ঘুষের মামলায় মামলায় ভারতের কেন্দ্রীয় সংসদের এমপি ও রাজ্য বিধায়কদের আর ইমিউনিটি বা রেহাই মিলবে না। আজ সোমবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ধনঞ্জয় যশোবন্ত (ডিওয়াই) চন্দ্রচূড়ে নেতৃত্বে ৭ বিচারকের বেঞ্চ এই রায় দেন। ভারতীয় সম্প্রচার মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।
ঘুষ নিয়ে কারও পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দিলে বা বক্তৃতা দিলেও বিধায়করা বিচারের মুখে পড়া থেকে রেহাই পাবেন বলে ১৯৯৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ একটি রায় দিয়েছিলেন। প্রায় ২৬ বছর আগের সেই রায়কে বাতিল ঘোষণা করে নতুন এই রায় দিল সর্বোচ্চ আদালত।
সেই রায়ের পর্যালোচনায় সুপ্রিম কোর্ট আজকের রায়ে বলেছেন, ঘুষ নিয়ে সংসদে ভোট দিলে বা বক্তৃতা দিলেও সংসদীয় বিশেষাধিকারের নীতি দ্বারা সুরক্ষিত বলে যে ব্যাখ্যা দিয়েছি তখনকার আদালত, তা সংবিধানের ১০৫ ও ১৯৪ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
ভারতের প্রধান বিচারপতি তাঁর রায়ে বলেন, ‘আমরা এতদ্বসংক্রান্ত বিষয়ে পিভি নরসিমা রাওয়ের মামলার রায়কে গ্রহণ করছি না। সেই রায়ে ঘুষ নিয়ে বক্তৃতা বা ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধায়কদের রেহাই দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়ের ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ছিল, তাই এ রায় বাতিল ঘোষণা করা হলো।’
১৯৯১ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পিভি নরসিমা রাওয়ের নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস সরকার। ১৯৯৩ সালে সংসদে বিরোধী দল সরকারকে দেশ চালানোর অযোগ্য বলে দাবি করে এবং অনাস্থা প্রস্তাব আনে। সেই প্রস্তাবে নরসিমা রাওয়ের সরকারের পক্ষে ভোট পড়ে ২৬৫ ও বিপক্ষে ২৫১ ভোট পড়ে এবং অল্পের জন্য বেঁচে যায় সরকার।
ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়কেরা ঘুষ নিয়ে সরকারের পক্ষে ভোট দিয়েছে বলে এক বছর পর নরসিমা রাওয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে। এরপর এই বিষয়ে একটি মামলা হয়। এর তদন্তের ভার পায় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো। এই তদন্তের বিরুদ্ধে আপিল করলেও হাইকোর্টের রায় বিধায়কদের বিপক্ষে যায়।কিন্তু ১৯৯৮ সালে প্রধান বিচারপতি এসপি ভারুচা নেতৃত্বে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে বিধায়কদের রেহাই দেন।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজকের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, ‘আমরা বলছি যে, সংসদীয় বিশেষাধিকারের আওতার মধ্যে ঘুষ পড়ে না। বিধায়কদের দুর্নীতি ও ঘুষ নেওয়া সংসদের গণতান্ত্রিক কার্যকারিতা নষ্ট করে দিচ্ছে। রাজ্যসভার নির্বাচনে কোনো এমএলএর ভোটের জন্য ঘুষ নেওয়াও দুর্নীতি দমন আইনের দণ্ডনীয়।’
প্রধান বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘নরসিমা রাও মামলার রায় এক ধরনের দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতির জন্ম দেয়। যেখানে আইনপ্রণেতা ঘুষ খেয়ে সংসদে ভোট দিলে রেহাই পাবেন। কিন্তু ঘুষ নিয়ে ভোট না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হবে।’
ঘুষের মামলায় মামলায় ভারতের কেন্দ্রীয় সংসদের এমপি ও রাজ্য বিধায়কদের আর ইমিউনিটি বা রেহাই মিলবে না। আজ সোমবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ধনঞ্জয় যশোবন্ত (ডিওয়াই) চন্দ্রচূড়ে নেতৃত্বে ৭ বিচারকের বেঞ্চ এই রায় দেন। ভারতীয় সম্প্রচার মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।
ঘুষ নিয়ে কারও পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দিলে বা বক্তৃতা দিলেও বিধায়করা বিচারের মুখে পড়া থেকে রেহাই পাবেন বলে ১৯৯৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ একটি রায় দিয়েছিলেন। প্রায় ২৬ বছর আগের সেই রায়কে বাতিল ঘোষণা করে নতুন এই রায় দিল সর্বোচ্চ আদালত।
সেই রায়ের পর্যালোচনায় সুপ্রিম কোর্ট আজকের রায়ে বলেছেন, ঘুষ নিয়ে সংসদে ভোট দিলে বা বক্তৃতা দিলেও সংসদীয় বিশেষাধিকারের নীতি দ্বারা সুরক্ষিত বলে যে ব্যাখ্যা দিয়েছি তখনকার আদালত, তা সংবিধানের ১০৫ ও ১৯৪ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
ভারতের প্রধান বিচারপতি তাঁর রায়ে বলেন, ‘আমরা এতদ্বসংক্রান্ত বিষয়ে পিভি নরসিমা রাওয়ের মামলার রায়কে গ্রহণ করছি না। সেই রায়ে ঘুষ নিয়ে বক্তৃতা বা ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধায়কদের রেহাই দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়ের ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ছিল, তাই এ রায় বাতিল ঘোষণা করা হলো।’
১৯৯১ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পিভি নরসিমা রাওয়ের নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস সরকার। ১৯৯৩ সালে সংসদে বিরোধী দল সরকারকে দেশ চালানোর অযোগ্য বলে দাবি করে এবং অনাস্থা প্রস্তাব আনে। সেই প্রস্তাবে নরসিমা রাওয়ের সরকারের পক্ষে ভোট পড়ে ২৬৫ ও বিপক্ষে ২৫১ ভোট পড়ে এবং অল্পের জন্য বেঁচে যায় সরকার।
ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়কেরা ঘুষ নিয়ে সরকারের পক্ষে ভোট দিয়েছে বলে এক বছর পর নরসিমা রাওয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে। এরপর এই বিষয়ে একটি মামলা হয়। এর তদন্তের ভার পায় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো। এই তদন্তের বিরুদ্ধে আপিল করলেও হাইকোর্টের রায় বিধায়কদের বিপক্ষে যায়।কিন্তু ১৯৯৮ সালে প্রধান বিচারপতি এসপি ভারুচা নেতৃত্বে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে বিধায়কদের রেহাই দেন।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজকের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, ‘আমরা বলছি যে, সংসদীয় বিশেষাধিকারের আওতার মধ্যে ঘুষ পড়ে না। বিধায়কদের দুর্নীতি ও ঘুষ নেওয়া সংসদের গণতান্ত্রিক কার্যকারিতা নষ্ট করে দিচ্ছে। রাজ্যসভার নির্বাচনে কোনো এমএলএর ভোটের জন্য ঘুষ নেওয়াও দুর্নীতি দমন আইনের দণ্ডনীয়।’
প্রধান বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘নরসিমা রাও মামলার রায় এক ধরনের দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতির জন্ম দেয়। যেখানে আইনপ্রণেতা ঘুষ খেয়ে সংসদে ভোট দিলে রেহাই পাবেন। কিন্তু ঘুষ নিয়ে ভোট না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হবে।’
এই বিরোধ তীব্র হয় ২০০৮ সালে। কম্বোডিয়া বিতর্কিত এলাকার ১১ শতকের একটি মন্দিরকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নিবন্ধন করার চেষ্টা করলে থাইল্যান্ডের তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়ে। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে অনেকবার সংঘর্ষ হয়েছে, যেখানে উভয় পক্ষের সৈনিক ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
২৫ মিনিট আগেথাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘর্ষ আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নতুন এক উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। আসিয়ান সংগঠনটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্রুত বিকাশমান অঞ্চলে অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এই অঞ্চলটিতে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীন প্রভাব...
৩৬ মিনিট আগেথাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জনই বেসামরিক নাগরিক এবং একজন সেনাসদস্য।
২ ঘণ্টা আগেঅবৈধভাবে ইরানে প্রবেশের চেষ্টাকালে পাকিস্তান-ইরান সীমান্ত থেকে ৩৩ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফআইএ) এবং ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফসি)। গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) তাফরানের কাছে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগে