কলকাতা প্রতিনিধি
অপরাধমুক্ত দেশ গড়ে তোলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক বার্তা। এ বার্তা দিয়ে সংসদে আনা হয়েছে নতুন বিল, যেখানে বলা হয়েছে, কোনো মন্ত্রী ফৌজদারি মামলায় অন্তত ৩০ দিন জেলে কাটালেই তাঁকে ছাড়তে হবে পদ। এই বিল সামনে রেখে অপরাধমুক্ত রাজনীতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারে নেমেছে শাসক দল। কিন্তু বাস্তবে চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
স্বাধীন গবেষণা সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের (এডিআর) তথ্য বলছে, বিজেপির ৩৩৬ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১৩৬ জনের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৮৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বেশ গুরুতর। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে— খুন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ কিংবা নারী নির্যাতনের মতো অপরাধও।
এই তালিকায় শুধু প্রান্তিক নেতা নন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গাদকারি, গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের মতো বড় বড় মন্ত্রীও আছেন। এনডিএ শরিকেরাও এই তালিকার বাইরে নেই। কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝির বিরুদ্ধেও মামলা বিচারাধীন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও সুকান্ত মজুমদারের নামও এডিআরের রিপোর্টে রয়েছে।
রাজ্য পর্যায়েও চিত্র ভিন্ন নয়। দেশের অন্তত ১১টি রাজ্যে ৬০ শতাংশের বেশি মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই মামলা ঝুলছে। বিজেপি-এনডিএ শাসিত বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও পুদুচেরি— সব জায়গাতেই বহু মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা আছে। আবার কংগ্রেস শাসিত তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, হিমাচল কিংবা আপ শাসিত পাঞ্জাব, ডিএমকের তামিলনাড়ুতেও একই ছবি। কংগ্রেসের ৬১ জন মন্ত্রীর মধ্যে ৪৫ জনের নামে মামলা আছে, যার মধ্যে ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ৪০ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১৩ জনের বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা ঝুলছে, যার মধ্যে আটজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
মামলা ও অপরাধেরই এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, মোদি সরকারের আনা বিল কি সত্যিই কার্যকর হবে? সংসদে এটি এখন যৌথ কমিটির হাতে। বিল কার্যকর হলে রাজনীতির অনেক চেহারাই পাল্টে যেতে পারে। কিন্তু সমালোচকদের মতে, এই বিল ভোটের প্রচারে বিজেপির অস্ত্র হিসেবেই বেশি ব্যবহার হচ্ছে। বাস্তবে অভিযুক্ত মন্ত্রীদের সরিয়ে দেওয়ার মতো শক্ত রাজনৈতিক সদিচ্ছা আদৌ বিজেপির আছে কি না, সন্দেহ।
একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা অনেক সময় বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। ফলে ৩০ দিনের কারাবাস ছাড়া বাস্তবে পদচ্যুত হওয়ার সুযোগ খুবই সীমিত। এই অবস্থায় অপরাধমুক্ত রাজনীতির প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে জনমনে সংশয় বাড়ছে।
অপরাধমুক্ত দেশ গড়ে তোলা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক বার্তা। এ বার্তা দিয়ে সংসদে আনা হয়েছে নতুন বিল, যেখানে বলা হয়েছে, কোনো মন্ত্রী ফৌজদারি মামলায় অন্তত ৩০ দিন জেলে কাটালেই তাঁকে ছাড়তে হবে পদ। এই বিল সামনে রেখে অপরাধমুক্ত রাজনীতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারে নেমেছে শাসক দল। কিন্তু বাস্তবে চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
স্বাধীন গবেষণা সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের (এডিআর) তথ্য বলছে, বিজেপির ৩৩৬ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১৩৬ জনের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৮৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বেশ গুরুতর। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে— খুন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ কিংবা নারী নির্যাতনের মতো অপরাধও।
এই তালিকায় শুধু প্রান্তিক নেতা নন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গাদকারি, গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের মতো বড় বড় মন্ত্রীও আছেন। এনডিএ শরিকেরাও এই তালিকার বাইরে নেই। কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝির বিরুদ্ধেও মামলা বিচারাধীন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও সুকান্ত মজুমদারের নামও এডিআরের রিপোর্টে রয়েছে।
রাজ্য পর্যায়েও চিত্র ভিন্ন নয়। দেশের অন্তত ১১টি রাজ্যে ৬০ শতাংশের বেশি মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই মামলা ঝুলছে। বিজেপি-এনডিএ শাসিত বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও পুদুচেরি— সব জায়গাতেই বহু মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা আছে। আবার কংগ্রেস শাসিত তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, হিমাচল কিংবা আপ শাসিত পাঞ্জাব, ডিএমকের তামিলনাড়ুতেও একই ছবি। কংগ্রেসের ৬১ জন মন্ত্রীর মধ্যে ৪৫ জনের নামে মামলা আছে, যার মধ্যে ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ৪০ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১৩ জনের বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা ঝুলছে, যার মধ্যে আটজনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
মামলা ও অপরাধেরই এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, মোদি সরকারের আনা বিল কি সত্যিই কার্যকর হবে? সংসদে এটি এখন যৌথ কমিটির হাতে। বিল কার্যকর হলে রাজনীতির অনেক চেহারাই পাল্টে যেতে পারে। কিন্তু সমালোচকদের মতে, এই বিল ভোটের প্রচারে বিজেপির অস্ত্র হিসেবেই বেশি ব্যবহার হচ্ছে। বাস্তবে অভিযুক্ত মন্ত্রীদের সরিয়ে দেওয়ার মতো শক্ত রাজনৈতিক সদিচ্ছা আদৌ বিজেপির আছে কি না, সন্দেহ।
একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা অনেক সময় বছরের পর বছর ঝুলে থাকে। ফলে ৩০ দিনের কারাবাস ছাড়া বাস্তবে পদচ্যুত হওয়ার সুযোগ খুবই সীমিত। এই অবস্থায় অপরাধমুক্ত রাজনীতির প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে জনমনে সংশয় বাড়ছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং-এর মধ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং মানুষের ১৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নিয়ে একটি কথোপকথনের ভিডিও প্রত্যাহার করে নিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
৪০ মিনিট আগেআগামী ২৩ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈশ্বিক কূটনৈতিক মঞ্চে সাধারণত বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানেরা উপস্থিত থেকে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। তবে এ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী...
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য ও উৎপাদন বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা পিটার নাভারো ভারতের বিরুদ্ধের একের পর এক মন্তব্য করেই যাচ্ছেন। সর্বশেষ তিনি বলেছেন, মার্কিন পণ্যে ভারত উচ্চশুল্ক আরোপ করে রাখায় আমেরিকানদের কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেকেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক অভিবাসন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে সরাসরি নির্বাচনী চাল বলে অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তিনি এ কথা বলেন। মমতা আরও বলেন, এই আইন প্রণয়নের আগে সংসদে কোনো আলোচনা হয়নি, স্থায়ী কমিটি বা সিলেক্ট কমিটিতেও পাঠানো হয়নি...
৫ ঘণ্টা আগে