Ajker Patrika

দিওয়ালির বিদায়বেলায় ভারতের গ্রামে গোবর উৎসব

দিওয়ালির বিদায়বেলায় ভারতের গ্রামে গোবর উৎসব

দিওয়ালির বিদায় মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে অভিনব উৎসব করলেন ভারতের একটি গ্রামের মানুষ। গতকাল শনিবার তাঁরা দল বেঁধে গরুর গোবরে মাখামাখি করলেন। শিশুরা একে অপরের প্রতি গোবর ছুড়ে আনন্দ করল। 

তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক সীমান্তবর্তী গ্রাম গুমাতাপুরা। এই গ্রামেরই ঐতিহ্যবাহী উৎসব ‘গোরেহাব্বা’। কয়েকশ বছর ধরে দিওয়ালির (দীপাবলি) সময় এই উৎসব করে আসছেন তাঁরা। 

এটি স্পেনের ‘লা তোমাতিনা’ উৎসবের মতোই। লা তোমাতিনা উৎসবে স্পেনের মানুষেরা একে অপরের প্রতি পাকা টমেটো ছুড়ে মারেন। আর গুমাতাপুরা গ্রামের মানুষেরা ছোড়াছুড়ি করেন তুষার বলের আকারের গোবরের বল। 

দিওয়ালির শেষ দিন গোরেহাব্বা উৎসব করে থাকেন গ্রামের মানুষেরাশনিবার বিকেলে গ্রামের মানুষেরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে গোবর সংগ্রহ করেন। এরপর ট্রাক্টরে করে সেই গোবর আনা হয় গ্রামের মন্দির প্রাঙ্গণে। একজন পুরোহিত গ্রামের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করার পর ট্রাক থেকে গোবরগুলো একটা স্থানে ফেলা হয়। 

এরপর পুরুষেরা সেই গোবরের স্তূপে চড়েন এবং একে অপরের দিকে গোবরের বল ছুড়ে মারেন। 

তামিলনাড়ুর এই গ্রামে কয়েক শ বছরের ঐতিহ্য গোরেহাব্বাএই উৎসব দেখতে প্রতি বছর এই দিনে দূর দুরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ গুমাতাপুরা গ্রামে জড়ো হয়। তাঁরা বিশ্বাস করেন, এভাবে গোবর ছোড়াছুড়িতে স্বাস্থ্যের অনেক উপকার হয়। 

স্থানীয় কৃষক মহেশ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এভাবে গোবর মাখলে শরীরের সব রোগ দূর হয়। 

২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যেও এই উৎসব করেছেন গুমাতাপুরা গ্রামের মানুষকোভিড মহামারির মধ্যেও ২০২০ সালে এই গ্রামে গোরেহাব্বা উৎসব করেছেন তাঁরা। স্থানীয় প্রশাসনও অনুমতি দিয়েছে। তবে লোকসংখ্যা কম ছিল। 

হিন্দু ধর্মে গরু জীবন ও ব্রহ্মাণ্ডের পবিত্র প্রতীক। শত শত বছর ধরে হিন্দুরা বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গরুর গোবর ব্যবহার করে আসছেন। বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গোরক্ষায় বিশেষ জোর দিয়েছেন। বেশ কয়েকটি রাজ্যে গোহত্যা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত