Ajker Patrika

ফিলিস্তিনি যুগলের অন্য রকম প্রেমের গল্প

আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৩, ২০: ০৮
ফিলিস্তিনি যুগলের অন্য রকম প্রেমের গল্প

বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে গাছের পাতা স্পর্শ করতে করতে বাশার বললেন, ‘গত সোমবার (১০ জুলাই) ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর এই কাজটিই সবচেয়ে বেশি করেছি। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে স্পর্শ তো দূরে থাক, এই দুই চোখে কোনো গাছই দেখিনি।’ 

গল্পটি ৩৩ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি যুবক বাশার ওবাইদির। জীবন সম্পর্কে খুব সামান্য অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০১৪ সালে কারাগারে যেতে হয়েছিল তাঁকে। তখন বয়স মাত্র ২৪। গত সপ্তাহে যখন ইসরায়েলি কারাগার থেকে বেরোচ্ছিলেন, তখন রোমাঞ্চকর এক অনুভূতি হচ্ছিল মনের ভেতর। কারণ, জেলে থাকতেই তাঁর সঙ্গে ইসলাম আলিয়ান নামের এক ফিলিস্তিনি তরুণীর প্রেম হয়েছিল। কারাগারে থাকতেই বাগদানও সেরে রেখেছিলেন। 

একটু পর বাশার ঘরে প্রবেশ করলেন। ঘরের প্রতিটি কোনায় চোখ বোলালেন। সবকিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলেন। যেন প্রথমবার দেখছেন! বাশারের মা তাঁকে অনেকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করা বাগদত্তা আলিয়ানও তাঁকে এটা-সেটা মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন। দুই নারীর উষ্ণ আন্তরিকতা বলে দিচ্ছিল, গরাদ তাঁদের ভালোবাসা বিনিময়ে সাময়িক অন্তরায় সৃষ্টি করলেও, তাতে মোটেও চিড় ধরাতে পারেনি। 

ফিলিস্তিনের লাফতা গ্রামের আরদ আল-সামার মহল্লা, যেখান থেকে বাশার ওবাইদির দাদাকে ১৯৪৮ সালে উচ্ছেদ করা হয়, সেখানেই তাঁর, তাঁর পরিবার ও বাগদত্তা আলিয়ানের সঙ্গে দেখা হয় আল-জাজিরার প্রতিবেদকের। 

দীর্ঘ নয় বছর পর কারাগার থেকে ঘরে ফিরেছেন ওবাইদি। ছবি: টুইটারকাচের দেয়ালের ওপারে প্রেম বিনিময়
বাশার তাঁর বন্দিজীবনের অনেক দুঃখের কথাই তুলে ধরলেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ টেনে জানালেন, ২০১৪ সালে দখলদার ইহুদিরা ফিলিস্তিনি তরুণ আবু খুদাইরকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে। সেই ঘটনার সূত্রে জেরুজালেমে ‘আবু খুদাইর বিদ্রোহ’ শুরু হয়েছিল। তখনই বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর শুরু হয় কারাগারের নিষ্ঠুর জীবন। 

বাশারকে ৯ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। সাজা শুরুর দ্বিতীয় বছরে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় ইসলাম আলিয়ানের। আলিয়ান মূলত তাঁর সহোদর ভাইকে দেখতে প্রায়ই কারাগারে যেতেন। 

কারাগারের সাক্ষাৎকক্ষের কাচের ওপারে আলিয়ানকে প্রথমবার দেখেই পছন্দ করে ফেলেছিলেন বাশার। তখনই পছন্দের কথা আলিয়ানের ভাইকে জানিয়েছিলেন। এরপর আরও কয়েকবার আলিয়ান কারাগারে এসেছিলেন। বাশারের সঙ্গেও তাঁর দেখা হয়, কথা হয়—যেভাবে কারাবন্দীদের সঙ্গে কথা হয়। এরপর ভালোবাসা বিনিময়। পরে তাঁদের ভালোবাসাকে স্থায়ী রূপ দিতে দুই পরিবারের সদস্যরাও মিলিত হন। 

বাশার পরিচয় ও প্রণয়ের এসব গল্প বলছিলেন আর আলিয়ানের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছিলেন। বাশার জানালেন, আলিয়ান তাঁকে বলেছিলেন, ‘তোমার পবিত্র অনুভূতির কথাগুলো আমার কানে পৌঁছাতেই আমার হৃদয়ে দীপ জ্বলে উঠেছিল।’ 

বাশারকে মিষ্টিমুখ করান তাঁর মা ও আলিয়ান। ছবি: আল-জাজিরাবন্দীর সঙ্গে বাগদান
বাশারের প্রস্তাবে ‘হ্যাঁ’ বলার আগে আলিয়ানের কপালে ক্ষণিকের জন্য চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। মনের ভেতর বিভ্রান্তি ও সিদ্ধান্তহীনতা তৈরি হয়েছিল। কারণ, তিনি ভালো করেই জানতেন, এই সম্পর্কে ‘হ্যাঁ’ বললে তাঁকে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। তবে তিনি নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করেন এবং সব বিপদ-আপদকে আলিঙ্গন করার সিদ্ধান্ত নেন। কারাগারে মানবেতর জীবনযাপনকারী একজন বন্দীর সঙ্গে সারা জীবনের জন্য বাঁধা পড়ার মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একজন তরুণীর মধ্যে কোন গুণটি থাকা চাই—এমন প্রশ্নের জবাবে আলিয়ান বললেন, ‘অল্প সাহস আর অনেক সংকল্প!’ 

আলিয়ান আরও বললেন, ‘কখনো কল্পনাই করিনি, বেশ কয়েক বছরের সাজা বাকি এমন কোনো বন্দীর সঙ্গে আমার বাগদান হবে। তবে আমি এও বিশ্বাস করতাম, একজন বন্দীরও ভালোবাসার এবং স্বপ্নের নারীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির অধিকার আছে। আমার মনে হয়েছিল, বাশারই সেই ব্যক্তি, জীবনসঙ্গী হিসেবে যার সঙ্গে আমি পুরো জীবন কাটিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখে এসেছি।’ 

বেশ কিছুদিনের প্রচেষ্টার পরই বাশারের জন্য বাগদানের আংটি জেলের ভেতরের পাঠাতে পেরেছিলেন আলিয়ান। বাশারও তাঁর জন্য জেলের প্রকোষ্ঠ থেকে একটি ছোট উপহার পাঠিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের শুরুতে তাঁদের বাগদান সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠান হয়েছিল আলিয়ানের বাপের বাড়িতে, জেরুজালেমের ইসাভিয়া গ্রামে।

বাশারের সঙ্গে আলিয়ানের যখন প্রথম দেখা হয়, তখন আলিয়ান মাত্র ১৬ বছরের এক কিশোরী। গত সপ্তাহে যখন বাশার কারাগার থেকে ছাড়া পান, তখন আলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। কৈশোর থেকে এতটা বছর ইসরায়েলের জেলে বন্দীদের খুব কাছ থেকে তিনি দেখে আসছেন।

এত বছর এ ছবি আগলে রেখেছিলেন আলিয়ান। ছবি: প্যালেস্টাইন নিউজ নেটওয়ার্কবাশারদের দুঃখ কি ফুরোবে 
একটু পরপর বাশারের মা হুদাইল ওবাইদি আমাদের (প্রতিবেদক) কাছে আসছিলেন। আবার অন্য মেহমানদের স্বাগত জানাতে ঘরদোরও গোছাচ্ছিলেন। ঘনঘন আমাদের কাছে এসে মূলত তিনি বাশারকেই দেখছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, ছেলে এখন তাঁর কাছে চলে এসেছেন। 

বাশারের মায়ের চাওয়া, নয় বছর যে দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে তিনি ও তাঁর পরিবার গেছেন, এই মুক্তি যেন সেটির শেষ অধ্যায় হয়। বাশারকে রমজান মাসে গ্রেপ্তার করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। ইফতারের দস্তরখানে তাঁর আকস্মিক অনুপস্থিতি মেনে নেওয়া খুব কঠিন ছিল মায়ের। তিনি বলেন, ‘বাশার আমার বড় সন্তান; আমার প্রথম আনন্দ। কারাগারের প্রকোষ্ঠে সে মানবেতর জীবনযাপন করবে—এটা আমি মেনে নিতে পারিনি।’ 

বাশারকে এক কারাগার থেকে অন্য কারাগারে স্থানান্তরের সময়টাও মায়ের স্পষ্ট স্মরণে আছে। তিনি বললেন, ‘তাকে প্রথমে আসকালান জেলে নেওয়া হয়েছিল। এরপর রিমন জেলে। এপর নাফখাহ জেলে। সর্বশেষ মরুভূমির আন-নাকব জেল থেকে মুক্ত হয় সে।’ 

বাশারের সঙ্গে প্রথম দৃষ্টি বিনিময়ের সময় আলিয়ান ছিলেন ১৬ বছরের কিশোরী। এখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকবন্দী ছেলেকে দেখতে যাওয়া এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার মুহূর্তগুলো মায়ের স্মৃতিতে গভীর খাদের সৃষ্টি করেছে। সেই সময়ের এটুকু সুখস্মৃতি তাঁর অবশ্য আছে, দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে যখন তিনি কারাগারের পৌঁছাতেন, বাশারের সাক্ষাৎকক্ষে প্রবেশ করতেন, কাচের ওপার থেকে ছেলেকে দেখতেন এবং টেলিফোনে তাঁর কণ্ঠস্বর শুনতেন—তখন সব কষ্ট নিমেষে উবে যেত।

বাশারের মা আরও বললেন, ‘দীর্ঘ বন্দিজীবনের কারণে সে তাঁর দুই বোন—নুর ও লানার বিয়ে, তাঁদের সমাবর্তন এবং অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠানে আমাদের সঙ্গে উপস্থিত থাকতে পারেনি। এমনকি নিজের বাগদান অনুষ্ঠানেও সে অনুপস্থিত ছিল। কারাগারের জীবন সীমাহীন কষ্টের!’

‘আমরা (প্রতিবেদক) বাড়ি থেকে বের হতেই দেখি, বাশার একটি তরমুজ হাতে দৌড়ে আসছেন এবং বলছেন, ‘গত ৯ বছর এই ফল খাব দূরের কথা, ছুঁয়েও দেখিনি।’ 

বাশারের মতো ৪ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দী আছেন ইসরায়েলি কারাগারে। তাঁদের মধ্যে ৭০০ জন অসুস্থ এবং ২০০ জন নারী ও শিশু। এভাবেই কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ডুকরে মরছে তাঁদের ছোট ছোট ইচ্ছেগুলো। 

আল-জাজিরা আরবি সংস্করণে প্রকাশিত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আসিল আল জুন্দির প্রতিবেদন, অনুবাদ করেছেন ইজাজুল হক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে আফগানিস্তান-পাকিস্তান, এর মধ্যেই নতুন সংঘর্ষে নিহত ৩০

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সীমান্তের ওপার থেকে আক্রমণ দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছবি: এএফপি
সীমান্তের ওপার থেকে আক্রমণ দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছবি: এএফপি

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।

তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।

গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিবিসির সাক্ষাৎকার

আবারও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে চান কমলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিবিসির সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস। ছবি: বিবিসি
বিবিসির সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস। ছবি: বিবিসি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’

সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’

উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’

মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’

হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’

সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেসিয়াল রিকগনিশনে বিদেশিদের ওপর নজরদারি করবে যুক্তরাষ্ট্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।

নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।

এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।

তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।

২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।

২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।

বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।

নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ক্রিল শিকারে সীমা আরোপের দাবি তোলা ইউক্রেনীয় জীববিজ্ঞানীকে আটক করল রাশিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভ। ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভ। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।

রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মসজিদে আমির হামজাকে রাজনৈতিক আলোচনা করতে নিষেধ করায় লাঞ্ছিত বিএনপি নেতা

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত কালাম ভাইয়ের সংসারও সামলাতেন, পরিবারে হাহাকার

ঘুষ হিসেবে পাকা কলা নেওয়ার কথা স্বীকার, দুদকের গণশুনানিতে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ

তিন ঘণ্টা পর আংশিক চালু মেট্রোরেল

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত