Ajker Patrika

খাবার বেড়ে দিতে অস্বীকৃতি, মুণ্ডুচ্ছেদের পর স্ত্রীকে টুকরো টুকরো করল স্বামী

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ৩১ মে ২০২৪, ১৩: ০৫
Thumbnail image

রাতের খাবার বেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় মুণ্ডুচ্ছেদ করে স্ত্রীকে হত্যার পর তাঁর গায়ের চামড়া তুলে নিয়েছিলেন স্বামী। এমনই লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের তুমকুরুর একটি গ্রামে। আজ শুক্রবার সকালে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, শিবরাম নামে ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে—পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হোলিয়ুরুদুর্গা গ্রামের বাসিন্দা শিবরাম জানিয়েছেন, রাতের খাবার দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তিনি স্ত্রী পুষ্পার (৩৫) মুণ্ডুচ্ছেদ করে হত্যার পর তাঁর গায়ের চামড়া তুলে নেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, শিবরাম-পুষ্পা দম্পতি ১০ বছর ধরে বিবাহিত এবং তাঁদের ৮ বছরে একটি ছেলেসন্তান আছে। 

শিবরামকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার রাতে শিবরাম ও পুষ্পার মধ্যে ঝগড়া হয়। পেশায় স মিলের শ্রমিক শিবরাম তাঁর কর্মস্থল থেকে ফিরে এসে খাবার চাইলে তা নিয়েই শুরু হয় ঝগড়া। পুলিশ জানিয়েছে, শিবরামের পেশা নিয়ে দীর্ঘদিনের আপত্তি ছিল পুষ্পার। 
 
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঝগড়ার একপর্যায়ে পুষ্পা তাঁর স্বামীকে রাতের খাবার বেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় রেগে গিয়ে একটি চাপাতি দিয়ে শিবরাম তাঁর স্ত্রীকে কোপাতে থাকেন এবং একপর্যায়ে তাঁর মুণ্ডুচ্ছেদ করেন। পরে সারা রাত ধরে স্ত্রীর গায়ের চামড়া ছাড়িয়ে তাঁর দেহকে টুকরো টুকরো করেন শিবরাম। পুরো ঘটনার সময় ওই দম্পতির সন্তান ঘুমাচ্ছিল। 

পরে ভোরবেলায় শিবরাম যে বাসায় থাকতেন, সেটির মালিককে রাতের ঘটনার কথা জানান। এরপর তিনি বিষয়টি পুলিশে জানালে তারা এসে শিবরামকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। 

তুমকুর থানার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট অশোক ভেঙ্কট বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে তিনি (শিবরাম) হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের মধ্যে ছোটখাটো ঝগড়া হয়েছিল। তাঁরা চাকরি নিয়ে ঝগড়া করেছিলেন। তিনি স্ত্রীকে হত্যা করার পর বিষয়টি তাঁর বাড়ির মালিককে জানান। পরে তিনি আমাদের ডেকে পাঠান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত