Ajker Patrika

ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দাবিতে আইসিসিতে বাংলাদেশসহ ৫ দেশের আবেদন

আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ২৩: ৪৮
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দাবিতে আইসিসিতে বাংলাদেশসহ ৫ দেশের আবেদন

ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) আবেদন করেছে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ। গতকাল শুক্রবার এ আবেদন হাতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

করিম খানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আবেদনকারী পাঁচ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, বলিভিয়া, কমোরস ও জিবুতি। 

দক্ষিণ আফ্রিকা জানিয়েছে, আইসিসি যেন ফিলিস্তিনের গুরুতর পরিস্থিতির দিকে জরুরি ভিত্তিতে নজর দেয়, তা নিশ্চিত করতেই এই আবেদন করা হয়েছে। 

এক বিবৃতিতে আইসিসির কৌঁসুলির কার্যালয় জানিয়েছে, এরই মধ্যে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করেছে তারা। এ ছাড়া ফিলিস্তিনিদের নানা অপরাধের তথ্যও তাদের হাতে এসেছে। 

এদিকে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়, এই আদালতের বিচারিক ক্ষমতাকেও স্বীকৃতি দেয় না দেশটি। তবে নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে সদস্য নয়—এমন দেশের নাগরিকদের ওপরও তদন্ত চালাতে পারে আইসিসি। যেমন সদস্যদেশের ভূখণ্ডে অসদস্যদেশের নাগরিক অপরাধ করলে তাঁর বিচার করতে পারবেন এই আদালত। 

যেহেতু ফিলিস্তিন ২০১৫ সাল থেকে আইসিসির সদস্য। তাই গাজায় ইসরায়েলিদের অপরাধের বিচার করতে কোনো বাধা নেই। 

এদিকে ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই আইসিসিতে একটি তদন্ত চলমান রয়েছে। ২০১৪ সালে ১৩ জুন থেকে ওঠা যুদ্ধাপরাধের বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তদন্ত করা হচ্ছে। এ তদন্তের কারণে গতকাল শুক্রবার পাঁচ দেশের করা আবেদনের প্রভাব বাস্তবিক অর্থে সীমিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

গত মাসে করিম খান জানান, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলা এবং সেদিন থেকে গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা হামলার অপরাধের বিচারের এখতিয়ার রয়েছে আইসিসির। 

গত মাসে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ সংগ্রহ করছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার গাজাকে ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ করার নির্দেশ দেয়, সামগ্রিকভাবে সব মানুষকে এভাবে শাস্তি দেওয়া যুদ্ধাপরাধের মধ্যে পড়ে। তখন বেশ কয়েকটি মানবাধিকার গোষ্ঠী জাতিসংঘের মূল্যায়নের সঙ্গে একমত করে। 

এই মাসের শুরুতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক গত ৭ অক্টোবরের হামলাকে ‘নৃশংস’ বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, ইসরায়েলের নির্বিচারে বোমাবর্ষণ ও বেসামরিক নাগরিকদের জিম্মি করা যুদ্ধাপরাধ। তিনিও সামগ্রিকভাবে সব মানুষকে এভাবে শাস্তি দেওয়া যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করেন। 

ইসরায়েলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় দেশটিতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া ২৪০ জনের বেশি মানুষকে ইসরায়েল থেকে জিম্মি করে নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা। অন্যদিকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ১২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত