গাজা উপত্যকায় ১৫ মাস ধরে ইসরায়েলি হামলায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়েছে তীব্র শীত ও প্রবল বৃষ্টির কারণে। সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে তারা বেঁচে থাকার লড়াই করছে, কিন্তু তাদের জীবনযাত্রা ক্রমেই আরও খারাপ হচ্ছে।
গাজা পৌরসভার মুখপাত্র হোসনি মুহান্না তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন, ‘বাস্তুচ্যুতদের মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত করুণ। তারা কোনো রকমে উষ্ণতার ব্যবস্থা, জ্বালানি, পোশাক বা কম্বল পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছে। তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য কোনো স্থায়ী সমাধানও নেই।’
গাজাবাসীর জন্য শীতের তীব্রতা, প্রবল বৃষ্টি, ঘরবাড়ি বা আশ্রয়ের অভাব, খাবারের সংকট—সবকিছুই যেন এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজার ওপর চালানো ইসরায়েলি আক্রমণ একেবারে পরিবর্তন করে দিয়েছে এই অঞ্চলের বাস্তবতা।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে এরই মধ্যে ৪৫ হাজার ৬০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৮ হাজার ৪০০ জনের বেশি। গাজার ওপর ইসরায়েলের অতি কঠোর অবরোধ পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলেছে। খাবার, চিকিৎসা এবং অন্যান্য জরুরি সামগ্রী প্রবাহ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে বহু মানুষ মৃত্যুর মুখোমুখি।
এত বিপর্যয়ের মাঝেও শীতের তীব্রতা যেন আরও বেশি ভয়াবহ বিপর্যয় নিয়ে এসেছে গাজাবাসীর জীবনে। প্রবল বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাতের মাঝে ঠান্ডায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো তাদের পুরোনো তাঁবুতে শুয়ে শুয়ে বাঁচার আশা খুঁজতে থাকে। কিন্তু কোনো কিছুই তাদের আশাকে বাস্তবে পরিণত করে না।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, গত সপ্তাহে ছয় শিশুসহ অন্তত সাতজন শীতের তীব্রতার কারণে মারা গেছে। ঘরবাড়ি বা আশ্রয়ের অভাবে তারা খোলা আকাশের নিচে ঠান্ডায় কাঁপছে, প্রবল বৃষ্টি ও তুষারপাত তাদের সেই ঠান্ডাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর আশঙ্কাও।
মুহান্না বলেন, ‘কঠোর শীতল আবহাওয়া বাস্তুচ্যুতদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলছে। বৃষ্টির পানি তাদের জিনিসপত্র ভিজিয়ে দিচ্ছে এবং তাদের শরীরকে হিম শীতল বানিয়ে দিচ্ছে।’
গাজাবাসীর দুর্ভোগ এখানেই শেষ নয়। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার পয়োনিষ্কাশন ও পানি নিষ্কাশন নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে পুরো অঞ্চলের স্যানিটেশন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার মিটার পয়োনিষ্কাশন নেটওয়ার্ক এবং ১৫ হাজার মিটার পানি নিষ্কাশন নেটওয়ার্ক ধ্বংস হয়েছে। এর ফলে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় অসহায় মানুষ আরও বিপদে পড়েছে।
গাজার গুরুত্বপূর্ণ জলাধার শেখ রাদওয়ানে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করা হয়। ইসরায়েলি আগ্রাসনে সেটিও প্রায় ধ্বংসের মুখে। মুহান্না সতর্ক করে বলেছেন, যদি এই জলাধারটির মেরামত না করা হয়, তবে এটি আরও এক মানবিক বিপর্যয় তৈরি করতে পারে। মেরামত ও পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, যেমন বৈদ্যুতিক জেনারেটর, পাম্প সরবরাহ এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দ্রুত মেরামত না করা হলে আরও হাজার হাজার মানুষ বিপদের মুখে পড়তে পারে।
মুহান্না বলেন, ‘গাজার পৌর কর্তৃপক্ষ সীমিত সামর্থ্য নিয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। গাজায় একটি বাস্তব মানবিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। শুধু সাময়িক নয়, একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন যা বাস্তুচ্যুত এবং পুরো অঞ্চলের মানুষের জন্য একটি সম্মানজনক জীবন নিশ্চিত করতে পারে।’
মুহান্না আরও বলেন, ‘এখানে আমাদের দাবি একটাই। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হোক, গাজার সীমান্ত খুলে দেওয়া হোক এবং দ্রুত ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পৌঁছানো হোক।’
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে গাজার সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, গত দুই দিনে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ১ হাজার ৫৪২টি তাঁবু ডুবে গেছে। এসব তাঁবুর নিচে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। সবকিছু যেন এক ভয়ানক চক্রে পরিণত হয়েছে; এমন এক চক্র যা কেবল গাজার মানবিক সংকটকেই বাড়িয়ে তুলছে এবং এর সমাধান কিছুতেই মেলানো যাচ্ছে না।
গাজা উপত্যকায় ১৫ মাস ধরে ইসরায়েলি হামলায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়েছে তীব্র শীত ও প্রবল বৃষ্টির কারণে। সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে তারা বেঁচে থাকার লড়াই করছে, কিন্তু তাদের জীবনযাত্রা ক্রমেই আরও খারাপ হচ্ছে।
গাজা পৌরসভার মুখপাত্র হোসনি মুহান্না তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন, ‘বাস্তুচ্যুতদের মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত করুণ। তারা কোনো রকমে উষ্ণতার ব্যবস্থা, জ্বালানি, পোশাক বা কম্বল পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছে। তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য কোনো স্থায়ী সমাধানও নেই।’
গাজাবাসীর জন্য শীতের তীব্রতা, প্রবল বৃষ্টি, ঘরবাড়ি বা আশ্রয়ের অভাব, খাবারের সংকট—সবকিছুই যেন এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজার ওপর চালানো ইসরায়েলি আক্রমণ একেবারে পরিবর্তন করে দিয়েছে এই অঞ্চলের বাস্তবতা।
ইসরায়েলি আগ্রাসনে এরই মধ্যে ৪৫ হাজার ৬০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৮ হাজার ৪০০ জনের বেশি। গাজার ওপর ইসরায়েলের অতি কঠোর অবরোধ পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলেছে। খাবার, চিকিৎসা এবং অন্যান্য জরুরি সামগ্রী প্রবাহ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে বহু মানুষ মৃত্যুর মুখোমুখি।
এত বিপর্যয়ের মাঝেও শীতের তীব্রতা যেন আরও বেশি ভয়াবহ বিপর্যয় নিয়ে এসেছে গাজাবাসীর জীবনে। প্রবল বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাতের মাঝে ঠান্ডায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো তাদের পুরোনো তাঁবুতে শুয়ে শুয়ে বাঁচার আশা খুঁজতে থাকে। কিন্তু কোনো কিছুই তাদের আশাকে বাস্তবে পরিণত করে না।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, গত সপ্তাহে ছয় শিশুসহ অন্তত সাতজন শীতের তীব্রতার কারণে মারা গেছে। ঘরবাড়ি বা আশ্রয়ের অভাবে তারা খোলা আকাশের নিচে ঠান্ডায় কাঁপছে, প্রবল বৃষ্টি ও তুষারপাত তাদের সেই ঠান্ডাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর আশঙ্কাও।
মুহান্না বলেন, ‘কঠোর শীতল আবহাওয়া বাস্তুচ্যুতদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলছে। বৃষ্টির পানি তাদের জিনিসপত্র ভিজিয়ে দিচ্ছে এবং তাদের শরীরকে হিম শীতল বানিয়ে দিচ্ছে।’
গাজাবাসীর দুর্ভোগ এখানেই শেষ নয়। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার পয়োনিষ্কাশন ও পানি নিষ্কাশন নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে পুরো অঞ্চলের স্যানিটেশন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার মিটার পয়োনিষ্কাশন নেটওয়ার্ক এবং ১৫ হাজার মিটার পানি নিষ্কাশন নেটওয়ার্ক ধ্বংস হয়েছে। এর ফলে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় অসহায় মানুষ আরও বিপদে পড়েছে।
গাজার গুরুত্বপূর্ণ জলাধার শেখ রাদওয়ানে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করা হয়। ইসরায়েলি আগ্রাসনে সেটিও প্রায় ধ্বংসের মুখে। মুহান্না সতর্ক করে বলেছেন, যদি এই জলাধারটির মেরামত না করা হয়, তবে এটি আরও এক মানবিক বিপর্যয় তৈরি করতে পারে। মেরামত ও পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, যেমন বৈদ্যুতিক জেনারেটর, পাম্প সরবরাহ এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দ্রুত মেরামত না করা হলে আরও হাজার হাজার মানুষ বিপদের মুখে পড়তে পারে।
মুহান্না বলেন, ‘গাজার পৌর কর্তৃপক্ষ সীমিত সামর্থ্য নিয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। গাজায় একটি বাস্তব মানবিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। শুধু সাময়িক নয়, একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন যা বাস্তুচ্যুত এবং পুরো অঞ্চলের মানুষের জন্য একটি সম্মানজনক জীবন নিশ্চিত করতে পারে।’
মুহান্না আরও বলেন, ‘এখানে আমাদের দাবি একটাই। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হোক, গাজার সীমান্ত খুলে দেওয়া হোক এবং দ্রুত ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পৌঁছানো হোক।’
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে গাজার সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, গত দুই দিনে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ১ হাজার ৫৪২টি তাঁবু ডুবে গেছে। এসব তাঁবুর নিচে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। সবকিছু যেন এক ভয়ানক চক্রে পরিণত হয়েছে; এমন এক চক্র যা কেবল গাজার মানবিক সংকটকেই বাড়িয়ে তুলছে এবং এর সমাধান কিছুতেই মেলানো যাচ্ছে না।
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
২ ঘণ্টা আগেভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের পদ্ধতিগত নিপীড়নের অংশ। আগের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা শাস্তি ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
৫ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের কর্মকর্তারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো আলোচনায় তাদের ‘পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে।’ আর এ জন্য প্রয়োজনে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক সীমিত পরিসরে হামলাও চালাতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে