সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই ঘোষণার পরপরই ভারতে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পণ্য বর্জনের ডাক উঠেছে। ম্যাকডোনাল্ডস, কোকা-কোলা, আমাজন ও অ্যাপলের মতো ব্র্যান্ডগুলো এখন অনলাইন-অফলাইনে (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমর্থক ও ব্যবসায়ীরা এই শুল্কের প্রতিবাদে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের আহ্বান জানাচ্ছেন। ওয়াও স্কিন সায়েন্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মণীশ চৌধুরী লিঙ্কডইনে একটি ভিডিও বার্তায় কৃষকদের এবং স্থানীয় স্টার্টআপগুলোকে সমর্থন করার অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পণ্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ টেনে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া যেভাবে খাদ্য ও প্রসাধনসামগ্রী দিয়ে বিশ্ববাজার দখল করেছে, ভারতকেও সেই পথ অনুসরণ করতে হবে।
একইভাবে ড্রাইভইউ (গাড়ির চালক সরবরাহকারী) নামক একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী রাহম শাস্ত্রী লিঙ্কডইনে লিখেছেন, চীনের মতো ভারতেরও নিজস্ব টুইটার, গুগল, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্ম থাকা উচিত।
যদিও এই মুহূর্তে মার্কিন পণ্য বর্জনের ফলে বিক্রি কমে যাওয়ার কোনো সুস্পষ্ট লক্ষণ নেই, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং বিভিন্ন ফোরামে ‘মার্কিন পণ্য বর্জন করে দেশীয় পণ্য কিনুন’—এই ধরনের প্রচার ক্রমে বাড়ছে। এ বিষয়ে জানতে ম্যাকডোনাল্ডস, কোকা-কোলা, আমাজন ও অ্যাপল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা কোনো উত্তর দেয়নি।
এদিকে রোববার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নাম উল্লেখ করে বলেন, ভারতীয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বিশ্বজুড়ে পণ্য তৈরি করছে। কিন্তু এখন সময় এসেছে ভারতের নিজস্ব চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার। তিনি আত্মনির্ভর ভারত গড়ার জন্য একটি ‘বিশেষ আবেদন’ জানান।
এ আগে গত শনিবার (২ আগস্ট) নিজের নির্বাচনী এলাকা বারাণসীতে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘ভারতকে তার অর্থনৈতিক অগ্রাধিকারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের প্রত্যেক নাগরিকের স্বদেশি পণ্য কেনার সংকল্প করা উচিত।’
মোদি আরও বলেন, ‘আজ বিশ্ব অর্থনীতি অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অনিশ্চয়তার একটি পরিবেশ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব স্বার্থের দিকে মনোনিবেশ করছে। ভারতও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে চলেছে এবং তাই তার অর্থনৈতিক স্বার্থের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের কৃষক, আমাদের শিল্প, আমাদের তরুণদের কর্মসংস্থান, তাদের স্বার্থ—এসবই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এই দিকে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।’
তবে বিদেশি পণ্য বর্জনের আহ্বানের মধ্যেও নিউ দিল্লিতে টেসলা তাদের দ্বিতীয় শোরুম চালু করেছে। এ সময় ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে মোদির দল বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কিত ‘স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন মার্কিন ব্র্যান্ডগুলো বর্জন করার জন্য দেশব্যাপী ছোট ছোট সমাবেশ করেছে।
সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই ঘোষণার পরপরই ভারতে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পণ্য বর্জনের ডাক উঠেছে। ম্যাকডোনাল্ডস, কোকা-কোলা, আমাজন ও অ্যাপলের মতো ব্র্যান্ডগুলো এখন অনলাইন-অফলাইনে (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমর্থক ও ব্যবসায়ীরা এই শুল্কের প্রতিবাদে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের আহ্বান জানাচ্ছেন। ওয়াও স্কিন সায়েন্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মণীশ চৌধুরী লিঙ্কডইনে একটি ভিডিও বার্তায় কৃষকদের এবং স্থানীয় স্টার্টআপগুলোকে সমর্থন করার অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ পণ্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ টেনে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া যেভাবে খাদ্য ও প্রসাধনসামগ্রী দিয়ে বিশ্ববাজার দখল করেছে, ভারতকেও সেই পথ অনুসরণ করতে হবে।
একইভাবে ড্রাইভইউ (গাড়ির চালক সরবরাহকারী) নামক একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী রাহম শাস্ত্রী লিঙ্কডইনে লিখেছেন, চীনের মতো ভারতেরও নিজস্ব টুইটার, গুগল, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্ম থাকা উচিত।
যদিও এই মুহূর্তে মার্কিন পণ্য বর্জনের ফলে বিক্রি কমে যাওয়ার কোনো সুস্পষ্ট লক্ষণ নেই, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং বিভিন্ন ফোরামে ‘মার্কিন পণ্য বর্জন করে দেশীয় পণ্য কিনুন’—এই ধরনের প্রচার ক্রমে বাড়ছে। এ বিষয়ে জানতে ম্যাকডোনাল্ডস, কোকা-কোলা, আমাজন ও অ্যাপল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা কোনো উত্তর দেয়নি।
এদিকে রোববার বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নাম উল্লেখ করে বলেন, ভারতীয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বিশ্বজুড়ে পণ্য তৈরি করছে। কিন্তু এখন সময় এসেছে ভারতের নিজস্ব চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার। তিনি আত্মনির্ভর ভারত গড়ার জন্য একটি ‘বিশেষ আবেদন’ জানান।
এ আগে গত শনিবার (২ আগস্ট) নিজের নির্বাচনী এলাকা বারাণসীতে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘ভারতকে তার অর্থনৈতিক অগ্রাধিকারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের প্রত্যেক নাগরিকের স্বদেশি পণ্য কেনার সংকল্প করা উচিত।’
মোদি আরও বলেন, ‘আজ বিশ্ব অর্থনীতি অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অনিশ্চয়তার একটি পরিবেশ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব স্বার্থের দিকে মনোনিবেশ করছে। ভারতও বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে চলেছে এবং তাই তার অর্থনৈতিক স্বার্থের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের কৃষক, আমাদের শিল্প, আমাদের তরুণদের কর্মসংস্থান, তাদের স্বার্থ—এসবই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এই দিকে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।’
তবে বিদেশি পণ্য বর্জনের আহ্বানের মধ্যেও নিউ দিল্লিতে টেসলা তাদের দ্বিতীয় শোরুম চালু করেছে। এ সময় ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে মোদির দল বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কিত ‘স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন মার্কিন ব্র্যান্ডগুলো বর্জন করার জন্য দেশব্যাপী ছোট ছোট সমাবেশ করেছে।
গাজার প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইহুদি বিদ্বেষী স্লোগান দেওয়া এক শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। স্যামুয়েল উইলিয়ামস নামের ওই ছাত্র দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিষয়ে পড়ছেন।
২ ঘণ্টা আগেগাজার বেসামরিক মানুষের ওপর সহিংসতা বন্ধ করে হামাসকে অবিলম্বে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য কমান্ড (সেন্টকম)। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে সেন্টকমের প্রধান কমান্ডার ব্র্যাড কুপার বলেন, হামাস যেন দেরি না করে গাজার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো ও সহিংসতা বন্ধ করে।
২ ঘণ্টা আগেআসাদের সরকার ২০১২ সালের দিকে কুতাইফা এলাকায় মরদেহ দাফন শুরু করে। সেখানে সেনা, বন্দী ও কারাগারে নিহত ব্যক্তিদের লাশ ফেলা হতো। ২০১৪ সালে এক মানবাধিকারকর্মী স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ছবি প্রকাশের মাধ্যমে ওই গণকবরের অস্তিত্ব প্রকাশ করেন। রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, পরে ওই স্থান পুরোপুরি খালি করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি সেনা (আইডিএফ) গাজা থেকে সরে যাওয়ার পর সেখানে আবারও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠেছে হামাস। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা গাজার বিভিন্ন ‘গোত্র’ বা পারিবারিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর কঠোর অভিযান চালাচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে