাড়ি ছিল। কিন্তু জশনপ্রীতের ট্রাক হঠাৎ ধীরগতিতে চলা সামনের গাড়িগুলোতে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন এবং কয়েকজন আহত হন। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, সামনে গাড়ি থাকলেও জশনপ্রীত ব্রেক না কষে গাড়িগুলোর ওপর তাঁর ট্রাক উঠিয়ে দেন। ক্যালিফোর্নিয়া হাইওয়ে টহল পুলিশের (সিএইচপি) কর্মকর্তা রদ্রিগো জিমেনেজ বলেন, জশনপ্রীত মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তাই সামনে থাকা গাড়ি দেখেও তিনি ব্রেক করেননি। দুর্ঘটনার পর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করেছেন, তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন।

পুলিশের টক্সিকোলজি পরীক্ষায়ও তাঁর শরীরে মাদকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি জানিয়েছে, জশনপ্রীত সিং যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে অবস্থান করছিলেন। ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের মার্চে ক্যালিফোর্নিয়ার এল সেন্ট্রো সেক্টরে মার্কিন সীমান্তরক্ষী বাহিনী প্রথম জশনপ্রীত সিংকে আটক করে। তবে তৎকালীন বাইডেন প্রশাসনের ‘বিকল্প আটক নীতি’র (Alternatives to Detention Policy) আওতায় তাঁকে দেশে ফেরত না পাঠিয়ে শুনানির অপেক্ষায় রেখে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর তিনি ট্রাক ড্রাইভার হিসেবে কাজ শুরু করেন। তবে আজকের ঘটনার পর মার্কিন অভিবাসন দপ্তর (ইউএসআইসি) তাঁকে ‘অভিবাসনসংক্রান্ত আইনে’ আটক করেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী ট্রাকচালকদের দ্বারা সংঘটিত প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে। এর আগে চলতি বছরের আগস্টে ফ্লোরিডার ফোর্ট পিয়ার্সে হরজিন্দর সিং নামের আরও এক ভারতীয় অভিবাসী একইভাবে ট্রাক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে তিনজনকে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

নিউজ উইক ও ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হরজিন্দর সিং ২০১৮ সালে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। এরপর তিনি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বাণিজ্যিক ড্রাইভিং লাইসেন্স নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের অস্বীকৃতির পর রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিয়ানমারে স্টারলিংক ব্যবহার করে প্রতারণা, আড়াই হাজারের বেশি ডিভাইস নিষ্ক্রিয়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত বিভিন্ন স্ক্যাম সেন্টারে থাকা আড়াই হাজারের বেশি স্টারলিংক ইন্টারনেট ডিভাইস নিষ্ক্রিয় করেছে স্পেসএক্স। ছবি: এএফপি
মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত বিভিন্ন স্ক্যাম সেন্টারে থাকা আড়াই হাজারের বেশি স্টারলিংক ইন্টারনেট ডিভাইস নিষ্ক্রিয় করেছে স্পেসএক্স। ছবি: এএফপি

মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় ২ হাজার ৫০০ টিরও বেশি স্টারলিংক ডিভাইস নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। থাইল্যান্ড সীমান্তঘেঁষা এসব এলাকায় আইনের শাসন নেই। আর এই সুযোগে প্রতারকেরা পুরো এলাকাজুড়ে সাইবার প্রতারণা কেন্দ্র বা স্ক্যাম সেন্টার গড়ে তুলেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন–এর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্পেসএক্স গতকাল বুধবার জানিয়েছে, মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় সাইবার প্রতারণা চক্রের হাতে থাকা ২ হাজার ৫০০-এরও বেশি স্টারলিংক ডিভাইস নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। এ বছর থাইল্যান্ড সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমারের প্রতারণা কেন্দ্রগুলোয় আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের কঠোর অভিযানের পরও জালিয়াত চক্র ক্রমেই বেড়ে চলেছে। গৃহযুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে এখনো অবাধে চলছে এসব সাইবার অপরাধের কার্যক্রম।

স্পেসএক্স জানিয়েছে, স্টারলিংক যেসব দেশে পরিচালিত হয়, সেখানে নিয়ম ভঙ্গের ঘটনা শনাক্তে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত কাজ করে। স্টারলিংকের ব্যবসা পরিচালনা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘বিরল কোনো ক্ষেত্রে আমরা নিয়ম লঙ্ঘন শনাক্ত করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিই, যার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ও অন্তর্ভুক্ত।’

তিনি আরও জানান, ‘উদাহরণস্বরূপ মিয়ানমারে স্পেসএক্স নিজ উদ্যোগে সন্দেহভাজন প্রতারণা কেন্দ্রগুলোর আশপাশে ২ হাজার ৫০০-রও বেশি স্টারলিংক কিট নিষ্ক্রিয় করেছে।’ কবে এসব ডিভাইস বন্ধ করা হয়েছে তা জানাননি ড্রেয়ার। তবে এ ঘোষণা আসে এমন এক সময়ে এল, যখন মিয়ানমারের সেনা সরকার জানিয়েছে যে, তারা এই সপ্তাহে এক প্রতারণা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে ৩০ সেট স্টারলিংক ‘রিসিভার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ’ জব্দ করেছে।

অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ড সীমান্তজুড়ে মিয়ানমারে অন্তত ৩০টি বিশাল প্রতারণা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে প্রতিবছর বিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এই কেন্দ্রগুলোতে কর্মীদের ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আনা হয় কিংবা পাচার করা হয়। এরপর তাদের জোর করে প্রতারণার কাজে লাগানো হয়। এসব সশস্ত্র প্রহরায় ঘেরা কম্পাউন্ডে আটক থাকা বহু ব্যক্তি পরে সিএনএনকে জানিয়েছেন, সেখানে নিয়মিত মারধর ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করছে যে, মিয়ানমারের এসব অপরাধচক্র স্টারলিংক ব্যবহার করে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে প্রতারণা চালাচ্ছে। স্পেসএক্সের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে স্টারলিংকের গ্রাহকসংখ্যা ৬০ লাখেরও বেশি। নিম্ন-কক্ষপথে হাজারো উপগ্রহের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এই সেবা দূরবর্তী এলাকাগুলোতেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সরবরাহ করছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে জানা গেছে, মিয়ানমারের প্রতারণা কেন্দ্রগুলোর ছাদে ‘বিশাল আকারে’ স্টারলিংক রিসিভার বসানো হয়েছে। এএফপির ওই প্রতিবেদনের বরাতে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের জয়েন্ট ইকোনমিক কমিটি এখন স্টারলিংকের এই সব কেন্দ্রে সম্ভাব্য সংশ্লিষ্টতার তদন্ত শুরু করেছে।

জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তরের (ইউএনওডিসি) তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রতারণা শিল্প এখন অভূতপূর্ব গতিতে বিস্তার লাভ করছে। অপরাধী চক্রগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছে এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারের মাধ্যমে অগাধ পরিমাণ অর্থ গোপনে স্থানান্তর করছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এখন এই ধরনের ‘রোমান্স’ বা ‘বিনিয়োগ’ প্রতারণার প্রধান কেন্দ্র, যা ‘পিগ বুচারিং’ নামে পরিচিত। দুর্নীতি ও সামরিক জান্তার সুরক্ষায় মিয়ানমার এখন এসব অপরাধচক্রের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটির জান্তা সরকার পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। তারা বিভিন্ন জাতিগত ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে আছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে থাইল্যান্ড মিয়ানমারের ওই সব সীমান্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, যাতে প্রতারণা কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তারপরপরই সীমান্তের বিভিন্ন প্রতারণা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক ও ভুক্তভোগীকে মুক্ত করে দেশে ফেরত পাঠায় থাই কর্তৃপক্ষ।

মিয়ানমারের সামরিক সরকার জানিয়েছে, ৩০ জানুয়ারি থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত তারা এসব প্রতারণা কেন্দ্র থেকে ৯ হাজার ৫৫১ জন বিদেশি নাগরিককে আটক করে, যাদের অধিকাংশকে ইতিমধ্যে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের অস্বীকৃতির পর রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাম্পের শুল্কের কশাঘাতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের তৈরি পোশাকশিল্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ২০
ট্রাম্পের শুল্কের আঘাতে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের তৈরি পোশাক শিল্প। ছবি: সিনহুয়া
ট্রাম্পের শুল্কের আঘাতে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের তৈরি পোশাক শিল্প। ছবি: সিনহুয়া

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের কশাঘাতে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের তৈরি পোশাক শিল্পের কারখানাগুলো। আগস্টের পর থেকে ইয়াঙ্গুনের শিল্পাঞ্চলে অন্তত ৬টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আরও কয়েকটি কারখানা কর্মী ছাঁটাই করছে, অতিরিক্ত কাজের সময় কমাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি আদেশ কমে যাওয়ার পর থেকেই এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতীর খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের তৈরি পোশাকের চতুর্থ বৃহত্তম বাজার যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের আগস্টে দেশটি মিয়ানমারে তৈরি পোশাকের ওপর শুল্ক প্রায় ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশে নিয়ে যায়। কারখানা মালিক ও শ্রমিকেরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে ইতিমধ্যেই অর্ডার কমে গেছে। বিশেষ করে, জুতা ও ব্যাগ উৎপাদনে বড় ধাক্কা লেগেছে।

ফেডারেশন অব জেনারেল ওয়ার্কার্স মিয়ানমারের (এফজিডব্লিউএম) মুখপাত্র মা ই বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বাড়ানোর কারণে কিছু কারখানা ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। আবার অনেক মালিক অতিরিক্ত সময় (ওভারটাইম) কমিয়ে দিচ্ছেন বা কর্মী ছাঁটাই করছেন। শ্রমিকেরা আতঙ্কে আছে—মালিকেরা না হঠাৎ করে পালিয়ে যায়।’

শ্রমিক সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত যে কারখানাগুলো বন্ধ হয়েছে সেগুলো মূলত চীনা মালিকানাধীন, ইয়াঙ্গুনের শ্বেপিথা এলাকার ওয়ার তায়ার ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন, হ্লাইং থারয়ারের মিয়া সাইন ইয়াউং জোন এবং শ্বে লিন বান জোনে অবস্থিত। বড় ক্ষতিপূরণ দিতে না হওয়ার জন্য অনেক মালিক পুরোপুরি বন্ধ না করে উৎপাদন কমিয়ে দিচ্ছেন। মা ই বলেন, ‘তারা পুরোপুরি বন্ধ না করে ছোট করে ফেলছে, এতে শ্রমিকদের পেছনে কম অর্থ ব্যয় করতে হয়।’

মিয়ানমারের কাটিং, মেকিং অ্যান্ড প্যাকিং (সিএমপি) খাতে প্রায় ৮ লাখ মানুষ কাজ করে। কিন্তু ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা, বিদ্যুৎ ঘাটতি, জ্বালানি সংকট এবং বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণ—সব মিলিয়ে খাতটি আগে থেকেই সংকটে ছিল। সরকার রপ্তানি আয়ের মুদ্রা বাজারদরের চেয়ে অনেক কম নির্ধারিত মূল্যে রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে।

হ্লাইং থারয়ারের এক কারখানা মালিক দ্য ইরাবতীকে বলেন, ‘আগের মৌসুমের তুলনায় এবার অর্ডার ১০ থেকে ২০ শতাংশ কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্ডার কমেছে, আর শুল্ক না কমলে এই অবস্থা চলতেই থাকবে। ব্যাগ ও জুতার অর্ডারও অনেক পড়ে গেছে। এ কারণেই কিছু কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।’ মিয়ানমার গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (এমজিএমএ) জানিয়েছে, আগস্ট পর্যন্ত তাদের ৫৮৯টি সদস্য কারখানার মধ্যে ৫৬ টির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্যালাওয়ে গলফ কোম্পানি ও ব্যাগ প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ড স্যামসোনাইটের জন্য পণ্য উৎপাদন করা টুইঙ্কল (মিয়ানমার) নামের কারখানাটি আগস্টে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। ইয়াঙ্গুনের কারখানা মালিকেরা জানাচ্ছেন, জান্তা সরকারের আমদানি-নিষেধাজ্ঞার কারণে কাঁচামাল সংগ্রহেও সমস্যা তৈরি হয়েছে।

হ্লাইং থারয়ারের এক শ্রমিক বলেন, ‘আগে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা ওভারটাইম কাজ করতাম, এখন তা পুরোপুরি বন্ধ। তারা বলছে, কাঁচামাল আসছে না, অর্ডারও কমে গেছে। এতে মজুরি কমে গেছে, অনেককে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের অস্বীকৃতির পর রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত