মাত্র পাঁচ বছর বয়সে কলমের মাথা গিলে ফেলেছিলেন ভারতের এক শিশু। সেটি দীর্ঘ ২১ বছর আটকে ছিল তাঁর ফুসফুসে। অবশেষে, শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা ও শারীরিক অন্যান্য সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তা অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এক ব্যক্তির ফুসফুস থেকে কলমের মাথা অপসারণ করেছেন। এই মাথাটি তিনি দুর্ঘটনাবশত ২১ বছর আগে গিলে ফেলেছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে অজান্তেই তাঁর শরীরের ভেতরে রয়ে যাওয়া এই বস্তু ধীরে ধীরে তাঁর শ্বাসযন্ত্রে জটিলতা সৃষ্টি করছিল।
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের করিমনগরের বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী ওই যুবক সম্প্রতি অনবরত কাশি ও ওজন কমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রাথমিকভাবে তিনি বিষয়টিকে সাধারণ অসুস্থতা ভেবে গুরুত্ব দেননি। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর কাশি বাড়তে থাকে এবং ওজনও অস্বাভাবিক হারে হ্রাস পেতে থাকে। পরে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
কেআইএমএস হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল পালমোনোলজিস্ট ডা. শুভাকর নাদেলার মতে, রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। বিশেষ করে, গত ১০ দিনের মধ্যে তাঁর শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে, যার ফলে তার স্বাভাবিকভাবে ঘুমাতেও সমস্যা হচ্ছিল। চিকিৎসকেরা দ্রুতই বুঝতে পারেন যে, তার শ্বাসযন্ত্রে কোনো গুরুতর সমস্যা রয়েছে।
রোগীর ফুসফুসের অস্বাভাবিক অবস্থা শনাক্ত করতে চিকিৎসকেরা তাঁর সিটি স্ক্যান করেন। স্ক্যান রিপোর্টে দেখা যায়, তাঁর ফুসফুসের একটি নির্দিষ্ট অংশে গুটি সদৃশ একটি বস্তু আছে। প্রথমে চিকিৎসকেরা ধারণা করেছিলেন, এটি হয়তো কোনো বাধার সৃষ্টি করেছে, যার ফলে রোগী দীর্ঘদিন ধরে কাশিতে ভুগছিলেন।
তবে, যখন চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গভীরে পর্যবেক্ষণ করে আশ্চর্যজনকভাবে আবিষ্কার করেন যে, বস্তুটি আসলে একটি কলমের মাথা, যা তাঁর শ্বাসনালিতে আটকে ছিল।
এই তথ্য জানার পর চিকিৎসকেরা রোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর বড় ভাই তখন পুরোনো একটি ঘটনা মনে করে বলেন, যখন রোগী মাত্র পাঁচ বছর বয়সী ছিল, তখন সে খেলার সময় দুর্ঘটনাবশত একটি কলমের মাথা গিলে ফেলে। সেই সময় তাঁকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছিল। তবে পরীক্ষা করার পর কিছুই পাওয়া না যাওয়ায় চিকিৎসক মনে করেছিলেন, বস্তুটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীর থেকে বের হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবে সেটি তাঁর শ্বাসনালির একটা অংশে আটকে ছিল এবং ২১ বছর ধরে ধীরে ধীরে ফুসফুসের এক অংশের ক্ষতি করছিল।
চিকিৎসকেরা রোগীর ফুসফুস থেকে কলমের মাথাটি সরানোর জন্য একটি জটিল অস্ত্রোপচার করেন, যা প্রায় তিন ঘণ্টা সময় নেয়। তাঁরা একটি নমনীয় ব্রঙ্কোস্কোপির সাহায্যে মাথাটির চারপাশে জমে থাকা টিস্যু, লসিকা গ্রন্থি এবং পেশির গঠন ধাপে ধাপে সরিয়ে ফেলেন। এত বছর ধরে ঢাকনাটি সেখানে আটকে থাকার ফলে চারপাশের কোষ ও টিস্যু শক্ত হয়ে গিয়েছিল এবং ফুসফুসের কিছু অংশে প্রদাহ তৈরি করেছিল।
চিকিৎসকদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কোনো রকম ক্ষতি না করে ঢাকনাটি বের করা। তারা ধাপে ধাপে ফুসফুসের ভেতরের প্রতিবন্ধকতাগুলো অপসারণ করেন এবং অবশেষে সফলভাবে কলমের ঢাকনাটি বের করতে সক্ষম হন।
দীর্ঘ ২১ বছর ধরে একটি বস্তু আটকে থাকার কারণে রোগীর ফুসফুসের ক্ষতি হয়েছিল, তবে চিকিৎসকেরা অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা ও অন্যান্য ওষুধের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হন। অস্ত্রোপচারের পর রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং বর্তমানে তিনি পুরোপুরি সুস্থ।
ডা. শুভাকর নাদেলা এই ঘটনার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘শরীরের ভেতরে দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে কোনো বস্তু থাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক। যদি রোগী আরও কয়েক বছর চিকিৎসা না করতেন, তাহলে তাঁর ফুসফুসের টিস্যু পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেত এবং আক্রান্ত অংশটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে বাদ দিতে হতো।’
এই ঘটনা চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে, যা দেখিয়েছে যে, অনেক সময় ছোটখাটো বিষয়গুলোকেও অবহেলা করা উচিত নয়, কারণ সেগুলো ভবিষ্যতে বড় সমস্যার রূপ নিতে পারে।
মাত্র পাঁচ বছর বয়সে কলমের মাথা গিলে ফেলেছিলেন ভারতের এক শিশু। সেটি দীর্ঘ ২১ বছর আটকে ছিল তাঁর ফুসফুসে। অবশেষে, শ্বাসযন্ত্রের জটিলতা ও শারীরিক অন্যান্য সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তা অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এক ব্যক্তির ফুসফুস থেকে কলমের মাথা অপসারণ করেছেন। এই মাথাটি তিনি দুর্ঘটনাবশত ২১ বছর আগে গিলে ফেলেছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে অজান্তেই তাঁর শরীরের ভেতরে রয়ে যাওয়া এই বস্তু ধীরে ধীরে তাঁর শ্বাসযন্ত্রে জটিলতা সৃষ্টি করছিল।
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের করিমনগরের বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী ওই যুবক সম্প্রতি অনবরত কাশি ও ওজন কমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রাথমিকভাবে তিনি বিষয়টিকে সাধারণ অসুস্থতা ভেবে গুরুত্ব দেননি। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর কাশি বাড়তে থাকে এবং ওজনও অস্বাভাবিক হারে হ্রাস পেতে থাকে। পরে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
কেআইএমএস হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল পালমোনোলজিস্ট ডা. শুভাকর নাদেলার মতে, রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। বিশেষ করে, গত ১০ দিনের মধ্যে তাঁর শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে, যার ফলে তার স্বাভাবিকভাবে ঘুমাতেও সমস্যা হচ্ছিল। চিকিৎসকেরা দ্রুতই বুঝতে পারেন যে, তার শ্বাসযন্ত্রে কোনো গুরুতর সমস্যা রয়েছে।
রোগীর ফুসফুসের অস্বাভাবিক অবস্থা শনাক্ত করতে চিকিৎসকেরা তাঁর সিটি স্ক্যান করেন। স্ক্যান রিপোর্টে দেখা যায়, তাঁর ফুসফুসের একটি নির্দিষ্ট অংশে গুটি সদৃশ একটি বস্তু আছে। প্রথমে চিকিৎসকেরা ধারণা করেছিলেন, এটি হয়তো কোনো বাধার সৃষ্টি করেছে, যার ফলে রোগী দীর্ঘদিন ধরে কাশিতে ভুগছিলেন।
তবে, যখন চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গভীরে পর্যবেক্ষণ করে আশ্চর্যজনকভাবে আবিষ্কার করেন যে, বস্তুটি আসলে একটি কলমের মাথা, যা তাঁর শ্বাসনালিতে আটকে ছিল।
এই তথ্য জানার পর চিকিৎসকেরা রোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর বড় ভাই তখন পুরোনো একটি ঘটনা মনে করে বলেন, যখন রোগী মাত্র পাঁচ বছর বয়সী ছিল, তখন সে খেলার সময় দুর্ঘটনাবশত একটি কলমের মাথা গিলে ফেলে। সেই সময় তাঁকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়েছিল। তবে পরীক্ষা করার পর কিছুই পাওয়া না যাওয়ায় চিকিৎসক মনে করেছিলেন, বস্তুটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীর থেকে বের হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবে সেটি তাঁর শ্বাসনালির একটা অংশে আটকে ছিল এবং ২১ বছর ধরে ধীরে ধীরে ফুসফুসের এক অংশের ক্ষতি করছিল।
চিকিৎসকেরা রোগীর ফুসফুস থেকে কলমের মাথাটি সরানোর জন্য একটি জটিল অস্ত্রোপচার করেন, যা প্রায় তিন ঘণ্টা সময় নেয়। তাঁরা একটি নমনীয় ব্রঙ্কোস্কোপির সাহায্যে মাথাটির চারপাশে জমে থাকা টিস্যু, লসিকা গ্রন্থি এবং পেশির গঠন ধাপে ধাপে সরিয়ে ফেলেন। এত বছর ধরে ঢাকনাটি সেখানে আটকে থাকার ফলে চারপাশের কোষ ও টিস্যু শক্ত হয়ে গিয়েছিল এবং ফুসফুসের কিছু অংশে প্রদাহ তৈরি করেছিল।
চিকিৎসকদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কোনো রকম ক্ষতি না করে ঢাকনাটি বের করা। তারা ধাপে ধাপে ফুসফুসের ভেতরের প্রতিবন্ধকতাগুলো অপসারণ করেন এবং অবশেষে সফলভাবে কলমের ঢাকনাটি বের করতে সক্ষম হন।
দীর্ঘ ২১ বছর ধরে একটি বস্তু আটকে থাকার কারণে রোগীর ফুসফুসের ক্ষতি হয়েছিল, তবে চিকিৎসকেরা অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা ও অন্যান্য ওষুধের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হন। অস্ত্রোপচারের পর রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং বর্তমানে তিনি পুরোপুরি সুস্থ।
ডা. শুভাকর নাদেলা এই ঘটনার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘শরীরের ভেতরে দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে কোনো বস্তু থাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক। যদি রোগী আরও কয়েক বছর চিকিৎসা না করতেন, তাহলে তাঁর ফুসফুসের টিস্যু পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেত এবং আক্রান্ত অংশটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে বাদ দিতে হতো।’
এই ঘটনা চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে, যা দেখিয়েছে যে, অনেক সময় ছোটখাটো বিষয়গুলোকেও অবহেলা করা উচিত নয়, কারণ সেগুলো ভবিষ্যতে বড় সমস্যার রূপ নিতে পারে।
নৌকাটির বেশির ভাগ যাত্রীই রাজধানী হ্যানয় থেকে আসা ভিয়েতনামী পরিবারের বলে জানা গেছে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাত উদ্ধার অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করছে। তবে, এখন পর্যন্ত ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ সংগঠনটির সদস্যপদ বা সমর্থন এখন একটি ফৌজদারি অপরাধ। সন্ত্রাসবাদ আইন, ২০০০-এর অধীনে এ জন্য ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগেভারত ও বাংলাদেশের আপত্তি উপেক্ষা করে আঞ্চলিক অভিন্ন নদ ব্রহ্মপুত্রের উজানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চীন। আজ শনিবার তিব্বতের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত এই নদে বিশাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং। বার্তা সংস্থা এএফপি এসব তথ্য জানিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ব্যস্ত একটি নাইট ক্লাবের বাইরে অপেক্ষারত মানুষের ভিড়ের ওপর গাড়ি উঠে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। শহরের ফায়ার ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, শনিবার (১৯ জুলাই) স্থানীয় সময় রাত দুইটার দিকে সান্তা মনিকা শহরের প্রশস্ত সড়কের পাশে
১০ ঘণ্টা আগে