Ajker Patrika

পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির ১৫ বছরের কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক
পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলান্তা হুমালা ও ফার্স্ট লেডি নাদিন হেরেদিয়া। ছবি: সংগৃহীত
পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলান্তা হুমালা ও ফার্স্ট লেডি নাদিন হেরেদিয়া। ছবি: সংগৃহীত

পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলান্তা হুমালা ও তাঁর স্ত্রী নাদিন হেরেদিয়াকে অর্থপাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজধানী লিমার একটি আদালত। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ২০০৬ ও ২০১১ সালের নির্বাচনী প্রচার চালানোর জন্য হুমালা ভেনেজুয়েলার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ এবং ব্রাজিলের নির্মাণ কোম্পানি ওডেব্রেচটের কাছ থেকে অবৈধ অর্থ গ্রহণ করেছিলেন।

হুমালার আইনজীবী উইলফ্রেদো পেদ্রাসা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর মতে, ১৫ বছরের সাজা একটু বেশিই হয়ে গেছে।

সাবেক ফার্স্ট লেডি নাদিন হেরেদিয়াও অর্থপাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং একই মেয়াদে সাজা পেয়েছেন। তবে তিনি আগে থেকেই ব্রাজিলের দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে ব্রাজিলে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন। এর ফলে ১৯৫৪ সালের রাজনৈতিক আশ্রয় সংক্রান্ত কনভেনশনের আলোকে নাদিন হেরেদিয়া ও তাঁর সন্তানকে নিরাপদে ব্রাজিলে যাওয়ার সুযোগ দিতে সম্মত হয় পেরু সরকার।

রায় ঘোষণার সময় হেরেদিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর হওয়ার আগেই ব্রাজিলের দূতাবাসে ঢুকে পড়েন।

অন্যদিকে, ৬২ বছর বয়সী সাবেক প্রেসিডেন্ট হুমালাকে লিমার বারবাদিলো কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই কারাগারে বর্তমানে পেরুর আরও দুই সাবেক প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো তোলেদো ও পেদ্রো কাস্তিলো বন্দী রয়েছেন।

হুমালার আগে ওডেব্রেচট দুর্নীতি কাণ্ডে দেশটির অপর সাবেক প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো তোলেডোকে সাড়ে তিন কোটি ডলার ঘুষ নেওয়ার দায়ে ২০ বছরের বেশি সাজা দেওয়া হয়েছে। ওডেব্রেচট থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তারের সময় ঘনিয়ে এলে আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট আলান গার্সিয়া ২০১৯ সালে আত্মহত্যা করেন। পেদ্রো পাবলো কুচিনস্কির বিরুদ্ধেও ওডেব্রেচট থেকে অর্থ গ্রহণের অভিযোগে তদন্ত চলছে।

প্রসিকিউটরদের মতে—একসঙ্গে পেরুর ন্যাশনালিস্ট পার্টি গঠন করা হুমালা ও তাঁর স্ত্রী ওডেব্রেচট কোম্পানি থেকে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার অবৈধভাবে গ্রহণ করেছিলেন, যা তারা ২০১১ সালের নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও ২০০৬ সালের প্রচারের জন্য তাঁরা ভেনেজুয়েলার তৎকালীন নেতা হুগো শ্যাভেজের কাছ থেকে আরও ২ লাখ ডলার গ্রহণ করেছিলেন।

২০১৬ সালে হুমালার প্রেসিডেন্সি শেষ হওয়ার পরপরই ওডেব্রেচট কেলেঙ্কারির কারণে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। ২০১৭ সালে এক বিচারক তাঁদের প্রাক-বিচার আটকাদেশে পাঠানোর আদেশ দেন। এক বছর পর তাঁদের মুক্তি দেওয়া হলেও তদন্ত চলতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত এই সাজা ঘোষণার মধ্য দিয়ে মামলার সমাপ্তি ঘটে।

২০০০ সালে তখনকার প্রেসিডেন্ট আলবের্তো ফুজিমোরির বিরুদ্ধে একটি সামরিক বিদ্রোহ চালিয়ে জাতীয় আলোচনায় আসেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হুমালা। পরে তিনি দুই দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন। ২০১১ সালে ব্রাজিলের লুলা দা সিলভার নীতিকে অনুসরণ করে তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করেন। কিন্তু জনপ্রিয়তা দ্রুত কমতে থাকে এবং সংসদে সমর্থন হারান।

হুমালা ও তাঁর স্ত্রী এখনো দাবি করে আসছেন, তাঁরা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল দিল্লি

‘ক্রিকেটাররা আমাকে ন্যুড পাঠাত’, বিস্ফোরক ভারতের সাবেক কোচের সন্তান

‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ ব্যানারে বিমানবন্দর এলাকায় আ.লীগের মিছিল

নালিতাবাড়ীতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক

পারদর্শী হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, স্থিতিশীল হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক: ভারতীয় বিশেষজ্ঞ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত