
বিহারের প্রকৌশলী রাজেশ কুমার দুই বছর আগে এক ব্যাংকের পরামর্শে তাঁর পুরো সঞ্চয় মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার ও বন্ডে বিনিয়োগ করেন। ভারতের শেয়ারবাজার যখন চাঙা ছিল, তখন তিনিও লাখ লাখ ভারতীয়ের মতো বাজারে বিনিয়োগ করেন। ছয় বছর আগেও ভারতে প্রতি ১৪টি পরিবারের মধ্যে মাত্র একটি পরিবার শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করত। বাজার চাঙা হলে সেই সংখ্যা বেড়ে এখন পাঁচটিতে উন্নীত হয়েছে।
কিন্তু সেই পোয়াবারো পরিস্থিতি এখন আর নেই। ছয় মাস ধরে ভারতের শেয়ারবাজারে পতনের ধারা চলছে, বিনিয়োগকারীরা হাজার হাজার কোটি রুপি বাজারে খুইয়েছেন। এর পেছনে বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে চীনের সরিয়ে নেওয়া, অতিমূল্যায়িত শেয়ার ও দুর্বল মুনাফাকে কারণ হিসেবে দায়ী করেন বিশ্লেষকেরা। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের শেয়ারবাজার থেকে প্রায় ৯০০ বিলিয়ন ডলার মূলধন কমেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির ঘোষণার আগেই শুরু হওয়া পতনের ধারা পরে আরও ত্বরান্বিত হয়েছে।
ভারতের শীর্ষ ৫০টি কোম্পানির সূচক ‘নিফটি-৫০’ টানা পাঁচ মাস ধরে কমেছে, যা গত ২৯ বছরে দীর্ঘস্থায়ী পতন। শেয়ার ব্রোকারদের মতে, লেনদেনের পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এ বিষয়ে রাজেশ কুমার বলেন, ‘ছয় মাসের বেশি সময় ধরে আমার বিনিয়োগ ক্ষতির মুখে আছে। গত এক দশকে এত বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি।’
রাজেশ তাঁর সঞ্চয়ের বেশির ভাগই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন, ফলে ব্যাংকে এখন খুব সামান্য টাকা আছে। আগামী জুলাইয়ে তাঁর ছেলের মেডিকেল কলেজে ১৮ লাখ রুপি ফি দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে তিনি চিন্তিত, কারণ টাকা বের করে আনার জন্য লোকসানে শেয়ার বিক্রি করতে হবে। তাঁর আশা, ‘বাজারের উন্নতি হলে কিছু টাকা আবার ব্যাংকে রাখার কথা ভাবছি।’

রাজেশের উদ্বেগের মধ্যে ফুটে উঠেছে ভারতীয় মধ্যবিত্তদের বাস্তবতা। ভারতীয় মধ্যবিত্তের বড় অংশই অর্থনৈতিক বিপ্লবের অংশ হিসেবে শেয়ারবাজারে ঢুকেছিলেন। বিনিয়োগের অন্যতম জনপ্রিয় উপায় ‘সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান’ (এসআইপি) গত পাঁচ বছর তিন গুণ বেড়ে ১০ কোটিরও বেশি বিনিয়োগকারীতে পৌঁছেছে। প্রথমবারের বিনিয়োগকারীদের অনেকেই ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের ‘ফিনফ্লুয়েন্সারদের’ (আর্থিক প্রভাবক) দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন; কিন্তু ঝুঁকি সম্পর্কে সেভাবে সচেতন নন।
তারুণ সরকার নামের এক সাবেক বিপণন ব্যবস্থাপক তাঁর প্রভিডেন্ট ফান্ডের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর তিনি অবসরকালের জন্য নিরাপদ বিনিয়োগ খুঁজছিলেন। শেয়ারবাজারে অতীতের ক্ষতির অভিজ্ঞতা থাকায়, এবার একজন পরামর্শকের সহায়তায় তিনি মিউচুয়াল ফান্ড বেছে নেন।
তরুণ সরকার বলেন, ‘আমি আমার ৮০ শতাংশ সঞ্চয় মিউচুয়াল ফান্ডে রেখেছি, আর মাত্র ২০ শতাংশ ব্যাংকে। এখন আমার পরামর্শক আমাকে সতর্ক করে বলেছেন, হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে চাইলে আগামী ছয় মাস বিনিয়োগের দিকে তাকাবেন না।’
তারুণ সরকার সন্দিহান, তাঁর প্রভিডেন্ট ফান্ডের পুরো টাকা শেয়ারবাজারে দেওয়া ঠিক হয়েছে কি না। তিনি মজা করে বলেন, ‘আমি একসঙ্গে অজ্ঞ ও আত্মবিশ্বাসী। অজ্ঞ এ কারণে যে, আমি বুঝতেই পারছি না বাজার কীভাবে চলছে, আবার আত্মবিশ্বাসী এ কারণে, ইনস্টাগ্রামের বিশেষজ্ঞরা বিনিয়োগকে মিলিয়নেয়ার হওয়ার শর্টকাট হিসাবে দেখাচ্ছেন। কিন্তু একই সঙ্গে এটাও জানি, হয়তো প্রতারণা আর বিভ্রমের জালে আটকে গেছি।’
টিভির প্রচারণা ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথাবার্তায় তরুণ সরকার শেয়ারবাজারের প্রতি আকৃষ্ট হন। তিনি বলেন, ‘টিভি উপস্থাপকেরা বাজার নিয়ে আশাবাদী কথা বলেন, আর আমার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের লোকেরা তাদের লাভের গল্প শোনায়।’
তরুণ সরকার জানান, তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে কিশোর-কিশোরীরা পর্যন্ত বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করে। তিনি বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন খেলার সময় এক কিশোর আমাকে এক টেলিকম কোম্পানির শেয়ারের হট টিপ দিয়েছিল। যখন চারপাশে এসব শুনি, তখন মনে হয় আমিও চেষ্টা করে দেখি না কেন? তাই করলাম, আর তারপরই বাজার ধসে পড়ল।’
তবে তিনি এখনো আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘আমি হাত গুটিয়ে রেখেছি আপাতত। আমি নিশ্চিত, বাজার ঘুরে দাঁড়াবে, আর আমার ফান্ড আবার লাভের মুখ দেখবে।’
অনেকেই আরও বড় ঝুঁকি নিয়ে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। রমেশ (ছদ্মনাম) নামের ভারতের একটি ছোট শহরের একজন হিসাবরক্ষক মহামারির সময় ঋণ নিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন। ইউটিউবের প্রভাবকদের কথায় প্রভাবিত হয়ে তিনি ঝুঁকিপূর্ণ ‘পেনি স্টক ও ডেরিভেটিভসে’ বিনিয়োগ করেন। এ মাসে, ১ হাজার ৮০০ ডলার (যা তাঁর এক বছরের বেতনের বেশি) লোকসানের পর, তিনি ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ধার করা টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম, আর এখন পাওনাদারেরা আমার পেছনে লেগেছেন।’
রমেশ সেই ১ কোটি ১০ লাখ ভারতীয়ের একজন, যাঁরা ফিউচার ও অপশন ট্রেডে সম্মিলিতভাবে ২০ বিলিয়ন ডলার হারানোর পর নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপের শিকার হয়েছেন। আর্থিক পরামর্শক সমীর দোশি বলেন, ‘এই পতন কোভিড মহামারির সময়কার বিপর্যয়ের মতো নয়। তখন আমাদের পুনরুদ্ধারের একটি স্পষ্ট পথ ছিল, কারণ ভ্যাকসিন আসছিল। কিন্তু এখন ট্রাম্প ফ্যাক্টরের কারণে প্রবল অনিশ্চয়তা—আমরা জানিই না, সামনে কী অপেক্ষা করছে।’
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, কম খরচের ব্রোকারেজ ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ বিনিয়োগকে আরও সহজলভ্য করেছে। স্মার্টফোন ও অ্যাপের মাধ্যমে বাজারে ঢোকা এখন অনেক সহজ হয়েছে। তবে নতুন বিনিয়োগকারীদের বাস্তবতা বুঝতে হবে।
আর্থিক শিক্ষাবিদ মোনিকা হালান বলেন, ‘শেয়ারবাজার কোনো জুয়ার আসর নয়। আপনাকে প্রত্যাশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শুধু সেই অর্থই শেয়ারে বিনিয়োগ করুন, যা অন্তত আগামী সাত বছরে আপনার প্রয়োজন হবে না। ঝুঁকি নিলে বোঝার চেষ্টা করুন—কতটা হারাতে পারেন? সে ক্ষতি সহ্য করার সামর্থ্য আছে তো?’
শেয়ারবাজারের এই পতন ভারতের মধ্যবিত্তের জন্য এমন এক কঠিন সময়ে এল, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর, মজুরি স্থবির, বেসরকারি বিনিয়োগ শ্লথ, আর চাকরির সুযোগ কমছে। অনেক বিনিয়োগকারী এখন অপ্রত্যাশিত ক্ষতির মুখে। বাজার বিশ্লেষক অনিন্দ্য চক্রবর্তী বলেন, ‘সাধারণ সময়ে, চাকরিজীবীরা নিয়মিত আয়ের কারণে সাময়িক লোকসান সহ্য করতে পারেন। কিন্তু এখন মধ্যবিত্তের জন্য এক বিশাল অর্থনৈতিক সংকট চলছে। একদিকে চাকরির সুযোগ কমছে, বেতন বৃদ্ধি নেই, অন্যদিকে বাজারের পতন তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা নাড়িয়ে দিয়েছে।’
বিনিয়োগ পরামর্শক জয়দীপ মারাঠে মনে করেন, আরও ৬-৮ মাস যদি বাজার অস্থির থাকে, তাহলে অনেক বিনিয়োগকারী নিরাপদ ব্যাংক আমানতে ফিরে যাবেন। তবে আশার আলোও আছে। বাজার বিশেষজ্ঞ অজয় বাগ্গা বলেন, ফেব্রুয়ারির পর থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি কমেছে, অর্থাৎ তাঁরা শেয়ারবাজারে মূলধন রাখছেন, যা বাজার পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এই পতন হয়তো নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য এক কঠিন শিক্ষা হয়ে থাকবে। মোনিকা হালান বলেন, ‘যারা মাত্র তিন বছর ধরে বাজারে আছেন, তাঁরা ২৫ শতাংশ লাভকে স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন—এটা বাস্তব নয়। যদি বাজার না বোঝেন, তাহলে ব্যাংকের আমানত ও স্বর্ণেই থাকুন। অন্তত নিয়ন্ত্রণ থাকবে।’

বিহারের প্রকৌশলী রাজেশ কুমার দুই বছর আগে এক ব্যাংকের পরামর্শে তাঁর পুরো সঞ্চয় মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার ও বন্ডে বিনিয়োগ করেন। ভারতের শেয়ারবাজার যখন চাঙা ছিল, তখন তিনিও লাখ লাখ ভারতীয়ের মতো বাজারে বিনিয়োগ করেন। ছয় বছর আগেও ভারতে প্রতি ১৪টি পরিবারের মধ্যে মাত্র একটি পরিবার শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করত। বাজার চাঙা হলে সেই সংখ্যা বেড়ে এখন পাঁচটিতে উন্নীত হয়েছে।
কিন্তু সেই পোয়াবারো পরিস্থিতি এখন আর নেই। ছয় মাস ধরে ভারতের শেয়ারবাজারে পতনের ধারা চলছে, বিনিয়োগকারীরা হাজার হাজার কোটি রুপি বাজারে খুইয়েছেন। এর পেছনে বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে চীনের সরিয়ে নেওয়া, অতিমূল্যায়িত শেয়ার ও দুর্বল মুনাফাকে কারণ হিসেবে দায়ী করেন বিশ্লেষকেরা। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের শেয়ারবাজার থেকে প্রায় ৯০০ বিলিয়ন ডলার মূলধন কমেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির ঘোষণার আগেই শুরু হওয়া পতনের ধারা পরে আরও ত্বরান্বিত হয়েছে।
ভারতের শীর্ষ ৫০টি কোম্পানির সূচক ‘নিফটি-৫০’ টানা পাঁচ মাস ধরে কমেছে, যা গত ২৯ বছরে দীর্ঘস্থায়ী পতন। শেয়ার ব্রোকারদের মতে, লেনদেনের পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এ বিষয়ে রাজেশ কুমার বলেন, ‘ছয় মাসের বেশি সময় ধরে আমার বিনিয়োগ ক্ষতির মুখে আছে। গত এক দশকে এত বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি।’
রাজেশ তাঁর সঞ্চয়ের বেশির ভাগই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন, ফলে ব্যাংকে এখন খুব সামান্য টাকা আছে। আগামী জুলাইয়ে তাঁর ছেলের মেডিকেল কলেজে ১৮ লাখ রুপি ফি দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে তিনি চিন্তিত, কারণ টাকা বের করে আনার জন্য লোকসানে শেয়ার বিক্রি করতে হবে। তাঁর আশা, ‘বাজারের উন্নতি হলে কিছু টাকা আবার ব্যাংকে রাখার কথা ভাবছি।’

রাজেশের উদ্বেগের মধ্যে ফুটে উঠেছে ভারতীয় মধ্যবিত্তদের বাস্তবতা। ভারতীয় মধ্যবিত্তের বড় অংশই অর্থনৈতিক বিপ্লবের অংশ হিসেবে শেয়ারবাজারে ঢুকেছিলেন। বিনিয়োগের অন্যতম জনপ্রিয় উপায় ‘সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান’ (এসআইপি) গত পাঁচ বছর তিন গুণ বেড়ে ১০ কোটিরও বেশি বিনিয়োগকারীতে পৌঁছেছে। প্রথমবারের বিনিয়োগকারীদের অনেকেই ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবের ‘ফিনফ্লুয়েন্সারদের’ (আর্থিক প্রভাবক) দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন; কিন্তু ঝুঁকি সম্পর্কে সেভাবে সচেতন নন।
তারুণ সরকার নামের এক সাবেক বিপণন ব্যবস্থাপক তাঁর প্রভিডেন্ট ফান্ডের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর তিনি অবসরকালের জন্য নিরাপদ বিনিয়োগ খুঁজছিলেন। শেয়ারবাজারে অতীতের ক্ষতির অভিজ্ঞতা থাকায়, এবার একজন পরামর্শকের সহায়তায় তিনি মিউচুয়াল ফান্ড বেছে নেন।
তরুণ সরকার বলেন, ‘আমি আমার ৮০ শতাংশ সঞ্চয় মিউচুয়াল ফান্ডে রেখেছি, আর মাত্র ২০ শতাংশ ব্যাংকে। এখন আমার পরামর্শক আমাকে সতর্ক করে বলেছেন, হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে চাইলে আগামী ছয় মাস বিনিয়োগের দিকে তাকাবেন না।’
তারুণ সরকার সন্দিহান, তাঁর প্রভিডেন্ট ফান্ডের পুরো টাকা শেয়ারবাজারে দেওয়া ঠিক হয়েছে কি না। তিনি মজা করে বলেন, ‘আমি একসঙ্গে অজ্ঞ ও আত্মবিশ্বাসী। অজ্ঞ এ কারণে যে, আমি বুঝতেই পারছি না বাজার কীভাবে চলছে, আবার আত্মবিশ্বাসী এ কারণে, ইনস্টাগ্রামের বিশেষজ্ঞরা বিনিয়োগকে মিলিয়নেয়ার হওয়ার শর্টকাট হিসাবে দেখাচ্ছেন। কিন্তু একই সঙ্গে এটাও জানি, হয়তো প্রতারণা আর বিভ্রমের জালে আটকে গেছি।’
টিভির প্রচারণা ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথাবার্তায় তরুণ সরকার শেয়ারবাজারের প্রতি আকৃষ্ট হন। তিনি বলেন, ‘টিভি উপস্থাপকেরা বাজার নিয়ে আশাবাদী কথা বলেন, আর আমার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের লোকেরা তাদের লাভের গল্প শোনায়।’
তরুণ সরকার জানান, তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে কিশোর-কিশোরীরা পর্যন্ত বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করে। তিনি বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন খেলার সময় এক কিশোর আমাকে এক টেলিকম কোম্পানির শেয়ারের হট টিপ দিয়েছিল। যখন চারপাশে এসব শুনি, তখন মনে হয় আমিও চেষ্টা করে দেখি না কেন? তাই করলাম, আর তারপরই বাজার ধসে পড়ল।’
তবে তিনি এখনো আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘আমি হাত গুটিয়ে রেখেছি আপাতত। আমি নিশ্চিত, বাজার ঘুরে দাঁড়াবে, আর আমার ফান্ড আবার লাভের মুখ দেখবে।’
অনেকেই আরও বড় ঝুঁকি নিয়ে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। রমেশ (ছদ্মনাম) নামের ভারতের একটি ছোট শহরের একজন হিসাবরক্ষক মহামারির সময় ঋণ নিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন। ইউটিউবের প্রভাবকদের কথায় প্রভাবিত হয়ে তিনি ঝুঁকিপূর্ণ ‘পেনি স্টক ও ডেরিভেটিভসে’ বিনিয়োগ করেন। এ মাসে, ১ হাজার ৮০০ ডলার (যা তাঁর এক বছরের বেতনের বেশি) লোকসানের পর, তিনি ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ধার করা টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম, আর এখন পাওনাদারেরা আমার পেছনে লেগেছেন।’
রমেশ সেই ১ কোটি ১০ লাখ ভারতীয়ের একজন, যাঁরা ফিউচার ও অপশন ট্রেডে সম্মিলিতভাবে ২০ বিলিয়ন ডলার হারানোর পর নিয়ন্ত্রক সংস্থার হস্তক্ষেপের শিকার হয়েছেন। আর্থিক পরামর্শক সমীর দোশি বলেন, ‘এই পতন কোভিড মহামারির সময়কার বিপর্যয়ের মতো নয়। তখন আমাদের পুনরুদ্ধারের একটি স্পষ্ট পথ ছিল, কারণ ভ্যাকসিন আসছিল। কিন্তু এখন ট্রাম্প ফ্যাক্টরের কারণে প্রবল অনিশ্চয়তা—আমরা জানিই না, সামনে কী অপেক্ষা করছে।’
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, কম খরচের ব্রোকারেজ ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ বিনিয়োগকে আরও সহজলভ্য করেছে। স্মার্টফোন ও অ্যাপের মাধ্যমে বাজারে ঢোকা এখন অনেক সহজ হয়েছে। তবে নতুন বিনিয়োগকারীদের বাস্তবতা বুঝতে হবে।
আর্থিক শিক্ষাবিদ মোনিকা হালান বলেন, ‘শেয়ারবাজার কোনো জুয়ার আসর নয়। আপনাকে প্রত্যাশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শুধু সেই অর্থই শেয়ারে বিনিয়োগ করুন, যা অন্তত আগামী সাত বছরে আপনার প্রয়োজন হবে না। ঝুঁকি নিলে বোঝার চেষ্টা করুন—কতটা হারাতে পারেন? সে ক্ষতি সহ্য করার সামর্থ্য আছে তো?’
শেয়ারবাজারের এই পতন ভারতের মধ্যবিত্তের জন্য এমন এক কঠিন সময়ে এল, যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর, মজুরি স্থবির, বেসরকারি বিনিয়োগ শ্লথ, আর চাকরির সুযোগ কমছে। অনেক বিনিয়োগকারী এখন অপ্রত্যাশিত ক্ষতির মুখে। বাজার বিশ্লেষক অনিন্দ্য চক্রবর্তী বলেন, ‘সাধারণ সময়ে, চাকরিজীবীরা নিয়মিত আয়ের কারণে সাময়িক লোকসান সহ্য করতে পারেন। কিন্তু এখন মধ্যবিত্তের জন্য এক বিশাল অর্থনৈতিক সংকট চলছে। একদিকে চাকরির সুযোগ কমছে, বেতন বৃদ্ধি নেই, অন্যদিকে বাজারের পতন তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা নাড়িয়ে দিয়েছে।’
বিনিয়োগ পরামর্শক জয়দীপ মারাঠে মনে করেন, আরও ৬-৮ মাস যদি বাজার অস্থির থাকে, তাহলে অনেক বিনিয়োগকারী নিরাপদ ব্যাংক আমানতে ফিরে যাবেন। তবে আশার আলোও আছে। বাজার বিশেষজ্ঞ অজয় বাগ্গা বলেন, ফেব্রুয়ারির পর থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি কমেছে, অর্থাৎ তাঁরা শেয়ারবাজারে মূলধন রাখছেন, যা বাজার পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এই পতন হয়তো নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য এক কঠিন শিক্ষা হয়ে থাকবে। মোনিকা হালান বলেন, ‘যারা মাত্র তিন বছর ধরে বাজারে আছেন, তাঁরা ২৫ শতাংশ লাভকে স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন—এটা বাস্তব নয়। যদি বাজার না বোঝেন, তাহলে ব্যাংকের আমানত ও স্বর্ণেই থাকুন। অন্তত নিয়ন্ত্রণ থাকবে।’

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
৭ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
৭ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

ভারতের শেয়ারবাজারে কয়েক মাসের টানা পতনে লাখো মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারী বিপাকে পড়েছেন। বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার, অতিমূল্যায়িত শেয়ার ও দুর্বল মুনাফার কারণে বাজার থেকে প্রায় ৯০০ বিলিয়ন ডলার উধাও হয়েছে। নতুন বিনিয়োগকারীদের অনেকেই ফিনফ্লুয়েন্সারদের প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করেছেন এবং বড় ক্ষতির সম্মুখীন...
০৭ মার্চ ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
৭ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেবিবিসির সাক্ষাৎকার
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’
উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’
হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’
উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’
হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

ভারতের শেয়ারবাজারে কয়েক মাসের টানা পতনে লাখো মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারী বিপাকে পড়েছেন। বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার, অতিমূল্যায়িত শেয়ার ও দুর্বল মুনাফার কারণে বাজার থেকে প্রায় ৯০০ বিলিয়ন ডলার উধাও হয়েছে। নতুন বিনিয়োগকারীদের অনেকেই ফিনফ্লুয়েন্সারদের প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করেছেন এবং বড় ক্ষতির সম্মুখীন...
০৭ মার্চ ২০২৫
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
৭ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।
এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।
২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।
এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।
২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

ভারতের শেয়ারবাজারে কয়েক মাসের টানা পতনে লাখো মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারী বিপাকে পড়েছেন। বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার, অতিমূল্যায়িত শেয়ার ও দুর্বল মুনাফার কারণে বাজার থেকে প্রায় ৯০০ বিলিয়ন ডলার উধাও হয়েছে। নতুন বিনিয়োগকারীদের অনেকেই ফিনফ্লুয়েন্সারদের প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করেছেন এবং বড় ক্ষতির সম্মুখীন...
০৭ মার্চ ২০২৫
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
৭ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

ভারতের শেয়ারবাজারে কয়েক মাসের টানা পতনে লাখো মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারী বিপাকে পড়েছেন। বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার, অতিমূল্যায়িত শেয়ার ও দুর্বল মুনাফার কারণে বাজার থেকে প্রায় ৯০০ বিলিয়ন ডলার উধাও হয়েছে। নতুন বিনিয়োগকারীদের অনেকেই ফিনফ্লুয়েন্সারদের প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করেছেন এবং বড় ক্ষতির সম্মুখীন...
০৭ মার্চ ২০২৫
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
৭ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
৭ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
৭ ঘণ্টা আগে