Ajker Patrika

পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজার উৎসবে সরকারি ব্যয়, বিরোধীদের কটাক্ষ

কলকাতা প্রতিনিধি
Thumbnail image

দুর্গাপূজার এখনো ৩০ দিন বাকি। কিন্তু গতকাল বুধবার থেকেই শারদ উৎসবে মেতে উঠেছে কলকাতা। জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থা ইউনেসকো কলকাতার দুর্গাপূজাকে ‘কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় আয়োজন করা হয় বিশাল শোভাযাত্রা। তবে রাষ্ট্রীয় ব্যয়ে এই শোভাযাত্রার আয়োজন নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী রাজনীতিবিদেরা। 

কলকাতার দুর্গাপূজাকে ‘কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আনন্দ উৎসবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রায় সব পূজা কমিটির প্রতিনিধি এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিরা অংশ নেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে ঢাক-কাঁসর বাজিয়ে শুরু হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। রাজ্যের লোকসংস্কৃতি সহকারে বিশাল শোভাযাত্রা রেড রোডে গিয়ে শেষ হয়। 

রেড রোডে এক জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইউনেসকোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আজ থেকে শারদ উৎসব শুরু হয়ে গেছে। এ উৎসব দল-মত নির্বিশেষে সবার। আশা করি সবাই এতে শামিল হবেন।’ 

এদিকে, সরকারি অর্থে এ ধরনের উৎসবের সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘এটাই ওনার রেসিপি, রাজনীতি। লুঠপাট হচ্ছে, ভাবার দরকার নেই, আমি তো আছি। আসুন না, আনন্দ করুন। এভাবে রাজনীতি চলছে। বাংলাকে শ্মশান করে দিয়ে যাবেন।’ 

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিমের অভিযোগ, ‘দুর্নীতি থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতেই শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।’ প্রতি বছরের মতো আজ বামদের যুদ্ধবিরোধী মিছিলের অনুমতি না দেওয়ারও সমালোচনা করেন তিনি।

শোভাযাত্রায় কলকাতার তিন ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলীকেও দেখা গেছে শোভাযাত্রায়। এ ছাড়া রাজ্যের প্রতিটি জেলায়ও একই রকমভাবে ইউনেসকোকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত