Ajker Patrika

‘কেউ আমাদের ক্ষতি করলে আমরাও ছেড়ে কথা বলব না’, ইরানকে নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫: ৫৪
Thumbnail image

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসের কনস্যুলার ভবনে বিমান হামলায় রেভল্যুশনারি গার্ডের সাত সদস্য নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে  প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয় ইরান। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের দিক থেকে হামলার ব্যাপারে প্রস্তুত রয়েছে ইসরায়েল। পাল্টা হুমকি দিয়ে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যে আমাদের ক্ষতি করবে বা আমাদের ক্ষতি করার পরিকল্পনা করবে, তাদেরও ক্ষতি করবে ইসরায়েল।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

ইরানের দিক থেকে প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা বেড়ে যাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যেও বেড়েছে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। এ পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সব যুদ্ধ ইউনিটের ছুটি বাতিল করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। সে সঙ্গে, বাড়তি সেনা মজুত করেছে তারা। তবে ইরানের দুটি সূত্র বলেছে, সংঘর্ষ না বাড়ানোর দিকেই মনোযোগ রয়েছে তেহরানের।

তবে ইরানের প্রতি পাল্টা হুমকি ছুড়ে দিয়ে গতকাল রাতে নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘অনেক বছর ধরেই ইরান আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে—সরাসরি এবং মিত্রদের দিয়ে, দুভাবেই। ইসরায়েলও তাই ইরান এবং তার মিত্রদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা ও আক্রমণাত্মক পন্থা অনুসরণ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হয়। আমরা তাই সহজ নীতিতে কাজ করব, আর সেটা হচ্ছে—যারা আমাদের ক্ষতি করবে বা ক্ষতি করার পরিকল্পনা করবে আমরাও তাদের ক্ষতি করব।’

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এ সময় ইরানের হুমকি নিয়েও আলোচনা হয়। ওয়াশিংটন বলেছে, বাইডেন এ ব্যাপারে স্পষ্ট করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের হুমকির ব্যাপারে ইসরায়েলকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ইরানের হাতে বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে। তারা সিরিয়া ও ইরাকে সশস্ত্র মিত্র গোষ্ঠীগুলো দিয়ে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা করতে পারে। হিজবুল্লাহর মাধ্যমে লেবানন সীমান্তে আঘাত হানতে পারে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর। আবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচিকেও জোরদার করতে পারে ইরান। এতে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের মধ্যে তেহরানের পারমাণবিক বোমা তৈরির সম্ভাবনা সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়বে।

কিন্তু অনেক কূটনীতিক এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়াতে চায় না ইরানের প্রভাবশালীরা। এর চেয়ে শত্রুদের ওপর বেছে বেছে কৌশলগত আক্রমণ চালানোর জন্য ইরান তাদের মিত্র বা প্রক্সি যোদ্ধাদের ব্যবহার করতেই বেশি পছন্দ করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত